মানুষের মন বুঝা অনেক বড় দক্ষতা। সময় বুঝে কথা বলতে পারা বিচক্ষণতার পরিচায়ক।কারণ মানুষের মনমানসিকতা সবসময় একরকম থাকে না। সবসময় মনোযোগ দিয়ে কথা শুনার মত পরিস্থিতি থাকেনা।কথা গ্রহণ করার মত মানসিকতা থাকে না।
কখনো গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেও পাশ কাটিয়ে যায়, আবার কখনো সহজ সরল ও সাদামাটা কথাও আমলে নেয়। মন-মানসিকতা ফুরফুরে থাকলে, সতেজ হলে ও ভালো থাকলে নরমাল কথা ও সিরিয়াস আমলে নেয়।তখন প্রাণী থেকেও শিক্ষা গ্রহণ করে। তখন কুরআন তেলাওয়াত শুনলে অর্থ ও মর্ম বুঝার চেষ্টা করে,সহজেই বিগলিত হয়ে যায় অন্তর। অন্তরাত্মা প্রশান্তি অনুভব করে।নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা করে। করে আফসোস, হয় লজ্জিত।
জীবন পরিবর্তনের মনমানসিকতা লালন করে।আশপাশের সবাইকে মনের বার্তা জানান দেওয়ার চেষ্টা করে। সবসময় চেষ্টা করি মনোযোগ দিয়ে নামাজ আদায় করার।ইমাম সাহেবের তেলাওয়াতকৃত আয়াতের অর্থ বুঝার। বান্দার প্রতি রব্বুল আলামীনের দরদমাখা সম্বোধন উপলব্ধি করার।ঐশী গ্রন্থের আহবানে জীবনকে সাজানোর প্রয়োযন অনুভব করি। জীবনকে বদলাতে কুরআনী ছায়ার আশ্রয় খুঁজি।
ফযর নামাজ শুরু হয়েছে। ইমাম সাহেব সূরা নাবা তেলাওয়াত করেছেন। মনোযোগ দিয়ে শুনার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে শেষের আয়াতটি শুনে অন্তর কেঁপে উঠল। শরীরের লোমকূপ দাড়িয়ে গেল।স্মরণ হল হাশরের ময়দানের ভয়াবহতার কথা। إِنَّا أَنذَرْنَاكُمْ عَذَابًا قَرِيبًا يَوْمَ يَنظُرُ الْمَرْءُ مَا قَدَّمَتْ يَدَاهُ وَيَقُولُ الْكَافِرُ يَا لَيْتَنِي كُنتُ تُرَابًا অর্থাৎ অামি তোমাদেরকে আসন্ন আযাব সম্পর্কে সতর্ক করেছি,যেদিন মানুষ স্বচক্ষে নিজ কৃতকর্ম প্রত্যক্ষ করবে,এবং কাফের বলবে হায়,আফসোস- আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম। সূরা নাবা- ৪০
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন মানুষের অন্তর পরিশুদ্ধ হলে কুরআনুল কারিম তেলাওয়াত করে কখনো তৃপ্ত হত না।
রব্বা! কুরআনময় জীবন দাও। কুরআনকে অন্তরের বসন্ত বানিয়ে দাও। কুরআনের অর্থ ও মর্ম বুঝার তাওফিক দাও।
আব্দুল্লাহ ইদরীস: জামিয়া দারুল উলুম মুহিউস সুন্নাহ,
আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]