আমি সুমনা আক্তার লিলি, শিক্ষানবিশ, ঢাকা আইনজীবী সমিতি। ২০১৭ সালে এল এল বি শেষ করে ১ মাসের জন্য পরীক্ষা পাইনি। তারপর পরীক্ষার জন্য অজস্র স্মারকলিপি, মানববন্ধন এবং অবশেষে অনশন করেছি পরীক্ষার দাবীতে।
অতঃপর ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এম সি কিউ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হয় এবং পরীক্ষা হয় যে পরীক্ষা বার কাউন্সিলের ইতিহাস সবচেয়ে কঠিন এবং কম শতাংশ পাশের রেকর্ডের পরীক্ষা।
আল্লাহর রহমতে এবং কঠিন অধ্যবসায়ের কারণে পাশ করতে সমর্থ হই। পাশ করার পরে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস পুরো পৃথিবীর ন্যায় আমাদের দেশেও ছড়িয়ে পড়ে এবং রিটেন পরীক্ষা পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে যায়। ইতোপূর্বে বার কাউন্সিলের সমস্ত লিখিত পরীক্ষা এম সি কিউ রেজাল্ট দেয়ার ২-৩ মাসের ভিতরে হয়েছে। স্বাভাবিক সিচুয়েশনে ৩ বছর পরীক্ষা না হওয়া এবং পেন্ডামিক সিচুয়েশনের কারণে এম সি কিউ পাশ করার ৪ মাস হয়ে যাওয়ার পরেও লিখিত পরীক্ষার কোন ঘোষণা না আসায় এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন এর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২-৩ বছর করোনা থাকবে এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী পরিস্থিতি ঠিক না হলে পরীক্ষা নেয়া হবেনা তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা ২০১৭ এবং ২০২০ সালের এম সি কিউ উত্তীর্ণ শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা গত ৭ জুলাই ২০২০ থেকে অদ্যাবধি এম সি কিউ উত্তীর্ণদের গেজেট প্রকাশ করে সনদের দাবীতে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে আন্দোলন করে যাচ্ছি। একটানা ২০ দিন আন্দোলন চলছে ।
কিন্তু আমাদের অভিভাবক বার কাউন্সিল থেকে আমাদের জন্য বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখানোর প্রয়োজন মনে করে নাই। অতঃপর আমাদের একটানা আন্দোলনের কারণে গতকাল এনরোলমেন্ট কমিটি একটি মিটিং কল করেন মিটিং শেষে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন স্যার বলেন, এনরোলমেন্ট কমিটি ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছে!
আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই এই তারিখ সম্পূর্ণ একটি প্রহসনের তারিখ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে এই তারিখের মাধ্যমে কারণ যেখানে দেশের একমাত্র পাবলিক পরীক্ষা এইচ এস সি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করতে পারেণি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেখানে ১৩০০০ শিক্ষানবিশদের এই করোনা কালীন সময়ে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় আসতে হবে এবং পরীক্ষা দিতে হবে যা স্পষ্ট স্বাস্থ্যবিধির লংঘন।
যদিও এখন পর্যন্ত বার কাউন্সিলের অফিশিয়াল কোন নোটিশ আসেনি। যদি এই ধরনের প্রহসনের তারিখ দেয়া হয় তা হবে পৃথিবীর ইতিহাসে এক অমানবিক এবং প্রহসনের বিরল দৃষ্টান্ত! বার কাউন্সিলের উপর আমাদের কোন ভরসা নাই। লিখিত পরীক্ষা দেয়ার পরে আমাদের খাতার কোন নিশ্চয়তা নাই।আবুলের খাতায় পাশ করে মকবুল।এরকম অসংখ্য অভিযোগ লিখিত পরীক্ষা নিয়ে। বার কাউন্সিল যদি পরীক্ষা নিতেই চায় তাহলে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল জেলা বারে ভাইভা নিয়ে আমাদের সনদ দিন। বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটিকে বলতে চাই, যদি প্রহসনের লিখিত পরীক্ষা আপনারা নিতেই চান তাহলে আমাদের নিন্মোক্ত যৌক্তিক দাবীগুলো নিশ্চিত করবেন, যদি না নিশ্চিত করেণ তাহলে আমরা পরীক্ষা বাতিলের জন্য তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব ইনশাল্লাহ।
১) লিখিত পরীক্ষায় ও এম আর শিট সংযুক্ত করতে হবে।
২) লিখিত পরীক্ষা খাতা রিভিউর সুযোগ দিতে হবে।
৩) লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনার তারিখ দিতে হবে
৪) আপীল বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের ভিতর আমাদের পুরো প্রসেস সম্পন্ন করে উত্তীর্ণদের সনদ দিতে হবে।
সর্বোপরি, মাননীয় বার কাউন্সিলের বিজ্ঞ এনরোলমেন্ট কমিটির কাছে অনুরোধ আপনারা আমাদের অভিভাবক। আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হন।
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]