রবিবার দুপুর ১:৫৮, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ ইং

রিপন ভাইয়েরা জিতে গেলে জিতে যায় বিশ্বাস

৫৪৯ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

হাসান আহমেদ খান: বাঙালির মুক্তির জন্য কারাগারকেই ঘর বানিয়েছিলেন জাতির পিতা। বাঙালির স্বাধীকার আর স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে রাজপথকেই করেছিলেন নিজের ঠিকানা। বঙ্গবন্ধুর সে রাজনৈতিক আদর্শকে ধারণ করে, হাজারো লোকের ভীড়ে আজও নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন বিরলপ্রজ কিছু নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মী। কামরুল হাসান রিপন তাদেরই একজন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া ত্যাগী সৈনিক।

আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রীর আদর্শকে যে পেট ও পিঠে ধারণ করে। পিঠে গুলি নিয়ে যে কর্মীদের বুকে আগলে রাখে, রিপন ভাই হচ্ছেন সেই নেতা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল রিপন ভাইদের নেতৃত্বে। সে সময়টা তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারপর পার হয়ে গেছে দেড় যুগ। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জগন্নাথ এখন শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্যস্থলগুলোর একটি, দেশের প্রধানতম ও জনপ্রিয়তম উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবু একজন রিপন এখনো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আনপ্যারালাল। এখনো জগন্নাথে আলোচিত ও পঠিত হয় রিপনের বীরত্ব গাথা, রাজনৈতিক কৌশল ও মহানুভবতা। জগন্নাথের ইতিহাসে এরচেয়ে সাহসী, ত্যাগী, কর্মীবান্ধব, সৎ ছাত্র নেতা আর আসেনি। ছাত্রলীগের নবীন নেতাদের ভাষ্য, এমন নেতা আর আসবেও না। রিপন একজনই, রিপন রিপনই।

দুঃশাসনের সে সময় ছাত্রদল ও শিবিরের যৌথ নাশকতা এককভাবে ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছিলেন রিপন ভাই। আজকে জগন্নাথসহ পুরান ঢাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের যে শক্ত ভিত্তি তা রচিত হয়েছিল ভাইয়ের হাত ধরে। তিনি ছাত্রলীগের সুন্দর কাজগুলো পৌছে দিয়েছেন ঘরে ঘরে, দুয়ারে, দুয়ারে।

জগন্নাথের সেই কঠিন সময়গুলোতে রিপন ভাই রাজপথে ছিলেন। ব্যর্থ বিএনপি আমলের নিপীড়ন, নিষ্পেষণ তিনি রাজপথে মোকাবেলো করেছেন। অনাচারের প্রতিবাদে, মানুষের অধিকারের কথা বলতে গিয়ে চারদলীয় ফ্যাসিবাদী জোট সরকারের আমলে বারবার কারাবরণ করেছেন। কিন্তু পিছপা হননি, রাজপথ ছাড়েননি। নেত্রীর যে দীর্ঘ সংগ্রাম, সে সংগ্রামে একজন বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে সঙ্গ দিয়েছেন। ১/১১ এর দু:সময়ে যারা শক্তহাতে ছাত্রলীগের ঝাণ্ডাকে, জাতির পিতার আদর্শকে উড্ডীন করে রেখেছে রিপন তাদেরই একজন। পুরান ঢাকাজুড়ে তার নেতেৃত্বেই গড়ে উঠেছিল নেত্রীর কারা মুক্তির আন্দোলন।

ছাত্রনেতারা ছাত্রজীবন শেষ হলে হারিয়ে যায়, আর খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু সংগ্রামীদের সংগ্রাম সারা জীবনের। লড়াকুরা জীবনভর লড়াই করে যান, তারা বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও পায় না। রিপন ভাই হচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পোস্টার বয় যিনি ছাত্র জীবন শেষ করেছেন কিন্তু লড়াই বন্ধ করেননি। এখনো বুক ফুলিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন, মানুষের ভাতের জন্য, অধিকারের জন্য, সুন্দর ও নিরাপদ জীবনের জন্য। বঙ্গবন্ধু কন্যার মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন রিপন ভাই সে স্বপ্নের একজন দক্ষ, যোগ্য ও বিশ্বস্থ সারথী, কোন সন্দেহ নেই।

রিপন ভাইয়ের সঙ্গে লেখক হাসান আহমেদ

করোনা মহামারীতে মানুষ যখন নিজের জীবন নিয়ে ভীত, ঘর থেকে বাহির হচ্ছে না রিপন তখন সারা ঢাকা শহর চষে বেড়াচ্ছেন। গরীবের নেতা হিসেবে তাদের ঘরে ত্রাণ পৌছে দিচ্ছেন। করোনার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু কন্যা যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, সে যুদ্ধ জয়ের অগ্রসেনানীতে নিজেকে পরিণত করেছেন। এর পুরস্তার নেত্রী তাকে আগেই দিয়েছেন, অল্প বয়সে বানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। সভাপতি হওয়ার পর দিনে ঘর বাহির দুটোই সফলভাবে সামলাচ্ছেন। একদিকে দলের ভীত যেমন শক্তিশালী করছেন অন্যদিকে মোকাবেলা করছেন দেশবিরোধী, উন্নয়নবিরোধী জামাত-শিবিরের ষড়যন্ত্র। নিজের কাজের মাধ্যমে প্রতিনিয়ম দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিচ্ছেন এই গোষ্ঠীর চক্রান্তের। পেয়েছেন ক্লিন ইমেজ আর দলের জন‌্য আত্মনিবেদিত ত‌্যাগী নেতার তকমা।

জননেতার জন্য জনগণের আবদার থাকে। ঢাকা বাসীর এবারের আবদার, রিপন ভাইকে সংসদে দেখতে চায়। তারা চায় ঢাকা ৫ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে প্রিয় নেতাকে সংসদ কাঁপাতে। বঙ্গবন্ধু কন্যার উন্নয়নের হাতকে শক্তিশালী করতে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দিতে রিপন ভাইয়ের কোন বিকল্প নেই বলে তারা মনে করে।

আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের, জবি ছাত্রলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে এ সাক্ষ্য দিচ্ছি- রিপন ভাই আমাদের নেতা, আমাদের অভিভাবক, আমাদের মাথার ছায়া। আমরা ভাইকে জাতীয় সংসদে ও সংসদের বাইরে সমান ভূমিকায় দেখতে চাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা ত্যাগী নেতাকর্মীদের চিনতে, মূল্যায়ন করতে ভুল করেন না। রিপন ভাই নেত্রীর পুরস্কার ইতোমধ্যে পেয়েছেন। আসন্ন উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদে প্রবেশ আরও বড় পুরস্কার পাবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস। নেত্রীর হাতে আরেকজন ত্যাগী নেতা মূল্যায়িত হয়ে উদাহরণ হয়ে থাকবেন। রিপন ভাইদের ত্যাগের, রিপন ভাইদের সততার জয় হোক। জয় হোক জননেত্রীর। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক: হাসান আহমেদ খান

ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক,

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি