উত্তরের প্রত্যন্ত অঞ্চল আমাদের এ ঠাকুরগাঁও জেলা। এ জেলার মানুষের কর্ম স্পৃহার পাশাপাশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও হারিয়ে যাওয়া ফুটবলকে ধরে রাখতে ঠাকুরগাঁওয়ের ‘রাঙ্গাটুঙ্গি’ এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ইতিমধ্যেই রানীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গি মহিলা ফুটবল একাডেমির জাতীয় টীম সহ দেশে ও বিদেশে ক্ষুদে মহিলা ফুটবলার অনেক সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
আজ জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম রানীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গি মহিলা ফুটবল একাডেমির মাঠে ক্ষুদে মহিলা ফুটবলারদের ফুটবল অনুশীলন প্রত্যক্ষ করার জন্য সেখানে যান।
প্রতি বছরই এ একাডেমি হতে বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক জাতীয় দলে ৫/৬ জন খেলোয়াড় জাতীয় দলে চান্স পায়। এবারও ৬ জন মেয়ে জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে ফুটবল খেলার সুযোগ পেয়েছে।
গতকাল রাঙ্গাটুঙ্গি মহিলা ফুটবল
একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যক্ষ,কোচ ফুটবল খেলোয়াড় ও ফুটবল প্রেমীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক ডঃ কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন,দেশ-বিদেশে ক্রিকেট একাডেমি তৈরি,ক্রিকেট টুর্নামেন্ট দেয়া, ক্রিকেটারদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা ও প্রচেষ্টারও ঘাটতি নেই।
কিন্তু ফুটবল নিয়ে এর পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে, নতুন নতুন খেলোয়াড় তৈরিতে আশির দশকে যে উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা ছিল এখন তা নেই বললেই চলে। তবে এর ব্যতিক্রম নজির স্থাপন করেছে আমার জেলার রাঙ্গাটঙ্গী ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমি।
নিভৃত পল্লীতে এ ধরনের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে বলে জানান, জেলা প্রশাসক।
পরে তিনি দূরবর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা ফুটবল অনুশীলনকৃত ১০জন খেলোয়াড়ের মাঝে যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০টি বাইসাইকেল বিতরণ করেন।
সেই সাথে হারিয়ে যাওয়া ফুটবলকে ধরে রাখতে তিনি ভবিষ্যতে একাডেমির সুযোগ -সুবিধা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নুর কুতুবুল আলম, একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম,রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার,রেজাউল করিম,সহকারী কমিশনার (ভূমি)প্রীতম সাহা,উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক,জাহাঙ্গীর আলম, খেলোয়ারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]