নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে কোন আগ্রহই নেই। যে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে দেশের মানুষের কোন শ্রদ্ধা নেই, আগ্রহ নেই , প্রকাশ্যে বলা হচ্ছে তারা (নির্বাচন কমিশন) চুরি করছে। তার পরও লজ্জাহীন এ নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ না করে উল্টো সেটাকে ডিফাইন্ড করছে। সে বোঝেইনা যে দেশের জনগণ তার পদত্যাগ চায়। প্রথম ধাপের পৌর নির্বাচন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনার সম্পর্কে এ কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়িস্থ তার নিজ বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
চলমান নির্বাচনে তার দলের অংশগ্রহণ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে আজ নুন্যতম গণতন্ত্রের চর্চা সরকার করেনা। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য পৌর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি আমরা । যদিও তারা ভোট চুরি করে ফলাফল নিয়ে যায় তবুও আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সাথে সম্পৃক্ত থাকার মাধ্যম তৈরী করি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনটিকে জনগণের ভোটাধিকার এর হত্যা দিবস হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয় বিশ্বব্যাপী মানুষ জানে যে নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল সেটা ২৯ ডিসেম্বর রাতেই হয়ে গেছে। আওযামীলীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভোট ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠা করা। ৭৫ সালেও বাকশাল কায়েম করতে না পেরে আওয়ামী লীগের মনের ভেতর যে সুপ্ত বাসনা লুকিয়ে রেখেছে সেটাকে তারা ভিন্ন আঙ্গিকে বিভিন্ন কৌশলে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সে লক্ষে তারা এগোচ্ছে। দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্রের জন্য সব চেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী,দপ্তর সম্পাদক মামুন উর রশিদ প্রমুখ।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]