এনপিএস প্রতিবেদক: ঢাকা কেরানীগঞ্জ থানার খেজুরবাগ মীরেরবাগ এলাকার বাসিন্দা আলীম মিয়া ও মালঞ্চ বেগমের কন্যা মোসাঃ মায়া, ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানাধীন খলিফাকান্দি-৭৩নং জাঙ্গিকান্দি গ্রামের এবং বর্তমান ঠিকানা- একই জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আগানগর নামাপাড়াস্থ আবুল টাওয়ার ৪র্থ তলার বাসিন্দা মোতালেব শেখ ও মাতা সাহিদা বেগেমের পুত্র এমারত শেখের নিকট বিগত ১৪ মে ২০১৮ ইং তারিখে ১ লাখ টাকার দেন মোহর ধার্য করে মায়ার সাথে বিবাহ সম্পন্ন হয়।
একই তারিখে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নোটারী পাবলিক কার্যালয় থেকে বিবাহের হলফনামা (কোর্ট ম্যারিজ) করেছে। বিবাহের পর থেকে মায়ার সংসার কয়েক মাস খুবই শান্তিতে চলে। এর কিছুদিন পর থেকেই মায়ার স্বামী এমারত শেখ ও শ্বশুর মোতালেব শেখ প্রতারণার উদ্দেশ্যে নানারকম ছলচাতুরী করে ব্যবসা বাণিজ্যের কথা বলে মায়ার নিকট থেকে এগার লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করার অঙ্গীকার করে ধার নেয়। যা নোটারী পাবলিক থেকে এফিডিভিট আকারে অঙ্গীকার নামা করে নিয়েছে।
টাকা নিয়ে ব্যবসাবাণিজ্য শুরু করে ঠিকই, কিন্তু অঙ্গীকার পত্রের কোনো শর্ত পালন করেনি এমারত ও তার বাবা মোতালেব শেখ। এছাড়া ২টি মোবাইল সেট নিয়েছে যার দাম ২২ হাজার ৩৫০ টাকা। এর ক্যাশ মেমোও মায়ার কাছে রয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মায়াকে শারিরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে এবং আরো ৫ লাখ টাকা মায়ার বাবার নিকট থেকে এনে দিতে বলে। এতে মায়া অপারগতা প্রকাশ করলে মায়াকে তালাক দেয়াসহ জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। পরক্ষণে মায়াকে না জানিয়ে গোপনে অন্যত্র একটি মেয়েকে এমারত বিয়ে করে।
এসব বিষয়ে মায়া এ প্রতিবেদককে জানান, মায়ার সংসারের খরচপত্র না দিয়ে কোনোরূপ খোঁজ-খবর পর্যন্ত রাখছে না। তাদের সাথে মায়া ও তার পরিবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা বলে, ৫ লাখ টাকা এনে না দিলে সংসার করা সম্ভব না। তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে মায়া ঢাকা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে একটি সি আর মামলা দায়ের করছে। মামলা নং ১৭/২০২০, ধারা- ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারা, যা বিচারাধীন। এ ব্যাপারে মায়া ন্যায়বিচার পাবে বলে আশাবাদী। মায়ার বিবাহ, মামলার নথিপত্রসহ যাবতীয় ডকুমেন্ট এ প্রতিবেদকের হাতে পেয়েছে।
এনপিএস প্রতিবেদক: কেরানীগঞ্জ থেকে
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]