সুদ ঘুষসহ যাবতীয় হারাম থেকে বেঁচে থাকি।হালালভাবে উপার্জন করার চেষ্টা করি।হালাল পথ বের করি। উদ্যোক্তা হই। কারণ আমরা জানি, হারামে আরাম নেই,অবৈধতে শান্তি নেই।অবৈধ পথে সুখের চেয়ে সৎ পথের কান্নাও ভালো।
সৎ পথে চলতে সামান্য সময় কষ্ট-ক্লেশ হলেও সফলতা ও সুখ আপনার পদচুম্বন করবেই। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, (المؤمن القوي خيرٌ وأحب إلى الله من المؤمن الضعيف، وفي كلٍ خير، احرص على ما ينفعك، واستعن بالله ولا تعجز، وإن أصابك شيءٌ فلا تقل: لو أني فعلت كذا وكذا وكذا ولكن قل: قدر الله وما شاء فعل، فإن (لو) تفتح عمل الشيطان ) শক্তিধর ঈমানদার দুর্বল ঈমানদারের তুলনায় আল্লাহর নিকট উত্তম ও অতীব পছন্দনীয়। তবে প্রত্যেকের মধ্যেই কল্যাণ নিহিত আছে, যাতে তোমার উপকার রয়েছে তা অর্জনে তুমি আগ্রহী হও এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা কর।
তুমি অক্ষম হয়ে যেও না। এমন বলো না যে, যদি আমি এমন এমন করতাম তবে এমন হত না। বরং এ কথা বলে যে, আল্লাহ তা’আলা যা নির্দিষ্ট করেছেন এবং যা চেয়েছেন তাই করেছেন। কেননা لَوْ (যদি) শব্দটি শাইতানের (শয়তানের) কর্মের দুয়ার খুলে দেয়।
সহীহ মুসলিম ৬৫৩২
রাসূল সা. এর শিক্ষা থেকে জানা ও বুঝা যায় আল্লাহ তায়ালা দুর্বল মনোবলের অধিকারী ও অলসকে পছন্দ করেননা। পছন্দ করেন এমন ব্যক্তিকে যে হালাল জীবিকা উপার্জনের জন্য চেষ্টা-পরিশ্রম করে, হাতে হাত রেখে ঘরে বসে থাকেনা বরং দৌড়- ঝাপ করে।
অন্য আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,
فَقَالَ النَّبِىُّ ﷺ : «إِنَّ اللّٰهَ تَعَالٰى يَلُوْمُ عَلَى الْعَجْزِ وَلٰكِنْ عَلَيْكَ بِالْكَيْسِ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা অক্ষমতার প্রতি তিরস্কার করেন।কাজেই তোমাকে সচেতন ও সজাগ হওয়া উচিত।
সুনানে আবু দাউদ হাদিস নং ৩৭৮৪
হযরত ওমর রা. সাহসিকতার সাথে কাজ করে এই দোয়া করতেন হে” আল্লাহ! আমি আপনার নিকট পাপিষ্ঠের দুঃসাহসিকতা ও নিজের উপর আস্থার অক্ষমতা থেকে পানাহ ও আশ্রয় চাই।”
আব্দুল্লাহ ইদরীস: লেখক, সংবাদকর্মী
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]