আর মাত্র তিন মাস পরই ‘বিদ্রোহী’ কবিতার বয়স হবে ১০০ বছর। ১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহের কোনো এক মাঝরাত থেকে শেষরাত পর্যন্ত এক বসায় কবি এ কবিতাটি রচনা করেন।
১০০ বছর পরেও যে কবিতার আবেদন এতটুকু কমেনি,পাঠের আকাঙ্ক্ষা ফুরোয়নি, স্বাদও পুরনো হয়নি, তার নাম ‘বিদ্রোহী’। বাংলা কাব্যেতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা ‘বিদ্রোহী’। বিশ্বসাহিত্যেও এর তুলনা খুঁজে পাওয়া ভার। এ কবিতায় নজরুলমানস ও প্রতীভার নানা বৈশিষ্ট্য বিধৃত হয়েছে।
‘বল বীর/বল চির উন্নত শির’। কবিতার শুরুতেই স্বরবৃত্ত ছন্দের এমন বাকভঙ্গিমা/বাকরীতি বা শৈলীর অবাধ দোলা ও চলা পাঠক মনে শিহরণ জায়গায়। বিস্ফোরিত পারমানবিক বোমার মত তেজষ্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে।
কী করে এমন কালোত্তীর্ণ কবিতা লেখা সম্ভব হল? নজরুল সাহিত্য কর্মের উপর আমার পাঠপরিসর খুব ব্যাপক নয়। তবে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসাবে নজরুল সম্পর্কে জানা আবশ্যক মনে করি। এ রহস্যের মর্মমূলে দুটো বিষয়ের প্রাধান্যতা উল্লেখযোগ্য।
১। নজরুল জীবনের বহুলকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি স্বাধীনতা,
২। বৃটিশদের দু’শ বছরের অত্যাচার,নিপীড়ন ও শোষণের বিরুদ্ধে কবির জবাব।
চলবে…
Some text
ক্যাটাগরি: সাহিত্য
[sharethis-inline-buttons]