বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬:১৩, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

জয়পুরহাটে হলুদ সাংবাদিক তৈরির কারিগর রফিকের জারিজুরি ফাঁস

৫৯২ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

জয়পুরহাটে হলুদ সাংবাদিক গড়ার কারিগর এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম রফিকের লাগামহীন স্বেচ্ছাচারীতা, দুর্নীতি, নারী কেলেঙ্কারী, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ট জেলাবাসি। শুধু তাই নয়; জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাব থেকে বহিস্কৃত ওই সাংবাদিক কিছু আন্ডারগ্রাউন ও অখ্যাত পত্রিকা ও অনুমোদনহীন অনলাইন পোর্টাল এবং নিজের প্রতিষ্ঠিত দৈনিক তুলসীগঙ্গা নিউজ পোর্টালে টাকার বিনিময়ে কিছু পান দোকানী, রংমিস্ত্রি, সরকার দলীয় নামধারী নেতাসহ অশিক্ষিত লোকের হাতে সাংবাদিকতার কার্ড তুলে দিয়ে দলভারি করে গায়ের জোড়ে একই নামে প্রেসক্লাব গঠন করে সাধারণ সম্পাদক বনে যান। সাংবাদিকতার প্রভাব খাটিয়ে উকিলের সামান্য মহুরী থেকে এখন লাখ লাখ টাকার মালিক বনে যাওয়া এ সাংবাদিক শহরে জায়গা কিনে বাড়ি করার পাশাপাশি প্রাইভেট কার হাকিয়ে চলাফেরা করেন। ভুক্তভোগীরা তার টাকা ও ক্ষমতার উৎস উদঘাটনসহ সকল অপকর্মের বিচার চান।

জানা যায়,  সম্প্রতি জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাব (সোলাইমান-রফিক পরিষদ) এর ক্রীড়া সম্পাদক ও বাংলা টিভি এবং দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি রেজাউল করিম রেজা, সদস্য ও একুশে টিভির প্রতিনিধি এস.এম শফিকুল ইসলাম, মিলন রায়হান, চম্পক কুমার, মেহেদী হাসান রাজু সহ কিছু সদস্যকে বিনা নোটিশে কোন মিটিং ছাড়াই অবৈধভাবে সাংবাদিক তালিকা থেকে নাম মুছে দিয়ে নতুন তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবের পেইজে মঙ্গলবার দুপুরে পোষ্ট করলে তার স্বেচ্ছাচারীতা ও নানা অপকর্মসমূহ আবারো নতুন করে সামনে এসেছে। ওইদিনই বিকেলে আরটিভি ও সময়ের আলোর জেলা প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান রাশেদ, বাংলা টিভি ও দেশ রূপান্তরের জেলা প্রতিনিধি রেজাউল করিম রেজা, মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি বিপুল কুমার সরকার, এশিয়ান টিভি ও আমার সংবাদের জেলা প্রতিনিধি গোলাপ হোসেন, গ্লোবাল টিভির জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম খাঁন, জয়যাত্রা টিভির জেলা প্রতিনিধি সুলতান আহমেদ, দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ ও স্বাধীন বাংলার জেলা প্রতিনিধি মিলন রায়হান, দৈনিক আমার বার্তা ও বাংলা সময়ের জেলা প্রতিনিধি চম্পক কুমার, দেশ বার্তা অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ হোসেন, স্বাধীনতা অনলাইন টিভির জেলা প্রতিনিধি রুহুল আমিনসহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার বেশ কয়েকজন সাংবাদিক নিউজ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য জয়পুরহাট সদর থানায় গেলে সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রফিকের সাথে থানার গেটে দেখা হয়। সে সময় তার নিকট তালিকা থেকে বাদ দেওয়া সদস্যরা মিটিং ও নোটিশ ছাড়া কেন বাদ দেওয়া হয়েছে তা জানতে চাইলে সাংবাদিক রফিক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এসময় সাংবাদিক রফিক ও তার সাথে থাকা কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যাক্তি থানার সামনেই রাস্তায় তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সে সময় রফিক ও তার সহযোগিরা মাই টিভির সাংবাদিক বিপুল কুমার সরকারের গলা থেকে স্বর্ণের চেন ও রেজাউল করিম রেজার নিকট থেকে ২৪,৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় বাংলা টিভি ও দেশ রূপান্তর পত্রিকার সাংবাদিক রেজাউল করিম রেজা বাদী হয়ে ১০ জন সাংবাদিককে স্বাক্ষী করে রফিকুল ইসলাম রফিক সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি এজাহার করেছেন।

এ ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়লে জয়পুরহাটের সাংবাদিক সমাজ ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সাংবাদিক সমাজ থেকে রফিককে বের করে দেয়ার আহবান জানান। মুখ খোলেন তার স্বেচ্ছাচারীতা ও হিংস্রতার শিকার বিভিন্ন সাংবাদিকরা। এ প্রতিবেদকের কাছে তুলে ধরেন তার নানা অপকর্মর ফিরিস্তি।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, রফিক কয়েকশ ব্যক্তিকে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন বৈধ, অবৈধ মিডিয়ার সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সদস্য বানিয়ে নিয়মিত অর্থ ব্যনিজ্য করে আসছেন। সম্প্রতি অনুমোদন বিহীন একটি অনলাইন পোটার্ল ও ফেসবুক পেইজ তৈরি করে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের অর্থ । কেউ তার অনিয়ম, অপকর্মে সহায়তা না করলে প্রেসক্লাব থেকে ইচ্ছে মতো তাদের আবার বাদও দিচ্ছেন। আবার যখন খুশি যে কাউকে যুক্ত করছেন। নাম সই করতে পারে না এমন ব্যাক্তিদেরও টাকার বিনিময়ে এই প্রেসক্লাবের সদস্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের। এতে করে জেলায় আশংকাজনক হারে বেড়েছে হলুদ সাংবাদিক। এইসব হলুদ সাংবাদিকদের ভীড়ে ও নানা অপকর্মে প্রকৃত সাংবাদিকরা বিব্রত। যা জয়পুরহাটের সাংবাদিক, সুধীজনসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ জানেন।

এ ব্যাপারে রেজাউল করিম রেজা বলেন, ২ নং স্টেশন রোডে অবস্থিত জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাব(সোলাইমান-রফিক পরিষদ) একটি নামমাত্র প্রেসক্লাব। পাড়া বা মহল্লার সাধারণ ক্লাবেরও কিছু নিয়ম আছে। কিন্তু এই প্রেসক্লাবের কোন নিয়ম নেই। নাম সই করতে পারে না এমন মানুষদেরকেও টাকার বিনিময়ে এই প্রেসক্লাবের সদস্য করে নিয়েছে রফিক। তার নানা অপকর্মে সহযোগিতা করলেই এ প্রেসক্লাবের সদস্য হওয়া যায়। প্রেসক্লাবের অনিয়মের ব্যাপারে প্রতিবাদ করলেই তিনি ইচ্ছে মতো তালিকা থেকে বাদ দিয়ে থাকেন। আবার প্রয়োজনে যুক্তও করেন। সম্প্রতি তার সেচ্ছাচারীতা, অনিয়ম ও দূর্তির প্রতিবাদ করায় আমাদেরকে ক্লাবের সাংবাদিক তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর থানার সামনে তাকে পেয়ে কেন বা কি কারনে এমনটা করেছেন তা আমিসহ অন্যরা জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করতে থাকলে বাক বিতন্ডা হয়। এসময় সে হুমকি দিয়ে বলে সবেতো তালিকা থেকে বাদ দিয়েছি এবার জেলের ভাত খাওয়াবো। এরই মধ্যে কিছু বুঝে উঠার আগেই রফিক ও তার সহযোগীরা অতর্কত হামলা চালায় এবং মাই টিভির সাংবাদিকের গলার চেইন ও আমার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে থানায় রফিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এজাহার দিয়েছি।

রফিকের অনুমোদনহীন অনলাইন পোটার্ল ও পেইজ দৈনিক তুলসীগঙ্গার সাবেক জুনিয়র স্টাফ রিপোর্টার সাব্বিব হোসেন বলেন, তার অপকর্মে সহযোগিতা না করায় ও তার কথা মতো বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে চাঁদা না এনে দেওয়ায় মিথ্যা অভিযোগে আমাকে অব্যাহতি দিয়েছে। তারপর থেকে আমার বিভিন্ন রকম ক্ষতি সাধন করার হুমকি-ধামকি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে আমি তার বিরুদ্ধে থানায় জিডিও করেছি।

জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাব(সোলাইমান-রফিক পরিষদ) এর সহ-সভাপতি মতলুব হোসেন বলেন, এই রফিক আমাকে এক সময় কোন কারণ ছাড়া বাদ দিয়েছিল। তখন কেউ প্রতিবাদ করেনি। আজ সেই প্রতিবাদ হচ্ছে। নতুন তালিকার ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। এটা রফিকের একক সিদ্ধান্ত।

জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাব(সোলাইমান-রফিক পরিষদ) এর নিবাহী সম্পাদক ও সাংবাদিক রফিকের শ্যালক জাকির হাসান সোহাগ মুঠোফোনে জানান, আমি গ্রামের বাড়িতে আছি। কয়েকজন সাংবাদিককে বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশের ব্যাপারে মিটিং বা নোটিশ সম্পর্কে কিছুই জানিনা।

জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাব(সোলাইমান-রফিক পরিষদ) এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন বলেন, কয়েকজন সাংবাদিককে বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশের ব্যাপারে কোন মিটিং, নোটিশ কোন কিছুই হয়নি। এ ব্যাপারে আমার জানা নেই।

জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাব(সোলাইমান-রফিক পরিষদ) এর কোষাধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, কোন সময়ই মিটিংয়ে নুতন তালিকা প্রণয়ন হয়না। রফিক তার সাথে আরেকজন মিলে এই অনিয়মগুলো করে। বিগত সময়েও এরকম অনিয়ম করেছে। কোন মিটিং, নোটিশ কোন কিছুই হয়নি। এটাতো আয়নার মতো পরিস্কার।

জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাব(সোলাইমান-রফিক পরিষদ) এর সদস্য জয়পুরহাট টেলিভিশন রিপোর্টার ইউনিটির সহ-সভাপতি একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধি এস.এম শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বাদ দেওয়া আবার নতুন কি। যখন যাকে খুশি বাদ দেয় আবার যাকে খুশি নেয়। আমাকে বাদ দিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ্, আমি কলঙ্ক মুক্ত হয়েছি। সব গিরিঙ্গি ওই রফিক ও আরেকজনের।

ওই প্রেসক্লাবের সদস্য মিলন রায়হান, চম্পক কুমার, মেহেদী হাসান রাজু বলেন, আমরা হঠাৎ করে মঙ্গলবার দুপুরের পর ফেসবুকে দেখি আমাদের নাম বাদ দিয়ে প্রেসক্লাবের একটি নতুন তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের অন্য কোন প্রেসক্লাবের হয় কিনা আমাদের জানা নেই। সতর্ককরণ নোটিশ নেই, অপরাধ কারণ দশার্নো নোটিশ নেই, মিটিং নেই, রেজুলেশন নেই কিছুই নেই। রফিক যখন যাকে খুশি ইচ্ছে মতো বাদ দেয়। আবার ইচ্ছে মতো অথের্র বিনিময়ে সদস্য করে নেয়। এই রফিক একটা প্রতারক।

জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্য ও বর্তমানে মডেল প্রেসক্লাবের সদস্য এবং দৈনিক জনতার জেলা প্রতিনিধি গোলজার হোসেন বলেন, আমিও ওই প্রেসক্লাবের সদস্য ছিলাম। রফিক নিজের ইচ্ছে মতো সকাল বিকেল প্রেসক্লাবের সাংবাদিক তালিকা পরিবর্তন করেন। গত বছর হঠাৎ দেখি তালিকায় আমার নাম নেই। তার এই একক সেচ্ছাচারিতা বন্ধ করা দরকার।

ওই প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্য আরমান হোসেন বলেন, অর্থ, নারী, সেচ্ছাচারিতা, সংগঠন বিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত রফিক যখন যাকে ইচ্ছে  সদস্য করে আবার ইচ্ছে মতো তালিকা থেকে বের করে দেয়। এসব নানা অনিয়মের কারণেই সেখান থেকে অন্য ক্লাবে চলে এসেছি। রফিককে জয়পুরহাটের সাংবাদিক নামের কলঙ্ক বলা যায়।

জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্য এ্যাডভোকেট আরাফাত রহমান মুন বলেন, জেলা প্রেসক্লাবের রফিক প্রেসক্লাবের নামে অনিয়ম, দূর্ণতী ও হলুদ সাংবাকিতার একটি আতুড়ঘর তৈরি করেছে। আমিও ওই প্রেসক্লাবের সদস্য ছিলাম। দেড় বছর আগে কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ দেখি প্রেসক্লাবের তালিকায় আমার নাম নেই। একই কথা বলেন ওই প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্য রাসেল বাবুও।

জয়পুরহাট মডেল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি বিপুল কুমার সরকার বলেন, আমিও ঐ প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ছিলাম। তার অপকর্ম, কুকর্ম, চাঁদাবাজীর সহায়তা না করায় হঠাৎ দেখি তালিকায় আমার নাম নেই। এই রফিক সাংবাদিক নামের কলঙ্ক।

জয়পুরহাট মডেল প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, এশিয়ান টিভি ও আমার সংবাদের জেলা প্রতিনিধি গোলাপ হোসেন বলেন, রফিক আমাকে ইতিপূর্ব হত্যা করার হুমকি দেওয়ায় আমি তার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছি। আমিও ওই প্রেসক্লাবের সদস্য ছিলাম, হঠাৎ দেখি তালিকায় আমার নাম নেই। রফিককে অর্থের জোগান দিতে না পারলেই তাকে বাদ দেয়া হয়। এটা রফিকের নিয়মিত ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।

জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি ও বাংলা ভিশন টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমিও একসময় সভাপতি ছিলাম। এসব কারণেই আমি ওই প্রেসক্লাব থেকে অন্য প্রেসক্লাবে চলে গেছি।

জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবের দুই বারের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা প্রেসক্লাব (রাসেল-মিনটু পরিষদ) এর সভাপতি, চ্যানেল আইয়ের জেলা প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী রাসেল বলেন, ভ্যানওয়ালা, পানওয়ালা, রং মিস্ত্রি এ জাতীয় মানুষদেরকে সাংবাদিক তৈরি করে রফিক নিজের আখের গোছানোর ব্যবসা করছেন। ঠিকাদারি নিয়েছেন হলুদ সাংবাদিক সৃষ্টির। রাজনীতিবিদদের পদলেহন করে চলা এই সাংবাদিক চরম বেহায়া ও স্বার্থপর মানুষ। আমি কালাইয়ে আওয়ামীলীগ বিএনপির লিয়াজো রাজনীতি নিয়ে রিপোর্ট করলে তৎকালিন কালাই পৌর মেয়রের দ্বারা এ্যাসোল্ট হই। জেলার সব সাংবাদিক এর প্রতিবাদ করলেও এই তথাকথিত সাংবাদিক ওই পৌর মেয়রের কাছ থেকে টাকা খেয়ে আমাকে বারবার আপোশ করার জন্য পিড়াপিড়ি করেন। সে সময় আমি সভাপতি আর রফিক সেক্রেটারী ছিলো। তার এহেন কর্মকান্ডে ক্ষোভে আমি পদত্যাগ করি। পরে ভবিষ্যতে সাংবাদিক বান্ধব হওয়ার অঙ্গিকার ও ভুল স্বীকার করে আবারো আমাকে ওই প্রেসক্লাবে ফেরার অনুরোধ করলে আমি আবারো তার ক্লাবে যুক্ত হই। কিন্তু সে সব ভুলে আরো সেচ্ছাচারী ও অর্থলোভী হয়ে ওঠে। বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্ণতি ও চাঁদাবাজির অসংখ্য অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আমরা প্রেসক্লাব থেকে বহিস্কার করি। পরে সে তার অনুসারী ৩/৪জন সাংবাদিক ও কিছু টোকাই শ্রেণির লোকজনকে অখ্যাত পত্রিকা থেকে টাকার বিনিময়ে কার্ড এনে দিয়ে একই নামে (জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাব) গঠন করে স্বঘোষিত সেক্রেটারী হয়ে তার অপকর্ম অব্যাহত রাখে। এই বিশ্ব বেহায়া ও হলুদ সাংবাদিক গড়ার করিগরের কর্মকান্ডে জেলার প্রকৃত সাংবাদিকরা আজ বিব্রত।

জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শেখর মজুমদার বলেন, এই রফিক এতোটাই জঘন্য ওর কথা বলতেই আমার ঘৃণা হয়। সাংবাদিকতার নামে এই রফিক নানা অনিয়ম, দুনর্ীতি, লুচ্চামি, হুমকি-ধামকি দিয়ে মানুষের নিকট টাকা ইনকাম করেছে। রফিকের ষড়যন্ত্র তোমাদের মতো একই ভাবে আমাকেও সভাপতি’র পদ থেকে বাদ দিয়েছিল। এ জন্যই আমি সাংবাদকিতা ছেড়ে দিয়েছি। এই রফিক জঘন্য ছেলে পেলেদের সাংবাদিক বানানোর এজেন্ট নিয়েছে এবং তাদের দিয়ে নানা অপকর্ম করাচ্ছে। একে সাংবাদিক সমাজ থেকে বের করে উচিত শিক্ষা দেওয়া দরকার।

জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ও জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাব (রাসেল-মিনটু পরিষদ) এর সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান মিন্টু বলেন, রফিকের নানা অনিয়ম, দুনর্ীতি, চাঁদাবাজি, সেচ্ছাচারিতা ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাকে প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র  অনুয়ায়ী বহিস্কার করা হয়। এই রফিক যাকে তাকে সাংবাদিক বানিয়ে তাদের দিয়ে নিজের স্বার্থ সিদ্ধি উদ্ধার করছে এবং সাংবাদিক সমাজটাকে কুলশিত করছে।

আরটিভির জেলা প্রতিনিধি ও জেলা প্রেসক্লাব (রাসেল-মিনটু পরিষদ) এর সহ-সভাপতি এবং জয়পুরহাট রিপোটার্ ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামন রাশেদ জানান, রফিকের ওই প্রেসক্লাবের এক সময় সদস্য ছিলাম আমি। এই রফিক সাংবাদিক সমাজটার জন্য ক্ষতিকর। তার অনিয়ম, দুনর্ীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সেচ্ছাচারিতায় অন্যত্র ঘর ভাড়া নিয়ে আমরা জেলা প্রেসক্লাব চালাচ্ছি। তাকে প্রেসক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী বহিস্কার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাব (সোলাইমান-রফিক পরিষদ) এর  সভাপতি এস.এম সোলায়মান আলী বলেন, কয়েকজন সাংবাদিকের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ করার ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। আমি বিষয়টি দেখতেছি।

জয়পুরহাট থেকে শামস বর হীছাজ

Some text

ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি