বিয়ে একটি ইবাদত। প্রত্যেক ইবাদত শরীয়তের নির্ধারিত সীমার ভিতরে থেকে সম্পাদন করলেই ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে। রব্বুল আলামিনের নিকট ইবাদত গ্রহণযোগ হওয়ার জন্য দু’টি শর্ত।
১. ইখলাস ও আন্তরিকতার সাথে করা। কারণ বলা হয় যে, মানুষের নিয়ত ইবাদতের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। ২. সুন্নাহসম্মত পদ্ধতিতে করা। কারণ রাসূল সা. এর সুন্নতের অনুসরণ ও অনুকরণ ছাড়া মানব জীবনে সফলতা আসবে না।
তাই ইবাদত সম্পাদনের ক্ষেত্রে যাবতীয় কুসংস্কার ও কুপ্রথা বর্জন করতে হবে।
আমাদের সমাজে এমন বিয়ে খুব নগন্য যাতে বোম ও পটকা ফাটানো, আতশবাজি করা হয়না। অথচ এগুলো শরীয়ত পরিপন্থী ও গোনাহর কাজ।
গোনাহের কাজ কয়েকটি কারণে।
১. অর্থের অপচয়। আল্লাহ তায়ালা অর্থের অপচয় করতে পবিত্র কালামুল্লাহতে নিষেধ করেছেন।
إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ ۖ
নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই।
[সুরা বনী ঈসরাইল. ২৭]
২. হাত- পা পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। ঘরে আগুন লাগার ভয় থাকে। আল্লাহ তায়ালা নিজের জীবন ও সম্পদকে হুমকির মুখে ফেলতে নিষেধ করেছেন।
وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ ۛ
তোমরা নিজেদের জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিওনা। [সুরা বাকারা. ১৯৫]
৩. অধিকাংশ সময় লেখাবিশিষ্ট কাগজ আতশবাজির জন্য ব্যবহৃত হয়। অক্ষর সম্মানের বিষয়। তা এমন কাজে ব্যবহার করা নিষেধ।
আব্দুল্লাহ ইদরীস: লেখক, সংবাদকর্মী
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]