ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এর কাজ চলছে। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কাজ পুরোপুরি সমাপ্ত হলে উদ্বোধন করা হবে। গতকাল সোমবার পৌর শহরের আর্ট গ্যালারীতে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের কাজ পুরোদমে চলছে। ভেতরে প্রবেশের সিড়ির কাজ শেষ হয়েছে।
দ্বীতলার ছাঁদ ঢালাই করা হয়েছে। তৃতীয় তলার নীল ডাউনের জন্য কাঠ প্রস্তুত করা হচ্ছে। এছাড়াও দ্বীতলায় ও তৃতীয় তলায় উঠার জন্য সিড়ি তৈরীর কাজ চলমান রয়েছে। দ্বিতীয় তলার নিলডাউন শুকিয়ে গেলেই উপরের দিকের কাজ শুরু হয়ে তৃতীয় তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে বলে জানা যায়।
ঠাকুরগাঁও গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাজিদার রহমান জানান,বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। গত ২০১৯ সালের ১৮ জুন দেড় বছর মেয়াদকাল ধরে চুক্তি করা হয়। তবে করোনার কারনে মেয়াদকাল আরও বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হবে বলে
তিনি জানান। তিনি আরও জানান, চুক্তি মূল্য ১৪ কোটি ৪৫ লাখ ১২ হাজার ৩৬৮ টাকা। ৪ তলা বিশিষ্ট ভবনের প্রথম তলা ১২ হাজার ৯০ বর্গফুটের হবে। এতে ইমামগণের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মৃতদের গোসলের ব্যবস্থা, বই বিক্রয় কেন্দ্র, গ্যারেজ, প্রতিবন্ধীদের নামাজ ঘর হবে। ৭ হাজার ৮২৫ বর্গফুটের দ্বিতীয় তলায় প্রধান নামাজ ঘর ও সম্মেলন কক্ষ করা হবে। এছাড়াও ৭ হাজার ৮২৫ বর্গফুটের তৃতীয় তলায় মহিলা ও পুরুষদের নামাজ ঘর, মক্তব ও হেফজ্ খানা, ইসলামিক গবেষণা কেন্দ্র, ইমাম ও মুয়াজ্জিনের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন র্নির্মাণ কাজটি রংপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাজিদসন্স কন্সট্রাকশন লি: এবং পারভেজ কনস্ট্রাকশন লি: (জেভি) করছেন।
জানা যায়, প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী জেলা পর্যায়ে ৪তলা, উপজেলা পর্যায়ে ৩ তলা এবং উপকুলীয় এলাকায় ৪ তলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নেয় সরকার। এতে জেলা সদর ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নির্মানাধীন মসজিদগুলোতে একসঙ্গে ১ হাজার ২শ মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। উপজেলা ও উপক্থলীয় এলাকায় মডেল মসজিদগুলোতে নামাজ আদায় করতে পারবে ৯শ জন। এর মধ্যে ৫৬০টি মডেল মসজিদে প্রতিদিন ৪ লাখ ৯৪ হাজার ২শ পুরুষ এবং ৩১ হাজার ৪শ নারী নামাজ আদায় করতে পারবেন।
এসব মসজিদে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি জ্ঞান অর্জন ও গবেষণার সুযোগ থাকবে। এছাড়াও ইমাম- মুয়াজ্জিনের আবসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিং সুবিধা রাখা হয়েছে। মসজিদগুলোতে দ্বীনি দাওয়াত
কার্যক্রম ও ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা রোধে সচেতনতা কার্যক্রমও পরিচালনা করার কথা রয়েছে। নিয়মিত ইসলামি জ্ঞানচর্চার লক্ষ্য নিয়েই সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয় বর্তমান সরকার। খুব অল্প সময়ে ১৭০টি মসজিদ উদ্বোধন করা হবে বলে জানা যায়। সরকারের পূর্বে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এ প্রকল্পে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা
বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। কাজটি বাস্তবায়ন করছে ঠাকুরগাঁও গণপূর্ত বিভাগ।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]