ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নে ‘বিটঘর গণহত্যা দিবস’ পালন করা হয়েছে। শনিবার উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে বিটঘর বধ্যভূমিতে নির্মাণাধীন বিটঘর গণহত্যায় শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রফিক উদ্দিন ঠাকুর ও সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএসএম মোসা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) ফারজানা প্রিয়াঙ্কা, মুক্তিযোদ্ধা আঃ জলিল মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জরু মিয়া, পানিশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দ্বীন ইসলাম মিয়া ও ইউপি সদস্য মোঃ ইজ্জত আলী প্রমূখ। পরে শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য থাকে যে, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গ্রামটি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের অভয়ারণ্য। এখানে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা আশ্রয় নিয়েছিল। গ্রামবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সহযোগিতা করতেন। এখান থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন স্থানে পাকিস্থানী সেনাদের ওপর গেরিলা হামলা চালাতো। ৩১ অক্টোবর দুই শতাধিক পাকিস্তানী সেনা সদস্য বিটঘর গ্রামের ৬১ জনসহ আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের ৮০ জনকে একত্র করে নির্যাতন করে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে লাশগুলো বিটঘর ছোট খালে ফেলে দেয়। গণহত্যায় শহীদ সামসু মিয়ার স্ত্রী মালেকা খাতুন তার স্বামীসহ সকল শহীদের স্মৃতি রক্ষার্থে ১৫ শতক জমি বিটঘর বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য দান করেন।
শেখ মোঃ ইব্রাহীম
সহ-সম্পাদক, দেশ দর্শন
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]