ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ভাটি অঞ্চল অরুয়াইল-বারপাইকা সংযোগ রাস্তা সংস্কার ও র্দীঘদিন ধরে সেতুর গোড়ায় মাটি না থাকায় ৩ কিলোমিটার রাস্তার যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তিন ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। সেতুর দুই পাশের সংযোগ রাস্তা না থাকায় এই ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর নিজ উদ্যোগে সেতুর দুই পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে প্রতিদিন মাটির কাঁচা রাস্তা ও সেতু দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে শত শত মানুষ অরুয়াইল বাজার ও সরাইল উপজেলা সদরে চলাচল করছেন।
সমাজকর্মী মোঃ মনসুর আলী জানান, তিন বছর ধরে সংযোগ রাস্তা না থাকায় এ রাস্তা দিয়ে সরাসরি কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ধান, চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ভারি বোঝা মাথায় করে বাঁশের সাঁকো দিয়ে উঠতে হয় সেতুতে। সেতুর দুই পাশের রাস্তার ভেঙে চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও কেউ আমাদের চরের মানুষের খবর রাখে না। আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শত শত মানুষ প্রতিদিন হাটবাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করে থাকেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফ উদ্দিন জানান, র্দীঘ তিন বছর আগে সেতু নির্মাণ করা হলেও দুই পাশে অ্যাপ্রোচ রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। এলাকাবাসীরা নিজ উদ্যোগে দুই পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন সব বয়সী মানুষ। এ পথে যাতায়াতকারী বৃদ্ধ, অসুস্থ রোগী ও শিশুদের দুর্ভোগের শেষ নেই। উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না। ঘটছে দুর্ঘটনা।
অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, সেতু নির্মাণের তিন বছর পেরিয়ে গেলেও অ্যাপ্রোচ রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। তাছাড়া, ওই সেতুর সংযোগ রাস্তাটি ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে সেতুর কোনো কাজে আসেনি। বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। এলাকার জনগণের পণ্য পরিবহন ও চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তা দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।
জানা যায়, ২০১৭ সনে উপজেলা এলজিইডি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে অরুয়াইল-বারপাইকা সংযোগ রাস্তার মাঝামাঝি একটি খালের ওপর নির্মাণ করা হয় সেতুটি। কিন্তু কোনো কাজে আসেনি। দুই পাশে সংযোগ রাস্তার মেরামত না করায় ভোগান্তির শেষ হচ্ছে না এলাকাবাসীর। মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। এ দুর্ভোগের পরিত্রাণ চাই এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা (শিউলি আজাদ)জানান, এ বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শেখ মোঃ ইব্রাহীম: সহ-সম্পাদক
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]