পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদক প্রাপ্ত জীবন্ত কিংবদন্তি সৈয়দ আব্দুল হাদী। কসবার মাটি ও মানুষকে তিনি সত্যি ভালবাসেন। খ্যাতির বিড়ম্বনার শিকার এ মানুষটির সাথে কথা বলে মনে হয়েছে অনেকে যা ভাবেন তিনি তেমনটি নন।
আমি: কল করেছি…
সৈয়দ আব্দুল হাদী: হ্যালো
আমি: আসসালামু আলাইকুম স্যার
সৈয়দ আব্দুল হাদী: ওয়া আলাইকুম আসসালাম
আমি: আমার নাম এস এম শাহনূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থেকে বলছি। আপনি কেমন আছেন স্যার?
সৈয়দ আব্দুল হাদী: আলহামদুলিল্লাহ। আপনি কেমন আছেন?
আমি: আলহামদুলিল্লাহ। আমার পরিচয়…..ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অলিখিত ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ে বিগত ২৫ বছর ধরে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছি। উদাহরণ স্বরূপ: আপনার গ্রামের নাম শাহপুর, কী করে শাহপুরের নাম শাহপুর হল, গ্রামের প্রাচীন বসতি কে বা কাহারা ছিল,লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নির্ভর কোন ইতিহাস ইত্যাদি…
সৈয়দ আব্দুল হাদী: বাহ চমৎকার কাজ। আপনাকে তাহলে একটি তথ্য দেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোপন যেটাকে গোকর্ণ ঘাট বলা হয়, সেখান থেকে আমার দাদাকে শাহপুর গ্রামে নিয়ে আসা হয়। নবাব স্যার সৈয়দ শামসুল হুদা ও আমার দাদা একই বংশের লোক। তখনকার সময়েই ওনারা অনেক নামীদামী লোক ছিলেন। আমি আমার লেখা ‘আমার কথা’য় এসব লেখার চেষ্টা করেছি।
-স্যার আপনার লেখাটি কি প্রকাশিত হয়েছে?
– আরে না, এখনও লিখছি। লেখা শেষ হয়নি।
-আমরা চাই আপনার লেখা অচিরেই প্রকাশিত হোক। তাতে হয়তো আপনার সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবো। আপনাকে সরাসরি দেখার সৌভাগ্য হয়নি। হৃদয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিরোনামে তিতাস সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ এর উদ্যোগে একটি ভার্চুয়াল লাইভ অনুষ্ঠানে আপনার মনের কথা শুনতে চাই, শোনাতে চাই কসবাবাসীকে।
-অবশ্যই শুনাবো। কিন্তু আমি তো অনলাইনের বিষয়গুলো তত একটা বুঝি না। (অতঃপর অনেক কথা..)
-স্যার আপনি কখনো কসবায় গিয়েছিলেন?
-কী বলেন, কতবার গিয়েছি কসবা। কসবা তখন কমলা সাগর ইস্টিশন ছিল। ট্রেন থেকে নেমে শাহপুর চলে যেতাম। অবশ্য দাদী মারা যাওয়ার পর আর যাওয়া হয়নি।
-মানুষ মরনশীল। দোয়া করি হাজার বছর বেঁচে থাকুন। কসবার সাধারণ মানুষ আপনাকে মন থেকে ভালবাসে। কসবা থেকে ঘুরে আসতে আপনার একবারও মন চায়না?
-অবশ্যই মন চায়। আসবো। তবে কোনো প্রোগ্রামে নয়। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একদিন আপনি আমার বাসায় আসুন। অনেক কিছু জানা হবে। তখন না হয় কসবাও যাওয়া হবে।
-ভাল থাকুন স্যার। আল্লাহ হাফেজ।
-আপনিও ভাল থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
লেখক: এস এম শাহনূর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]