শুক্রবার রাত ৩:১২, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

দেওয়ানবাগের পীরের ইন্তেকাল

৫৬৪ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

দেওয়ানবাগ দরবার এর প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা ৪৮ মিনিটে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় দেওয়ানবাগ দরবার।

দেওয়ানবাগ দরবার জানায়, সোমবার সকালে নিজ বাসায় স্ট্রোক করেন সৈয়দ মাহবুব। পরে রাজধানীর একটি হাসাপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দেওয়ানবাগ মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর সৈয়দ মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমানে দেওয়ানবাগী পীরের মরদেহ দেওয়ানবাগ দরবারের বাসভবনে রাখা আছে। আগামীকাল মঙ্গলবার বাদ জোহর মতিঝিলের বাবে মদিনাতে দেওয়ানবাগী পীরকে দাফন করা হবে।

দেওয়ান বাগের পীরের আকিদা ও পরিচিতি

দেওয়ানবাগী ভণ্ডপীর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানাধীন বাহাদুরপুর গ্রামে ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করে। তার নাম মাহবূবে খোদা। ঢাকার অদূরে ‘দেওয়ানবাগ’ নামক স্থানে একটি এবং আরামবাগ, ঢাকাতে ‘বাবে রহমত’ নামে আরেকটি দরবার স্থাপন করেছে। মাহবূবে খোদা নিজে এবং তার ভক্তবৃন্দ তাকে ‘সুফি সম্রাট’ হিসাবে পরিচয় দিয়ে থাকে।

দেওয়ানবাগীর ভ্রান্ত আক্বীদা-বিশ্বাস ও চিন্তাধারা

১. ভণ্ড দেওয়ানবাগী মনে করে, মুক্তির জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করা জরুরী নয়। সে বলে, ইসলাম বা মুসলিম কোন ব্যক্তি বা ধর্মের নাম নয়। এটা আল্লাহ প্রদত্ত নির্দিষ্ট বিধান এবং বিধান পালনকারীর নাম। যে কোন অবস্থানে থেকে এই বিধান পালন করতে পারলেই তাকে মুসলিম বলে গণ্য করা যায়।

অথচ পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্ট ঘোষণা মতে পরকালীন মুক্তির একমাত্র উপায় হলো, দীন ইসলাম গ্রহণ করা।

২. সে জান্নাত-জাহান্নাম, হাশর, মীযান, পুলসিরাত, কিরামান কাতিবীন, মুনকার-নাকীর, ফেরেশতা, হুর ইত্যাদি বিষয়কে অস্বীকার করেছে। অর্থাৎ এগুলোর এমন ব্যাখ্যা দিয়েছে, যা এগুলোকে অস্বীকার করার নামান্তর।

অথচ এগুলোকে সঠিকভাবে বিশ্বাস করার নাম ঈমান। যে ব্যক্তি অস্বীকার করবে, নিঃসন্দেহে সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে।

৩. ভণ্ড দেওয়ানবাগী দাবি করে যে, কাবা শরীফ তার কাছে উপস্থিত। তাই হজ্জের প্রয়োজন নেই। অথচ ইসলামে হজ্জ পালন করা গুরুত্বপূর্ণ একটি ফরয। এর ফরয হওয়াকে অস্বীকার করা নিঃসন্দেহে কুফরী।

এতসব কুফরী আক্বীদা সত্ত্বেও ভণ্ড দেওয়ানবাগী নিজেকে বর্তমান যামানার মহান সংস্কারক, মুজাদ্দিদ, শ্রেষ্ঠতম আল্লাহর অলী দাবি করে থাকে এবং এ মিথ্যা দাবির প্রমাণ স্বরূপ শিরকী আক্বীদা সম্বলিত বিভিন্ন স্বপ্ন উল্লেখ করে থাকে। একজন মুসলমান হিসাবে এ বিবেচনা থাকা উচিত যে, একজন কুফরী আক্বীদার ভণ্ডপীর কীভাবে আল্লাহর অলী হতে পারে।

Some text

ক্যাটাগরি: খবর

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি