বিগত ১৮ মার্চ ২০২০ থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের ইতি গঠতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ায়, করোনার বিস্তার ঠেকাতে টানা সাড়ে তিন মাস মালয়েশিয়ার মসজিদগুলো বন্ধ রাখা হয়।এখন সংক্রমণ কমে যাওয়ায় মসজিদে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩রা জুলাই ২০২০ রোজ শুক্রবার থেকে সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদে জামায়াতের সাথে সকল নামাজ আদায় করতে পারবেন।
আজ ১লা জুলাই ২০২০ রোজ বুধবার দেশটির সেলাঙ্গর প্রদেশের সুলতান এর ব্যক্তিগত সচিব দাতুক মোহাম্মাদ মুনির বানির স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়, মসজিদ খুলে দেয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন সেলাঙ্গর রাজ্যের সুলতান শরাফউদ্দিন ইদ্রিস শাহ।
দৈনিক স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) মেনে আগামী ৩ রা জুলাই থেকে জুমার নামাজের মধ্য দিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদ ও সূরাউ তথা পাঞ্জেগানা মাসজিদ গুলো ও খুলে দেয়া হবে। স্বাস্থ্য পরিচালক, ধর্মীয় কাউন্সিল, মুফতি বিভাগ এবং ধর্মীয় বিভাগ কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে সুলতানের ব্যক্তিগত সচিব মোহামাদ মুনির গণমাধ্যমকে বলেন, রাজ্যের বড় তিনটি মসজিদে জুমার নামাজ ও পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে এক হাজারের বেশি মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এ ছাড়া অন্যান্য মসজিদে উপস্থিতির সংখ্যা ৫০০ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
বড় মসজিদগুলো হলো-
১.শাহ আলমের মসজিদ সুলতান সালাহউদ্দিন আবদুল আজিজ শাহ,
২.বুকিট জেলুটংয়ের মসজিদ টেংকু আম্পুয়ানজেমাহ
৩. সাইবারজায়া মসজিদ রাজা হাজী ফি সাবিলিল্লাহ।
আর সুরাউ তথা পাঞ্জেগানা মাসজিদয়ে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে উপস্থিতির সংখ্যা ৪০ জন নির্ধারণ করা হয়েছে।বিবৃতিতে আরো বলা হয়, প্রত্যেক মুসল্লিকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সবাইকে বাসাবাড়ি থেকে ওযু করে মসজিদে আসতে হবে, নিজের জায়নামাজ সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হবে। মসজিদ ও সূরাউতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
তবে যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ, তাদের মাসজিদ ও সূরাউয়ে নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]