মানব সেবায় নিরলসভাবে ছুটে চলছেন নীলফামারী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ।
৩২ বছর ধরে দিনরাত নীলফামারী জেলা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী ও পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে সমন্বয় করে বিরামহীন কাজ করছেন দেওয়ান কামাল। তালিকা ধরে নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, জনসচেতনতায় কাজ করাসহ সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এমন কার্যক্রমে নীলফামারী পৌরসভাসহ জেলার সাধারণ মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে দেওয়ান কামাল আহমেদ।
উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে নীলফামারী পৌরসভা। সেইসঙ্গে বদলে গেছে পৌরবাসীর জীবনমান। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পৌরসভাটি ২০০৮ সালের ২৩ মার্চ প্রথম শ্রেণির মর্যাদা লাভ করে। ২০১২ সালে ‘দ্বিতীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নতি করণ’ (সেক্টর) প্রকল্পের আওতায় পৌরবাসীর জীবনমানসহ পৌর এলাকার চিত্র পাল্টে গেছে।
নীলফামারী পৌরসভার মেয়র হিসাবে ৩২ বছর থেকে গুরু দায়িত্ব পালন করছেন পরিশ্রমী এই নেতা, দলের সকল নেতা-কর্মীকে নিয়ে জেলা আওয়ামীলীগকে একটি শক্তিশালী জেলা হিসেবে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিয়েছেন দেওয়ান কামাল আহমেদ।
পৌরসভার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে রাস্তা, ব্রীজ, কালর্ভাট নির্মান করা হয়েছে। পরিবেশ দুষন রক্ষা করার জন্য প্রত্যেক মহল্লায় ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। এলাকায় এলাকায় পাইপ লাইনের মাধ্যমে নিরাপদ পানি সরবরাহ চালু রাখা হয়েছে। রাতের বেলায় সাধারণ মানুষের নির্বিগ্নে চলাচলের জন্য মোড়ে মোড়ে সোলার লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে পরিবেশের উন্নয়ন করা হয়েছে।
নীলফামারীর পৌরপিতা দেওয়ান কামাল আহমেদের নিরলস প্রচেষ্টায় হাট-বাজারের কর, দোকান ঘর ভাড়া, গবাদি পশুর হাট ইজারা, অফিস আদালতের পৌরকর, পাবলিক হোল্ডিং কর দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে এই পৌরসভা। আগে পৌরবাসী হোল্ডিং কর, পানির বিল, দোকান ঘরের ভাড়া দিতো না। তবে এখন ঠিকমতো সব বিলই দিচ্ছেন পৌরবাসী।
এসময় গণমাধ্যমকর্মীর সাথে দেওয়ান কামাল আহমেদের কথা হলে তিনি জানান, আমি একজন জনপ্রতিনিধি, আমাকে ভালবেসে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ বাব বার ভোট দিয়েছে। দিয়েছে গুরু দায়িত্ব তাদের নিয়মিত সেবা দিতে আমি বদ্ধপরিকর। যখনি সরকারি অনুদান এসেছে রাতের অধারে অসহায়-গরিবদের খুঁজে খুঁজে ত্রাণের স্লিপ তাদের হাতে পৌঁছে দিয়েছি। সেই সাথে আমার ব্যাক্তিগত তাহবিল থেকেও নগদ অর্থ মানুষের মাঝে বিতরণ করেছি।
দলের ব্যাপারেও আপনার ভুমিকা কি? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে দেওয়ান কামাল বলেন, আমি আমার বেস্টটা উজার করে দিয়েছি দলের জন্য, কতটুকু দিয়েছি তা আমার জেলার সকল নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ জানে। মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে আমি সর্বনাশা করোনায় আক্রান্ত হই, মানুষের ভালবাসা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছিল। সকলের দোয়ায় আমি সুস্থ্য হয়েছি। ফিরে এসেছি আমার প্রাণের নীলফামারীতে মানুষের সেবা করতে।
করোনা কালে ৮০% জনপ্রতিনিধি হোম কোয়ারাইন্টানে ছিল আপনি কেন প্রতিনিয়ত বের হয়েছেন? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি, আমি রাজনৈতিক নেতা, আমি সেচ্ছাসেবক, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই ও মানুষের পাশে থাকতে ভালবাসি, জীবনে কিছু কিছু সময় কালবৈশাখী নামক ঝড় আসবে, তাই বলে নিজেকে গুটিয়ে নিব তা কি করে হয়। আমি নীলফামারীর সন্তান, নীলফামারী সকলকে ভালবেসে তাদের প্রিয় হয়ে বেঁচে থাকতে চাই।
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]