জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সিদ্ধান্তের সমর্থনে জামিয়া ইউনুসিয়ার মুহিব্বিন ফুযালাদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ ৬ জানুয়ারি বুধবার সকাল ১০টায় ৷ দেশের প্রাচীনতম দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইউনুছিয়ার জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সিদ্ধান্তের সমর্থনে মাদানী ছাত্রাবাসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৷
মুফতী জিয়া উদ্দিনের সভাপতিত্বে মুফতি এরশাদুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা আবদুল মুমিন ফুআদ, মুফতি নুরুল্লাহ আল মানসুর ও হাফেজ মাওলানা আসাদুল্লাহ এর যৌথ সঞ্চালনায় মুহিব্বীন ও ফুযালাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মুফতি আজহারুল ইসলাম, মুফতি ওসমান গনি ভাদুঘরী, মাওলানা তোফায়েল আহমদ নোমান, মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী, মুফতি আরিফ বিল্লাহ, মুফতী হাবিবুল্লাহ আসাদী, মুফতি হাসান উল্লাহ তেলিকান্দী, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মুফতি হোসাইন আহমদ, মুফতি আব্দুর রহমান আল হাবিব, মুফতি জুবায়ের সাইফুল্লাহ, মাওলানা শাফি উদ্দীন, মুফতী শুয়াইব আহমদ, মুফতি কবীর আহমদ কাসেমী, মুফতি মাহমুদুল হাসান, মুফতী রহমত উল্লাহ কাসেমী, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, মাওলানা নোমান আহমদ, মুফতি তানভীর বিন কামাল, মুফতি বেলাল বিন রহমত, মুফতি ফরহাদ হোসাইন, মাওলানা সাঈদ বিন জাকির মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ ৷
বৈঠক থেকে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জমিয়তুল মুদাররিসীন বরাবর ২০১১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ফুজালা ও মুহিব্বীনদের পক্ষ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে ৫ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন হাফেজ মাওলানা জুনায়েদ কাসেমী। এ সময় ২০১১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ফুজালা ও মুহিব্বীনগণ উপস্থিত ছিলেন ৷
নিম্নে ৫ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হলো ৷
১. জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া দেশের প্রাচীনতম সুপ্রসিদ্ধ একটি দ্বীনী এদারা। অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি ও ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় সুনামের সাথে শতবর্ষব্যাপী স্বাধীন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তার শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। জামিয়া তার অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে পুরোপুরি স্বাধীন। তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারোর নেই। জামিয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার পায়তারা শক্ত হাতে দমন করতে হবে। এ ব্যাপারে জামিয়ার সিদ্ধান্তের পক্ষে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করে শেষ পর্যন্ত অনড় অবস্থানে থাকব, ইনশাআল্লাহ।
২. কারী আবুল খায়ের সাহেবের ব্যাপারে উত্থাপিত অভিযোগ আমাদের জানামতে তদন্তাধীন আছে। তদন্তাধীন কোনো বিষয়ে আমাদের প্রস্তাবনা নেই। তদন্তে বেরিয়ে আসা রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রমাণিত হলে জামিয়া প্রশাসন বরাবরের মতই সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে বলে আমরা আশা রাখি। আর প্রমাণিত না হলে ফেইসবুকের মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল করে শতবর্ষী এই মারকাজকে যারা বদনাম করেছে এবং আলেম-উলামার মানহানি ঘটিয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে প্রয়োজনে মামলা করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
৩. অবস্থা এই পর্যন্ত গড়াতে আমাদের পর্যবেক্ষণে যার মূল ভূমিকা রয়েছে, তার নাম আব্দুল কুদ্দুছ। আব্দুল কুদ্দুছের সাথে জামিয়ার আসাতিযায়ে কেরাম, ছাত্রজনতা এবং অন্যান্য আলেম-উলামা সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে তাকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এমনকি সে যে প্রতিষ্ঠানে থাকবে সেই প্রতিষ্ঠানকেও বয়কট করতে হবে।
৪। ফেইসবুক ও বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে জামিয়া এবং জামিয়ার রানিং আসাতিযায়ে কেরামসহ জামিয়ার পক্ষে অবস্থান নেওয়া উলামা-তোলাবাদের বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার-কুৎসা রটনা করছে বা প্রকাশ্যে-গোপনে মিটিং করে জামিয়ার ভিতরে-বাইরে ঘোলাটে পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
৫। একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় উম্মুল মাদারিস, শতবর্ষী এই এদারার ঐতিহ্য-অবদানের উপর আন্দোলনের নামে কালিমা লেপনের অপরাধে যে সমস্ত ছাত্রদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের মধ্য থেকে তদন্তের মাধ্যমে নির্দোষ প্রমাণিত হলে, ব্যক্তিগত এবং অবিভাবকের লিখিত অঙ্গিকারনামার মাধ্যমে জামিয়ার কানুনবিরোধী কোন কাজে অংশগ্রহণ করবেনা মর্মে ওয়াদাবদ্ধ হলে, আজকের ফুজালা বৈঠক থেকে তাদের উজ্জল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে পিতৃত্বের মহান পরিচয় দিয়ে আবারো তাদেরকে ইলমেদ্বীন চর্চার এই আঙ্গিনায় সুযোগ প্রদানের জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি।
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]