ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বিএমএ ভবনে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ইকবাল হোসাইন (৪৩) নামের এক ব্যক্তি মারা গিয়েছেন, যিনি পেশাগতভাবে একজন ইমাম ছিলেন। তার জ্বরসহ করোনা উপসর্গ ছিল। বুধবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে বিএমএ ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জরুরি বিভাগের রেজিস্ট্রার থেকে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন। বয়স ৪৩ বছর। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি আখাউড়া পৌর এলাকার খড়মপুর গ্রামের একটি মসজিদের ইমাম এবং দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, ঠাণ্ডাসহ করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন ইকবাল। বুধবার তাকে করোনা পরীক্ষা করতে হাসপাতালের বিএমএ ভবনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ফরম পূরণ করে তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে নমুনা দেয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।
এ সময় তিনি অচেতন হয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন। পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোলায়মান মিয়া বলেন, তিনি করোনাভাইরাস সাসপেক্টেড ছিলেন। জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, করোনা পরীক্ষার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েও কেন মরতে হয়? কড়া রোদে লাইনে দাঁড়ানো সঙ্কটাপন্ন রোগীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই কেন? থাকলে হয়তো আজ এই ব্যক্তির এমন দশা হতো না।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]