রবিবার বিকাল ৪:৪৬, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ ইং

রমজানের দ্বিতীয় দশক বা মাগফিরাত কী?

৮০৭ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

মহান রাব্বুল আলামীন মহিমান্বিত রমজান মাসে বান্দার জন্য তিনটি সুবর্ণ সুযোগ রেখেছেন। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত। হযরত সালমান (ফার্সি) রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এ বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে।
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, রমজান এমন এক মাস, যার শুরুতে রহমত, মাঝে মাগফিরাত এবং শেষে জাহান্নাম থেকে মুক্তি। (ইবন খুজাইমা ১৮৮৭)(মিশকাত)
রমজান মূলত পুরোটাই রহমতের। প্রথম দশকে আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দারা রহমতে সিক্ত হয়ে যায়। রমজানের শুরুতেই তারা পবিত্র মাসের পূর্ণ বরকত পেতে থাকে।
দ্বিতীয় দশকে যাদের ছোট খাটো পাপ আছে তারা নিজেদের সব পাপ মাফ করিয়ে নিতে পারে।
তিরমিজির হাদিসে রয়েছে, ‘প্রতি রাতেই জাহান্নাম থেকে অসংখ্য মানুষকে মুক্ত করা হয় রমজানে।’

আলঙ্কারিক বা প্রতীকী অর্থে রহমত মাগফিরাত ও নাজাত শব্দ ত্রয়ের ব্যবহার হয়েছে।
মাগফিরাত শব্দের অর্থ হলো ক্ষমা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অসংখ্য গুণাবলীর মাঝে অন্যতম একটি গুণ হলো তিনি ক্ষমাশীল। এ জন্য আল্লাহ তায়ালার অপর একটি নাম হলো ‘আল-গাফুর’। আর ‘গাফুর’ শব্দের বাংলা অর্থ হলো ‘ক্ষমাশীল’। বান্দা যেন তার সারা বছরের কৃত সব গুনাহ থেকে মুক্তি পেতে পারে, এই জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রমজান মাসের দ্বিতীয় দশককে মাগফিরাত তথা ক্ষমা লাভের দিন হিসেবে ধার্য করেছেন।রেখেছেন অফুরন্ত ক্ষমার ভাণ্ডার।

পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করেন- ‘বলুন, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের ওপর জুলুম (গুনাহ) করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না, নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল , পরম দয়ালু। ( সুরা আয -যুমার ৫৩)

অন্য আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন- ‘তারা আল্লাহর কাছে তওবা করে না কেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে না কেন ? আল্লাহ যে ক্ষমাশীল, দয়ালু।(সুরা মায়িদা- ৭৪)

তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা দ্বারা আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক মজবুত হয়। হাদিসে এসেছে রাসুলুল্লাহ (সা.) নিষ্পাপ হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন ১০০ বার করে ইস্তেগফার করতেন। হাদিসে কুদসিতে এসেছে : আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা দিনরাত গুনাহ করে থাক। আমি তোমাদের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেব। তোমরা ইস্তেগফার করো, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দেব।(মুসলিম)

সব রোজাদারই পাপমুক্ত নির্মলতায় স্নিগ্ধ হয়ে ঈদ উদযাপন করে। রোজার শেষে ঈদ দেয়ার তাৎপর্যও এখান থেকেই স্পষ্ট হয়।

আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের সবাইকে এ রমজানে নিজেদের সত্যিকার মুমিন মুসলিম হওয়ার তাওফিক দিন। আমীন।

 

 

 

Some text

ক্যাটাগরি: ধর্ম

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি