শনিবার সন্ধ্যা ৭:২৩, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

বেফাক মহাসচিবের পদত্যাগ ইস্যু: সাজিদুর রহমা‌নের নামে মিথ্যাচার

১২৮১ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

গতকাল বেফাকের মিটিংয়ের পর একটি ফেসবুক আইডি থেকে আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান সাহেবের মতো একজন সজ্জন, প্রচার বিমুখ, ক্লিন ইমেজের আলেমের নামে কৌশলে কিছু বানোয়াট নির্জলা মিথ্যা প্রচার করছে।

বেফাকের মহাসচিব এর পদত্যাগ আটকে দেয়া সহ সাজিদ সাহেবের নামে প্রচার হওয়া ৪টি মিথ্যাচারের জবাব।

১/ গতকাল বেফাকের মিটিংয়ে মহাসচিবের বিষয়টি আগামী বৃহস্পতিবার হাটহাজারী মাদরাসায় গিয়ে শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী হাফিযাহুল্লাহ’র উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হবে, এটি মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। একক কারো ভোটে নয়।

মহাসচিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত শুধু শায়খ সাজিদুর রহমান সাহেবের ভোটের ভিত্তিতে হাটহাজারী যাওয়ার কথা আসেনি।বরং অধিকাংশ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

তবে দুঃখের বিষয় হলো এখানে আনাস মাদানীর সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলেমকুলের শিরোমণি, হৃদয়ের স্পন্দন, দেশখ্যাত মুফাচ্ছির, বিশিষ্ট হাদিস বিশারদ, শহীদবাড়িয়ার মাটিও মানুষের প্রাণাধিক প্রিয় শায়খ আল্লামা সাজিদুর রহমান – হাফিযাহুল্লাহকে একটি কুচক্রীমহল নিজেদের উদ্দেশ্য সাধনে জড়িয়েছে। বাস্তবে উপরোক্ত সিদ্ধান্তের সাথে আল্লামা সাজিদুর রহমান সাহেবের একক কোন সম্পৃক্ততা নেই।

২/ হুজুরের ছেলেকে তুলে নেওয়ার মূল ঘটনা হলো- বাইতুন নুর মাদ্রাসায় তারেক নামের কয়েকজন ছাত্র ছিলো। এর মধ্যে একজন দাওরায়ে হাদীস ও দুইজন শরহে বেকায়া জামাতে পড়ত। আল্লামা সাজিদ সাহেবের ছেলে শরহে বেকায়া পড়তো, এবং র‌্যাব ধরতে এসে সাজিদ সাহেবের ছেলে তারেককে ভুলে ধরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে র‌্যাবের অফিসারগণ দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে, বিষয়টা একটা নাম বিভ্রাটের জন্য হয়েছে। এবং সেদিন রাতেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কোন অপরাধের কারণে সাজিদ সাহেবের ছেলেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়নি। এবং কারো তদবিরের মাধ্যমে তাকে ছাড়াতে হয়নি। নাম বিভ্রাট এর ভুল বুঝতে

পেরে র‌্যাব কর্তৃপক্ষ পুণরায় দিয়ে গেছেন।সুতরাং সাজিদ সাহেব নিজ ছেলেকে ফিরে পেতে কোন ব্যক্তি বা দলের প্রতি দূর্বল হয়েছেন এ কথা ডাহামিথ্যে।

৩/ বি.বাড়িয়ায় ফয়জুল্লাহ সাহেবের বিষয়েও সাজিদ সাহেবকে জড়িয়ে তাদের বক্তব্যটি নির্জলা মিথ্যাচার।

সেদিন মুফতী ফয়জুল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যে স্টেজে ছিলেন, সেখানে আশেক এলাহি এবং মুবারকুল্লাহ সাহেবসহ জামিয়া ইউনুছিয়ার আরো কয়েকজন শায়খুল হাদিস উপস্থিত ছিলেন, তাই সকল মুরুব্বিদের সামনে উত্তপ্ত পরিবেশ কে শান্ত করার জন্য আল্লামা সাজিদুর রহমান সাহেব এই বক্তব্য দেন। এখন আপনারা বলুন বি.বাড়িয়া একটি উলামায়ে কেরামের সূতিকাগার। সেদিন সাজিদ সাহেব কী বক্তব্য দিয়ে ছিলেন? পুরো বক্তব্যটা পুনরায় শুনুন। দেখুন সেখানে সাজিদ সাহেব কোন কথাটা অনুচিত বলেছেন। তিনি বলেছেন, “উনি একজন আলেম এবং এখানে সকলের মুরুব্বীরা উপস্থিত আছেন। তাদের সামনে তোমরা এমন কাজ করতে পারো না। তিনি কোন ভুল করে থাকলে কি আমরা থাকে জিজ্ঞেস করতে পারবো না?” এমন কিছু বক্তব্য দিয়েছেন। কোন জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ বলতে পারবে না যে, সেদিন আল্লামা সাজিদ সাহেব কোন দল বা ব্যক্তির পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন। সেদিন আল্লামা সাজিদ সাহেবের পুরোটা বক্তব্য ছিলো একটা উত্তপ্ত পরিবেশ শান্ত করার মতো একটি উপযুক্ত বক্তব্য। এখানে কারো দলে চলে যাওয়ার কথা আসবে কেনো?

৪/ সাজিদ সাহেব ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান। এ কথাটা ডাহা মিথ্যা এবং হাস্যকর বিষয়, এটা সাজিদ সাহেবকে যারা চিনে ভালো করে জানেন তিনি ঐক্যজোট সহ কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না কখনো।

এমনকি ইসলামী অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও বিষয়টা ভালো করে জানেন।

হেফাজতের মহাসচিব বি.বাড়িয়া থেকে সাজিদ সাহেব হবেন। এই ভুয়া,গুজবটিও পয়েন্ট হিসেবে নিয়েছে বিরুদ্ধবাদীরা। খবরটি নিতান্তই একটি গুজব ডাহা মিথ্যা। শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ অাহমদ শফি সাহেব সাজিদ সাহেবের উস্তাদ। আর আল্লামা বাবুনগরী সাহেব সাজিদ সাহেবের খুব কাছের এবং প্রিয় একজন আলেম। উনাদের জীবদ্দশায় সাজিদ সাহেব হেফাজতের মহাসচিব হবেন এটা তিনি নিজেও কখনো কল্পনাও করেন না। এমন ডাহামিথ্যে একটি বিষয় প্রচার করে আল্লামা সাজিদুর রহমান সাহেবের ক্লিন ইমেজকে নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিরুদ্ধাচারণকারীরা।

পরিশেষে বলতে চাই, এই বার্তার পরও যদি আল্লামা সাজিদ সাহেব এর কোন বিষয় নিয়ে কারো মনে প্রশ্ন কিংবা সন্দেহ থাকে, তাহলে আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে প্রয়োজনে হুজুরের কাছে এসে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন। মিথ্যা বলা ও মিথ্যা ছড়ানো থেকে আল্লাহ তায়া’লা আমাদেরকে হেফাজত করুন আমিন।

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি