বাংলাদেশ সরকার ভারতের বিজেপি নেতা মোদীকে নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে এটা যেমন সত্য, তেমনি আজ যারা ঝাটা, স্যান্ডেল, কুশপুত্তলিকা হাতে নিয়েছে তারা কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নয় বরং বিজেপির দাঙ্গাবাজ মোদীর বিরোধিতা করছে এটাও মানতে হবে।
এতো বাঁধার মুখেও মোদী আসছেন নাকি বন্ধুত্ব করতে। যদিও CAA, NRC সময় এই নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি বাংলাদেশকে টার্গেট করে কম নোংরা কথা বলেনি। কিছুদিন আগেও অমিত শাহ একটা স্টেটমেন্ট দিলেন ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশের একটা পাখিও ঢুকতে দিবেন না। যাই হোক, উনাকে দেখতে আমার বরাবরই ছোট বেলার কাল্পনিক সিরিয়াল আলিফ লায়লার জীন জিঙ্গালালার মতোই লাগে। যেহেতু পাখিকেও সীমান্ত পার হতে দেবেন না বলে কথা, এতো শক্তি যার, তিনি তো সাধারণ মানুষ নন। এখন কথা হচ্ছে, নরেন্দ্র মোদী কেন বাংলাদেশকে এতো গুরুত্ব দিচ্ছেন? আমার মনে হয় এটা না বুঝার কিছু নেই। এর সিংহভাগ কারণ পশ্চিম বাংলার ভোট।
ভাই মোদী আপনি আসুন। আমরা বাঙালি পৃথিবীর সবচেয়ে অতিথি পরায়ণ জাতি। চরম শত্রুকেও খালি মুখে যেতে দেই না যদি সে বাড়ি বয়ে আসে। আর আপনি তো দুর্ভাগ্যজনক হলেও আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেই হিসেবে সন্মানের কমতি হবে না। কিন্তু একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, বাঙালি বাঙালিই। যেদিন পূর্ব বাংলায় অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশে পশ্চিম পাকিস্তান এর আগ্রাসন চলছিল, সেদিন পশ্চিম বাংলাকে ডাকতে হয় নাই। দাদা ভাইয়ের ঝগড়া এক মুহূর্তে নাই হয়ে গিয়েছিল। তেমনি পশ্চিম বাংলার মানুষের উপর কোন আগ্রাসন নেমে এলে এই বাংলাদেশ এর মানুষ নিরব থাকবে এটা দুঃস্বপ্নেও ভাববেন না। জনগণ উত্তাল হয়ে উঠলে রাষ্ট্র প্রধানের কিছুই করার থাকে না। পানির হিসেব, জমির হিসেব পরে হবে, আগে জাত বাঁচাবে বাঙালি।
মনে রাখবেন, এই বাঙালিতে যেমন মীর জাফর জগৎ শেঠ রায়দুর্লভ ছিল, আবার এই বাঙালির ঘরেই জন্ম নিয়েছে নেতাজী, বঙ্গবন্ধু, শেরে বাংলা, ভাসানী, ইসলামাবাগী, সূর্য সেন, রাসবিহারী বসু, দেশবন্ধুর মতো বীর সন্তানেরা। অতএব, আসুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে, আপত্তি নেই। কিন্তু অন্যকিছু আশা করে লাভ নেই। আমরা বাঙালি, এটাই আমাদের সর্বপ্রথম পরিচয়।
জান্নাতুল মাওয়া ড্রথি: লেখিকা
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]