ক্ষমা করা একটি মহৎ গুণ। এ গুণটি মানুষকে মর্যাদার শিখরে পৌঁছিয়ে দেয়। ক্ষমা করতে একটি সুন্দর অন্তর লাগে। থাকতে হয় অন্তরে দরদ। প্রয়োজন হয় একটি সুস্থ বিবেক ও মনমানসিকতার। অসুস্থ বিবেক মনমানসিকতা দিয়ে এ হীরকতুল্য গুণ অর্জন করা সম্ভব নয়।প্রতিশোধের স্পৃহাকে দমন করতে হয়। নচেৎ প্রতিশোধের স্পৃহা মানুষকে পশুর কাতারে নামিয়ে দেয়।
স্মৃতিতে ভাস্বর হলো হুসাইনপুত্র যাইনুল আবেদীন রহিমাহুল্লাহ’র কথা। যাকে আরব ভূমির প্রতিটি অংশ চিনে। তাঁর ক্ষমার অপূর্ব কিছু কাহিনি রয়েছে। একটি কাহিনি আজ আপনাদের শোনাবো। একদা তাঁর নিকট কয়েকজন মেহমান আগমন করলেন। তাদের মেহমানদারীর জন্য তিনি গোলামকে নির্দেশ দিলেন যে,ঘরের চুলোয় যে গোস্ত ভূনা হচ্ছে তা জলদি উপস্থিত করো। গোলাম গিয়ে শিক সহকারে গরম কাবাব নিয়ে আসছিলো।
তাড়াহুড়োর কারণে ঘটনাক্রমে সেই গরম শিক গোলামের হাত থেকে ফসকে গিয়ে নিচতলায় ইমাম যাইনুল আবেদীন রহিমাহুল্লাহ’র ছোট বাচ্চার উপর পড়লো। বাচ্চা ব্যথা সইতে না পেরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন।
ইমাম যাইনুল আবেদীন যখন তা জানতে পারলেন, তিনি গোলামকে ধমকও দিলেননা, অভিশাপ ও না।
বরং তাকে দয়া দেখিয়ে বললো, যাও, তুমি মুক্ত ও স্বাধীন। তারপর তিনি বাচ্চার কাফন দাফনের ব্যবস্থা করলেন।
যারা ক্ষমা করে, মার্জনা করে ও উপেক্ষা করে তারাই রব্বুল আলামিনের প্রিয় বান্দা।
হাদিসে পাকে বর্ণিত হয়েছে,
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: “قَالَ مُوسَى بْنُ عِمْرَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ: يَا رَبِّ مَنْ أَعَزُّ عِبَادِكَ عِنْدَكَ؟ قَالَ: مَنْ إِذَا قَدَرَ غَفَرَ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মূসা ইবনু ‘ইমরান (আ.) আল্লাহ তা‘আলার কাছে জিজ্ঞেস করলেন, হে রব! তোমার বান্দাদের মধ্যে তোমার কাছে প্রিয়তম কে? আল্লাহ তা‘আলা বললেনঃ প্রতিশোধ গ্রহণের ক্ষমতা থাকতেও যে ক্ষমা করে দেয়।
সুনানে বায়হাকী ৮৩২৭
আব্দুল্লাহ ইদরীস. লেখক, সংবাদকর্মী
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]