লিঙ্গভিক্তিক কোনো সংগঠন সর্বস্তরের মানুষের ভালবাসা পায় না। যারা নারীবাদী সেজে নারীর অধিকার নিয়ে অনেক ধরনের কথা বলে থাকে তাদের মনে রাখতে হবে, নারীর পৃথক কোনো অবস্থান সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। নারী পুরুষের সহাবস্থান ও সমান অধিকারের মাধ্যমেই সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠা হতে পারে।
একজনের অধিকার খর্ব করে অন্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা পায় না। পুরুষকে নারীর প্রতিপক্ষ তৈরি করে কেউ যদি নারীর অধিকারের কথা ভাবেন, তাহলে সেই অধিকার কখনো সার্বজনীন রূপ পায় না। এতে বরং মানবতা বিঘ্নিত হয়। সংঘর্ষ ও ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ানোর মাধ্যমে কোনো একটা শ্রেণিকে প্রতিপক্ষ দাঁড় করিয়ে নারীমুক্তি আদৌ সম্ভব নয়।
শুধু প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা থাকলেই হবে না, সেই শিক্ষার প্রায়োগিক ব্যবহার দরকার। শিক্ষিত একজন নারী পারে সংসারে অর্থের যোগান দিতে। যে পরিবারে নারীরা অর্থের যোগান দেবার ক্ষমতা রাখে, সেই পরিবারে নারীর সিদ্ধান্ত নেবারও ক্ষমতা তৈরি হয়। এর ফলে পরিবারের উপর অর্থনৈতিক চাপও কমে যায় এবং নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ফিরে আসে। আর বিশেষ পরিস্থিতিতে এই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নারীমুক্তির অন্যতম শর্ত। সার্বজনীন কল্যাণে আপন সৃজনশীলতার স্বতঃস্ফূর্ত আত্মপ্রকাশই মুক্তি।
নারীমুক্তির বক্তৃতা চাপাবাজি, সেমিনার-স্লোগান নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কোনো সহায়ক হয় না। একজনের মুক্তি যদি অন্যজনের প্রতিপক্ষ হয়ে কাজ করে, তাহলে সেটি কোনো মুক্তি নয়। নারীমুক্তি আর পুরুষের মুক্তি আলাদাভাবে কিছু নেই- পুরোটাই মানবতার মুক্তি। নারী ও পুরুষের পৃথক কোনো মুক্তি আসতে পারে না। সকলকে নিয়েই সত্যিকারের মুক্তি আসে।তবেই হবে প্রকৃত মুক্তি।
জাহাঙ্গীর আলম বিপ্লব
সহ-সম্পাদক, দেশ দর্শন
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]