ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে ব্যাপক। উৎপাদনও হয়েছে বাম্পার। কিন্তু নানা কারণে কৃষক ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এর দাম পড়ে গেছে। ক্ষেতের পাশে, সড়কের পাশে হাজার হাজার মিষ্টি কুমড়ার স্তূ‘প জমে আছে। সুলভ ভাড়ায় যদি ট্রাক পাওয়া যায় এই আশায় অপেক্ষায় আছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ।
সদর উপজেলার নারগুন কহরপাড়া গ্রামের কৃষক মোতাহার হোসেন বলেন, এবার মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহওয়ার কিছুটা প্রভাব পড়লেও উৎপাদন বেশি হয়েছে। কিন্তু দাম না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছি। উৎপাদন খরচ তোলা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছি।
বরুনাগাঁও গ্রামের কৃষক মজিবুল হক বলেন, এবার পরিবহন খরচও বেশি। তাই লাভ হবে কি না- এ নিয়ে চিন্তিত আছি।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ আফতাব হোসেন জানান, ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার ১২০০ হেক্টরে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ২৪ হাজার টন। যা দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সর্বোচ্চ।
তিনি জানান, পরিবহন ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ। তাই দাম কমে গিয়ে এখন ৩/৪ টাকা কেজি দরে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হ”েছ। এই দামে বিক্রি করলে কৃষকের লাভ হবেনা।
তবে তিনি জানান, মিষ্টি কুমড়া সহজে পঁচেনা, সংরক্ষণ করা যাবে। তাছাড়া কুমড়া পরিবহনের জন্য স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা গেলে পরিবহণ সমস্যার সমাধান হতো।
মিষ্টি কুমড়া উৎপাদনকারী কৃষক যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সেজন্য জেলা প্রশাসন করোনাকালীন ত্রাণ হিসাবে বিতরণের জন্য খাদ্যদ্রব্যের সাথে একটি করে মিষ্টি কুমড়া যুক্ত করেছেন।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]