বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকার সম্পুর্নরূপে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের কোন ক্ষমতা নেই, তাদের কোন যোগ্যতা নেই। এতে তারা প্রমাণ করে দিয়েছে তারা একটা ব্যর্থ সরকার। তারা শুধু দুর্নীতির জন্য, লুটপাটের জন্যই তারা আজকে জনগনকে দুর্ভোগে ফেলেছে।
তিনি গতকাল সোমবার কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে উপরোক্ত কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঈদের জন্য সরকার মাত্র ৩ দিন ছুটি ঘোষনা করেছে। কিন্তু মানুষ তো থেমে নেই। দুর্ভোগের মধ্যে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে তারা বাড়িতে রওয়ানা হয়েছে ও ছুটি শেষে তারাহুরা করে ঢাকায় ফিরছে।
যাদের নিজেদের গাড়ি আছে তাদের কোন সমস্যা নেই কিন্তু সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পরেছে সাধারণ জনগন। আমরা সরকারকে অনেক আগে থেকেই বলে আসছি করোনা মোকাবেলায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করতে। কিন্তু সরকার তাতে কর্নপাত করেনি। এখানে সরকারের চরম বার্থতা, উদাসিনতা শুধু বলবো না এটা হচ্ছে তাদের অজ্ঞানতা এবং সম্পুর্ন ব্যর্থতা। তাদের ব্যর্থতার কারনেই আজকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার নামে মাত্র লকডাউন দিয়েছে। কিন্তু এর আড়ালে তারা ক্রেকডাউন দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২৬ শে মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে সরকার নিজেরাই বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে সেটি বিরোধীদের উপর চাপাচ্ছে।
বিরোধীদের উপরে মামলা দিয়ে গণ গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের ঈদের মধ্যেও জামিন দেওয়া হয়নি। সরকারের করোনা সংক্রমন প্রতিরোধ করবার কোন ইচ্ছা নেই। এখানে দুটি সুবিধা পায় তারা। একটা হলো মানুষ যদি মরে যায় মরুক আর অন্যটা হলো সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যখাতে বিরাট দুনর্ীতির সুযোগ সৃষ্টি করা। প্রনোদনা ঘোষনা করেছেন, সেই প্রনোদনার টাকা তারা লুটপাট করে খায়। আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি এখানে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও এনজিওদের সম্পৃক্ত করতে হবে। করোনা মানাতে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া আরেকটা বুমেরাং। পুলিশ কি করবে আমরা জানি। মাঝখান থেকে যেটা হবে সাধারণ জনগনের হয়রানী আরও বাড়বে।
মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ খেতে পায়না, অথচ তাকে আপনারা ঘরের মধ্যে বসে থাকতে বলছেন। বসে থাকবে আগে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে দিন। আমরা সরকারকে তাদেরকে এককালীন ৩ মাসে ১৫ হাজার করে টাকা দেওয়ার প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। আপনারা জানেন বর্তমানে প্রায় ২ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করছে। আর বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে সবমিলিয়ে প্রায় ৬ কোটি মানুষ কর্মহীন। এই ৬ কোটি মানুষের জন্য কিন্তু প্রনোদনা দেয়নি সরকার। প্রণোদনা গেছে কাদের জন্য গার্মেন্টস, ইন্ডাষ্ট্রির মালিকদের জন্য। র্যামিটেন্স যোদ্ধাদের প্রনোদনা দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলাম। তারা ৭৭শতাংশ কর্মহীন হয়ে পরেছে। এই কথাগুলো সরকারকে বলে কোন লাভ হয়না। সরকারের নীতি নির্ধারকেরা বলছেন সরকারের নির্দিষ্ট কোন পরিকল্পনা নেই। পরিকল্পনা বিহীন সাধারণ মানুষজন লকডাউন মানবে কিভাবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি আল মামুন আলম,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সারোয়ার চৌধুরী,দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নুর, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন,স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সরকার নুরুজ্জামান নুরুসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]