বড়দের সোহবত গ্রহণ করার কথা হাদিসে এসেছে। বড়দের সাথেই বরকত। বড়দের আদেশ মেনে চললেই সফলতা আসে।বড়দের কথা নতশিরে মেনে নেওয়ার মাঝেই কল্যাণ নিহিত রয়েছে। তাদের কথার সামনে যুক্তি দাড় করানো উচিত নয়।
যেহেতু ঈদুল আযহার বিরতি চলছে তাই আত্মীয় স্বজনের বাসায় যাতায়াতের পাশাপাশি নিকটস্থ বড়দের ধারস্থ হওয়া উচিত। তাদের খেদমতে হাজির হতে পারা গণীমত মনে করা দরকার। তাদের নিকট থেকে তাদের বড়দের কাহিনী শুনা জরুরী। তাদের বড় হওয়ার পিছনে কী রহস্য রয়েছে তা উদঘাটন করা প্রয়োযন। যেন নিজেরা তাদের পদাংক অনুসরণ করতে পারি। তাদের মত ত্যাগ স্বীকার করতে পারি। তাদের জীবনী থেকে ইবরত (শিক্ষা) গ্রহণ করতে পারি।তাদের নিকট থেকে নসীহত গ্রহন করতে হবে।দোয়া নিতে হবে।কারণ বড়দের দোয়া ছোটদের জীবন চলার পাথেয়।
আসুন সময় সুযোগ করে বড়দের নিকট যাই।তাদের কাছ থেকে নিকট অতীতের আকাবির সম্পর্কে জানি। নিকট অতীতের আকাবির চিনি। তবে আকাবির হতে হবে আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূল সা. এর পরিপূর্ণ আনুগত্যকারী। কারণ রব্বুল আলামীন আমাদেরকে উলুল আমররের অনুসরণের আদেশ করেছেন, সাথে শর্তযুক্ত করেছেন যে,উলুল আমর আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূল সা. পরিপূর্ণ এর আনুগত্য করতে হবে।আমরা একটু গভীর দৃষ্টি দিলেই বুঝতে পারব বিষয়টি।দেখুন আয়াতে কারীমাটি,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنكُمْ ۖ
অর্থাৎ হে মুমিনগণ! তোমরা আনুগত্য করো আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসূল সা.এর এবং তোমাদের মধ্যকার এখতেয়ারধারীদেরও। সুরা নিসা, আয়াত ৫৯।
আয়াতে দেখুন উলুল আমর এর শুরুতে ইতাআ (অানুগত্য) শব্দটি নেই। তাই আমরা এ বিষয়টি বুঝতে পারি যে,বড়দেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত মানা যাবে যতক্ষণ তারা কুরআনের উক্ত আয়াতে কারীমার আওতাধীন থাকবেন। নচেৎ কিছুতেই অনুসরন ও অনুকরণ করা যাবেনা। তাই আসুন সমকালীন উল্লেখযোগ্যদেরকে চিনি।বড়দেরকে জানি।
কারণ একটি প্রসিদ্ধ প্রবাদ রয়েছে শরহু উকুদি রসমিল মুফতীতে
من لم يعرف أهل زمانه فهو جاهل.
অর্থাৎ যে সমকালীন উল্লেখযোগ্যদেরকে চিনেনা সে অজ্ঞ।
বুজুর্গানে দ্বীনের মজলিসে যাতায়াতের অনেক গুরুত্ব রয়েছে।
عن أبي أمامة قال : قال رسول الله – صلى الله عليه وسلم : ” إن لقمان قال لابنه : يا بني ، عليك بمجالسة العلماء ، واسمع كلام الحكماء ، فإن الله يحيي القلب الميت بنور الحكمة كما يحيي الأرض الميتة بوابل المطر
হযরত আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. এরশাদ করেন, হযরত লোকমান হাকিম রহিমাহুল্লাহ তার ছেলেকে নসীহত করতে গিয়ে বলেন, হে বৎস! তুমি আলেমদের মজলিসে যাতায়াত করো, জ্ঞানীদের কথা শুনো, কারণ রব্বুল আলামীন প্রজ্ঞার আলো দিয়ে মৃত অন্তরকে জীবিত করেন যেমনিভাবে বৃষ্টির ফোঁটা দিয়ে মৃত জমিনকে সুজীবিত করেন।
মাজমাউয যাওয়ায়েদ- হাদিস নং ৫১৮
আজ হাফেজ্জী হুজুর রহিমাহুল্লাহ’র সোহবতপ্রাপ্ত একজন মুরুব্বির সাক্ষাতে ধন্য হয়েছি।
কোথাও গেলে সেখানের মাকতাবা ও মুরুব্বীর সংস্পর্শে যাওয়ার চেষ্টা করি।
তিনি কথাচ্ছলে বলেছেন হকপন্থীদের নিদর্শন তিনটি।
১. তালীম ও তরবিয়ত।(শিক্ষা – দীক্ষা)
২. দাওয়াত ও তাবলীগ।
৩. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ।
আব্দুল্লাহ ইদরীস: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,
ইসলামি নাগরিক সমাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
সহ-সম্পাদক,জাতীয় লেখক পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা।
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]