শায়খুল মাশায়েখ আল্লামা বশির আহমদ শায়খে বাঘা রহঃ একদিন পড়ার জন্য উনার এক ছাত্রকে খুব মারলেন। উস্তাদের সেদিনের মার খেয়ে ছাত্রের খুব জ্বর আসল। ছাত্রটির জন্য হযরতের খুব চিন্তা হচ্ছে, রাগের মাথায় কেন মারলেন?এই ছাত্রকে তিনি আবার ভালোবাসতেন ও প্রচণ্ড। এই ছাত্র হযরতের তাহাজ্জুদ নামাযের জন্য প্রতিদিন অজুর পানি প্রস্তুত করে দিতেন।
এদিকে আজকে ছাত্রের জ্বরাক্রান্ত ছাত্রের ভীষণ চিন্তা হচ্ছে, আজ হুজুরের অজুর পানি দিতে হবে। যদি ঘুমিয়ে যাই তাহলে অজুর পানি কিভাবে দিবো! তাই সে নিদ্রাহীন রাত কাটাল। হযরত তাহাজ্জুদের সময় উঠে অজু করতে যাবেন, এমন সময় অন্ধকারে একজনকে দাঁড়ানো দেখতে পেলেন।
হযরত জিজ্ঞাসা করলেন, কে এখানে?
ছাত্রঃ আসসালামু আলাইকুম আমি হুজুর।
হযরতঃ ওয়ালাইকুমুস সালাম তুমি কে?
ছাত্রঃ হুজুর আমি আপনার নূরুদ্দীন।
হযরত দেখলেন পানির লোটা হাতে ছাত্র নূরুদ্দীন দাঁড়িয়ে আছে। তৎক্ষণাৎ হযরত ছাত্রটিকে বুকে জড়িয়ে কান্না শুরু করলেন।
নুরুদ্দিন সারারাত বুঝি ঘুমাও নাই?
জ্বী হুজুর। যদি আপনার অজুর পানি দিতে না পারি এই জন্য ঘুমাইনি।হযরত কেঁদে ফেলছেল ছাত্র ও কাঁদছেন। উস্তাদ ছাত্র অঝোরে কাঁদছেন। কতইনা গভীর মহাব্বত উস্তাদ ছাত্রের মাঝে।
জানেন কে ছিলেন সেই ছাত্র?
তিনি ছিলেন আমাদের আল্লামা নূর উদ্দীন গহরপুরী (রহঃ) এটাই ছিলো সোনালী ইতিহাস ছাত্র ও উস্তাদের ভালবাসার।
আল্লাহ উভয়কে জান্নাতুল ফেরদৌসের সুউচ্চ মাকাম দান করুন।
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]