রবিবার দুপুর ১:৫৪, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ ইং

করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে উপেক্ষিত গ্রামাঞ্চল

৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

সরকারী বে-সরকারি সামাজিক ও মানবিক সংগঠন সহ সকলের প্রচেষ্টা শুধুই শহর কেন্দ্রিক ” এ যেন করোনা ঠেকানো বা করোনা রোধ করার আয়োজন নয় ” আয়োজন যেন শুধুই আত্মপ্রচারণার !

রাষ্ট্রের মিডিয়া তো আর গ্রাম নির্ভর নয় ” তাই সবর্ত্রই লোক দেখানোর আয়োজন ‘ তাই করোনা বিষয়ক আর্থিক সহযোগিতা কিংবা জনসচেতনতা কিংবা ব্যানার ফেষ্টুন সবই এখন শহর কেন্দ্রিক” রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক সংগঠন সবার একটাই প্রচেষ্টা যে কোন মূল্যে মিডিয়ায় আসা চাই ! মিডিয়ায় আসার হীন মানসিকতায় আজ পুরো জাতিকে করোনা’র ভয়াল গহ্বরে নিমজ্জিত করেছে । বিশেষ করে এক তরফা ভাবে শহর কেন্দ্রিক প্রতিযোগিতার খেশারত দিতে হচ্ছে গ্রামের মানুষজনকে!

সহজ সরল পরিশ্রমী গায়ের মানুষরা সারাদিন কর্ম তৎপরতা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় রোগবালাই নিয়ে মাথা ঘামানোর তেমন একটা সময় তারা পায় না ” কিন্তু অসুখ বি-সুখ তো আর গ্রাম শহর চিনে না ”
তাই করোনার হানা এখন শহরের চেয়ে গ্রামেই ব্যাপক লক্ষ করা যাচ্ছে !
করোনার লক্ষণ নিয়ে দেশের প্রতিটি গ্রামের বাড়ি বাড়িই এখন নাড়ি পুরুষ সবাই কাতরাচ্ছে ।

তারা এতটাই সহজ সরল যে পরিক্ষা করলে করোনা ধরা পড়তে পারে ।এই ভয়ে নিজ বাড়িতে থেকেই গ্রাম্য ফার্মেসী থেকে ঔষধ খেয়ে পড়ে থাকছে দিনের পর দিন ”
কিন্তু ! এই ভাবে আর কতদিন? করোনার প্রাদুর্ভাব প্রতিটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে, প্রতিদিন অাক্রান্ত ও মুত্যুর সংখ্যা প্রতিযোগিতা মূলক হারে বেড়েই চলেছে,

গ্রাম গঞ্জে, হাটবাজারে এবং মহল্লায় কেউ মাস্কের ব্যবহার করছে না। এছাড়া পাড়া মহল্লার ভিতরে থাকা চায়ের দোকানগুলোতে আড্ডাবাজদের আড্ডা চলছেই। সেই সাথে সিগারেট পান করা ও চলছে অভিরাম ”
এই সব চায়ের দোকান গুলো আজ জরুরী ভিত্তিতে বন্ধ করা প্রয়োজন।

চায়ের দোকানে লোকজন অপ্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই অাড্ডা দিচ্ছে মেতে থাকছে গল্প গুজবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত।

এসব দোকানের আশপাশ সব সময় সিগারেট এর ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে যা দ্রুত করোনা বিস্তারের অন্যতম কারণ হয়ে উঠতে পারে। আজকের এই দুঃসময়ে প্রকাশ্যে ধুমপান নিষিদ্ধের আইন বাস্তবায়ন করা খুবই জরুরী বলে মনে করি।

পাড়া মহল্লার চায়ের দোকানগুলো বন্ধ রাখতে পারলে কিছু মানুষকে ঘরে রাখার এটি একটি সহজ কৌশল ও হতে পারে।
তাই প্রশাসন ও সমাজ সচেতন মহল সবাইকে। দেশ জাতি ও নিজের পরিবারকে বাঁচাতে শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে ও করোনা টিকাদান কর্মসূচী বাস্তবায়ন, সচেতনতা মূলক প্রচারণা লকডাউন এর বাস্তবায়ন ও হতদরিদ্রদের মানবিক সহায়তা প্রদানে জোর দিতে হবে। অন্যথায় করোনার এই মহামারি আমাদের কোথায় নিয়ে দাঁড় করাবে তা কেবল মহান আল্লাহ পাকই ভাল জানেন…

এর পরিত্রাণে এখনই সকলকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে অাসতে হবে করোনা ভাইরাস মোকাবেলার মিছিলে।জাগ্রত হোক আমাদের বিবেক” প্রসারিত হোক একের প্রতি অপরের মানবিক হাত ।
এই প্রত্যাশায়……

মোঃ মাহফুজুর রহমান পুষ্প

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি