জামেয়া মাদানিয়া কাজিরবাজার মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও প্রিন্সিপাল হাবীবুর রহমান (রহ.) এর প্রজন্মের আহ্বায়ক মাওলানা সামীরউর রহমান মুসা বলেছেন, দেশে মহামারীর চেয়েও ভয়ঙ্কর রূপে ছড়িয়ে পড়েছে ধর্ষণ। শিক্ষাঙ্গন থেকে নিয়ে বস্তি এলাকাও যেন ধর্ষকদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সাধারণ ধর্ষণের পাশাপাশি সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমাগত হারে। ধর্ষকদের পাশবিকতা থেকে রেহাই পাচ্ছেনা শিশু থেকে শতবর্ষী বৃদ্ধারাও।
তিনি আরো বলেন, অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে একটি শ্রেণী, এসব কর্মকাণ্ডে দেশের সবজায়গায় নারীদের সম্মানহানী, ধর্ষণ আর নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। জনগণ আর মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ চায়না, জনগণ চায় ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনে যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জড়িত থাকায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা চোখে পড়ার মতো এবং তাদের নিষ্ক্রিয়তায় ধর্ষক বাহিনী গড়ে উঠেছে। এদের হাত থেকে নারীদের রক্ষা করতে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আজ মঙ্গলবার সিলেট নগরীতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এবং সিলেটের এমসি কলেজসহ দেশব্যাপী অব্যাহত ধর্ষণের প্রতিবাদে সামাজিক সংগঠন ‘প্রিন্সিপাল হাবীবুর রহমান রহ. প্রজন্ম’ -এর উদ্যোগে আয়োজিত ধিক্কার মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন এবং কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
গণধর্ষণের প্রতিবাদে মাসব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ৬অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ধর্ষণের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ, ১১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের আইন প্রণয়নের দাবিতে গণস্বাক্ষর, ১৬ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ওলামা ও সুধীদের নিয়ে বৈঠক, ২১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যাপক মতবিনিময় ও বৃহত্তর গণআন্দোলন।
জামেয়া মাদানিয়ার শিক্ষক মাওলানা ফাহাদ আমানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- প্রিন্সিপাল হাবীবুর রহমান রহ. প্রজন্মের সদস্য সচিব জামেয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ, জামেয়ার সাবেক ছাত্র মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, মাওলানা মুশফিকুর রহমান মামুন, মাওলানা সেলিম উদ্দিন, মাওলানা আব্দুর রহমান ইউসুফ,হাজী আব্বাস জালালী, ছাত্রনেতা ইকরামুল হক জুনাইদ, মাহফুজ আহমদ, তানজিল আহমদ, সালেহ আহমদ প্রমুখ।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]