উত্তরবঙ্গে শিশু সুরক্ষায় ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের প্লাটফর্ম গঠনে জুম কলের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের রিজিওনাল ফিল্ড ডাইরেক্টর অঞ্জলি জাসিন্তা কস্তা শিশুসুরক্ষায় ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের প্লাটফর্ম গঠনের প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক যাত্রা ঘোষনা করেন।
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান ধর্মের ২১০ জন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এই ভারচুয়াল কনফান্সে যোগদান করেন। এই সভার মাধ্যমে আগামীদিনে ৩৫ জনের সর্বধর্মীয় একটি শিশুসুরক্ষায় ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের প্লাটফর্ম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। শিশুসুরক্ষায় ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের প্লাটফর্মের মূল উদ্দেশ্য হলো, শিশুদের পারিবারিক পরিমন্ডলে নৈতিক ও আধ্যাতিক চর্চার মাধ্যমে বেড়ে ওঠার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া। এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে ধর্মীয় পরিমন্ডলে শিশুসুরক্ষার মূল বিষয়গুলো নিয়ে পারিবারিক, স্থানীয়, এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে এডভোকেসি করা।
ওয়ার্ল্ড ভিশনের সিনিয়র ডাইরেক্টর অপারেসন্স ও প্রোগ্রাম কোয়ালিটি, চন্দন জাকারিয়া গোমেজ বলেন “উত্তরবঙ্গে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ শিশুসুরক্ষায় ব্যাপক ভাবে কাজ করছেন। এই প্লাটফর্ম আগামী দিনে সকল ধর্মের নেতৃবৃন্দকে একত্রে কাজ করার জন্য একটি ছাতার নীচে আনবে। ভারচুয়াল কনফারেন্সে আরো বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের রেসপন্স ডাইরেক্টর সাগর মারান্ডি তিনি জানান, কোভিড-১৯ এর কারণে শিশুরা আজ বাসায় বন্দি, শিশুরা আজ সমাজে নির্যাতিত, কন্যা শিশুরা বাল্য বিবাহের শিকার। বেশিরভাগ ধর্মই শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে কথা বলে। ধর্মের মধ্যে একটা শক্ত কাঠামো আছে। এই শক্তকাঠামোই শিশুসুরক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে।
ইসলাম ধর্মের পক্ষে শিশুসুরক্ষার গুরুত্ব এর উপর এবং এই প্লাটফর্ম গঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলেন, জাতীয় ইমাম এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক এসএম উসমান গনি তিনি জানান, শিশুরা কমলমতি, তাদেরকে ভুল তথ্য দেওয়া যাবে না। আমরা গুজব করব না, করোনা নিয়ে ভুল তথ্য দিবনা। সত্যতা যাচাই না করে যদি কোন তথ্য প্রচার করা হয় তা হবে ক্ষতিকর। করোনার সম্পর্কে তথ্যগুলো আমরা নিব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য নিব এবং পালন করব। ইসলাম বাল্য বিবাহ সমর্থন করে না। আমি মনেকরি ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের এই প্লাটফরম শিশু সুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
প্লাটফর্ম গঠনে খৃষ্টান ধর্মের পক্ষে কথা বলেন ফাদার পেট্রিক, তিনি জানান, শিশুরা আগামী দিনের স্বপ্ন। তারা আমাদের পথ দেখাবে। আমাদেরও উচিত শিশুদের সুরক্ষিত করা। ধর্মীয় নেতাদের কর্তব্য হলো শিশুদের সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা। হিন্দু ধর্মের পক্ষে কথা বলেন শ্যামল ব্যানার্জী সাধারণ সম্পাদক মাইনরিটি ওয়াচ বাংলাদেশ তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়ে শিশুরা যেন মাস্ক পরিধান করে এবং শিশুরা নিরাপদে থাকে এ বিষয়ে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের অনেক কিছু করণীয় আছে। আমরা এই প্লাটফর্ম শিশুদেরকে নিয়ে আগামী দিনে সুন্দরভাবে কাজ করব।
উক্ত প্লাটফর্ম গঠনের সভার মডারেটরের ভূমিকা পালন করেন, মোঃ জামাল উদ্দীন, রিজিওনাল এডভোকেসি ও চাইল্ড প্রোটেকশান কো-অর্ডিনেটর, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। এছাড়াও এই ভার্চুয়াল সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, টনি মাইকেল গোমেজ ডিরেক্টর এডভোকেসি এন্ড কমিউনিকেশন ও রানা দীপঙ্কর মজুমদার ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। সার্বিক যোগাযোগ: মোঃ গোলাম এহছানুল হাবিব, ০১৭৩০৪০১১৮৫ ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ।
গৌতম চন্দ্র বর্মন: ঠাকুরগাঁও থেকে
Some text
ক্যাটাগরি: খবর
[sharethis-inline-buttons]