রব্বুল আলামিনের সাথে সম্পর্ক তৈরি করার অনেক উপায় আছে। তন্মধ্যে কয়েকটি উপায় হলো, ১.নফল ইবাদতের প্রতি গুরুত্বারোপ করা। ২. বেশি বেশি মা বাবার খেদমত করা।মা বাবার সাথে সদাচরণ করা। ৩. স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক গভীর করা। স্ত্রী স্বামীর খেদমত করা, স্বামীর সাথে হাশি খুশি করা।
স্বামী স্ত্রীর কাজে সহযোগীতা করা।একে অপরকে হাদিয়া দেওয়া। ৪. হিংসা – বিদ্বেষমুক্ত একটি সুস্থ সুন্দর মনের অধিকারী হওয়া। ৫.একে অপরের কল্যাণ কামনা করা। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কল্যাণ কামনাই দ্বীন। আমরা আরয করলাম, কার জন্য কল্যাণ কামনা? তিনি বললেনঃ আল্লাহর, তাঁর কিতাবের, তাঁর রাসুলের, মুসলিম শাসক এবং মুসলিম জনগণের। সহীহ মুসলিম হাদিস নং ১০২
৬. একে অপরের সহযোগী হওয়া,প্রতিপক্ষ না হওয়া। যে ব্যক্তি কোন মূসলমানের ক্রটি গোপন রাখবে আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার ক্রটি গোপন রাখবেন। বান্দা যতক্ষন তার ভাই এর সাহায্যে নিয়োজিত থাকে আল্লাহ ততক্ষন তার সাহায্যে নিয়োজিত থাকেন। সহীহ মুসলিম হাদিস নং ৬৬০৮। ৭.হাসিমুখে কথা বলা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমার ভাইয়ের সামনে তোমার হাসি সাদকা স্বরূপ।
জামে তিরমিজি হাদিস নং ১৯৬২
৮. সত্য কথা বলা। ৯. ঘুমানোর পূর্বে সারাদিনের হিসাব মিলানো (আত্মসমালোচনা ও মুহাসাবা করা)। ১০. দিনের নির্ধারিত একটি অংশ একমাত্র রব্বুল আলামিনের জন্য বরাদ্দ করা। সেটি হতে পারে দোয়া, যিকির, ইস্তেগফার, কুরআন তেলাওয়াত কিংবা নামায ইত্যাদি।
১১. রাস্তা থেকে ময়লা ও কষ্টদায়ক বস্তু দূরে সরানো। কেননা রাসূল সা.বলেন রাস্তা থেকে পাথর, কাটা, হাড্ডি বিদূরিত করাও তোমার জন্য সাদকা। জামে তিরমিজি হাদিস নং ১৯৬২। ১২. রাস্তা-ঘাটে চলাচলের কারো সাহায্যের প্রয়োজন হলে সাহায্য করা। ১৩. ছোট ছোট নেক আমলগুলো মনোযোগ দিয়ে করা ইত্যাদি।
আব্দুল্লাহ ইদরীস: লেখক, সংবাদকর্মী
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]