ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে সহ¯্রাধিক বস্তা ধানসহ একটি অটো রাইস মিল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বুধবার (১ জুলাই) সকালে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখাইতি উত্তরপাড়ার ৩নং ওয়ার্ডে শাহ পরান অটো রাইস মিলের একটি বৃহৎ অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত শাহ পরান অটো রাইস মিলের মালিক পানিশ্বর এলাকার মৃত: হাজী দুলাল মিয়ার পুত্র নাসির উদ্দিনের নিকট থেকে আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তি রাইস মিলটি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উক্ত মিলটি পরিচালনা করে আসছেন। প্রক্রিয়াজাত করার উদ্দেশ্যে মজুদ করে রাখা সহ¯্রাধিক বস্তা ধানসহ মিলটির বৃহৎ অংশ সকালে মেঘনা নদীতে হঠাৎ তলিয়ে যায়। এ সময় উক্ত মিলের শ্রমিক ও স্থানীয় এলাকাবাসী ধানের বস্তা উদ্ধারের প্রাণপণ চেষ্টা করে কয়েক’শ বস্তা ধান পানির নিচ থেকে উদ্ধার করতে পারলেও বাকী ধানের বস্তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নদী ভাঙ্গনের কবলে কয়েক’শ বস্তা ধানসহ মিলটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও কেউ হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ অটো রাইস মিলটির মালিকের আত্ত্বীয় ও পানিশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সুমন মুন্সী বলেন, কোনো বৈরী আবহাওয়া না থাকায় স্বাভাবিক গতিতেই মিলটির কার্যক্রম চলছিল। মিলটিতে এক হাজারের ওপরে ধানের বস্তা মজুদ ছিল। সকালে হঠাৎ মিলটির বৃহৎ অংশ মজুদকৃত ধানসহ মেঘনা নদীতে তলিয়ে যায়। এ সময় মিলের শ্রমিকরা ধানের বস্তা উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ধানের বস্তা উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। আনুমানিক দেড় থেকে দু’শ বস্তা ধান নদীর পানিতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এগুলোর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে সরাইল উপজেলার পানিশ্বর এলাকা মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। প্রতিরক্ষা বাঁধের মাধ্যমে নদীর তীরবর্তী এলাকা নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্টাফ রির্পোটার
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]