ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় মদদে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে সিলেটে মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ‘সচেতন আলেম সমাজ’। সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরীর বন্দরবাজারে কালেক্টরেট মসজিদের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন শেখ জামিল আহমদ। পরে বিপ্লবী সংগীত পরিবেশন করেন মুশাহিদ আল বাহার। ‘সচেতন আলেম সমাজ’ মুখপাত্র মাওলানা মীম সুফিয়ানের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সূচিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সিলেট আম্বরখানা জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি জিয়াউর রহমান।
মাওলানা লুকমান হাকিম ও মুফতি আহমদ যাকারিয়ার যৌথ পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আহমদ সগীর, মাওলানা মনজুরে মাওলা, মাওলানা এহতেশাম কাসেমী, মাওলানা আব্দুর রহমান কফিল, সিটি সেন্টারের ব্যবসায়ী হাফেজ মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ, মাওলানা মুশফিকুর রহমান মামুন, মুফতি রশিদ আহমদ, মাওলানা আহমদ কবির খলিল, মুফতি ইশফাক শাফে কাসেমী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মনসুর, রাজনীতিবিদ হাফিজ শিব্বির রাজি, তরুণ আলেম মাওলানা ফাহাদ আমান, মুফতি জুবায়ের আহমদ, মাওলানা আলী আকবর, ছাত্র রাজনীতিবিদ মাহদি হাসান জামাল, ছাত্রলীগ নেতা রাহাত তরফদার, যুবদল নেতা মকসুদ আহমদ, ছাত্রদল নেতা আবুবকর সিদ্দিক, আলেম ব্যবসায়ী মাওলানা ইনাম বিন সিদ্দিক, লেখক মাওলানা সাদিকুর রাহমান, তরুণ আলেম মাওলানা সাইফ রাহমান, মাওলানা আদিব আহমদ ও সংস্কৃতিকর্মী সুফিয়ান বিন এনাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘আজ আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বুকটা ঝাঝরা হয়ে গেছে। যে নবি (সা.)-কে জীবনের চেয়ে, পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ সবকিছুর চেয়েও ভালোবাসী, সে নবি (সা.)-কে আজ উগ্রপন্থী কাফির-মুশফিকরা একের পর এক অপমান করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় মদদে মহানবি (সা.) কে অবমাননায় আমরা চরমভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। ফ্রান্সের মুসলিমবিদ্বেষী এমন ঘৃণ্য মনোভাব শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। ফ্রান্স তাদের রম্য পত্রিকা শার্লি এবদোকে দিয়ে আবারো রাসুল (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র বানিয়ে তা তাদের সরকারি অফিসগুলোর সামনে প্রদর্শন করে রাসুল অবমাননায় চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে।
তাদের এই দৃষ্টতার জবাব দিতে আমরা সিলেটের ‘সচেতন আলেম সমাজ’র ব্যানারে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ৬ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হচ্ছে
১.ফরাসি সকল পণ্য বর্জন করা
২. সরকারিভাবে রাসুল সা.-এর অবমাননার প্রতিবাদ জানানো।
৩. সরকারের পক্ষ থেকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে জরুরি তলব করে সে দেশের ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা, অন্যথায় বাংলাদেশ থেকে তাদের দূতাবাস তুলে দেয়া।
৪. বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক আদালতে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা
৫. ফ্রান্সের সাথে বাংলাদেশের সরকারসহ সারা মুসলিম বিশ্বের সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা।
৬. সাংবিধানিকভাবে শাতিমে রাসূলের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের আইন পাশ করা।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]