ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মশার উপদ্রবে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে উপজেলাবাসী। দিন-রাতে সমানতালে মশার উপদ্রব বেড়েছে। শিশু, বৃদ্ধ ও হাসপাতালে ভর্তি রোগী, এমনকি মসজিদের মুসল্লিরা মশা যন্ত্রণায় অতিষ্ট। বাসাবাড়ি, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ, অফিসে সর্বত্রই মশার উপদ্রব। কোনো কাজই করা যায় না।
জানা গেছে, কয়েল জ্বালিয়ে, মশারি টাঙিয়ে মশার উপদ্রব থেকে নিস্তার পাওয়ার চেষ্টা করছেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না।
সূর্যকান্দি গ্রামের বাসিন্দা জসীম উদ্দিন জানান, কিছু দিন ধরে এ এলাকায় মশার উপদ্রব এত বেড়েছে যে, ঘরে থাকাই দুষ্কর। রুমের ভেতর কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া গেলেও খাওয়া বা গোসলের সময় মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হতে হচ্ছে।
কালীকচ্ছ বাসিন্দা গৃহবধূ শাহেরা খাতুন জানান, মশার প্রজনন মৌসুমে কয়েল জ্বালিয়ে বা স্প্রে করেও মশার উপদ্রব থেকে নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। ঘুমিয়ে থাকা বাচ্চাদের দল বেঁধে মশারা ঘুন-ঘুন শব্দ করে ঘুমন্ত শিশুদের ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয়। দিনে বেলাও বাচ্চাদের মশারি টাঙিয়ে ঘুম পাড়াতে হয়।
মশাবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বন্ধ ড্রেন, ময়লা-আবর্জনার স্তুপ,খাল ও ডোবা-নালাগুলো পরিষ্কার না করায় সৃষ্ট পানিবদ্ধতায় বৃদ্ধি পাচ্ছে মশা। ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে মশার প্রজনন। এ পরিস্থিতিতে মশা নিধনে নেই কোনো কার্যকর উদ্যোগ। তাই মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ভুক্তভোগী মানুষ।
শেখ মোঃ ইব্রাহীম: সহ-সম্পাদক
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]