শনিবার সন্ধ্যা ৬:৫৪, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

তাকবীরে তাশরীক: ফজিলত ও বিধান

১০৮৭ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজর নামাজের পর থেকে শুরু করে ১৩ তারিখ আসরসহ প্রত্যেক ফরজ নামাজের সালাম ফিরানোর পর সঙ্গে সঙ্গে একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। তা বালেগ পুরুষ – মহিলা, মুকিম- মুসাফির চাই জামাতে নামায আদায় করুক বা একাকী, সকলের উপর বলা ওয়াজিব।

তাকবিরে তাশরিক হলো

‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ’

ফাতাওয়া শামী ২.১৭৯.ফাতাওয়া হিন্দিয়াহ ১.১৫২

আলমুসান্নাফ, ইবনে আবী শাইবা,হাদিস ৫৬৭৭

হেদায়া : ১/২৭৫

তবে তাকবিরে তাশরিক একবার বলা ওয়াজিব। তিনবার বলাকে জরুরী মনে করা ভিত্তিহীন।

তাকরীরাতে রাফেয়ী -১১৬

 

ফজিলত

১. রব্বুল আলামীন বলেন,

وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَّعْلُومَاتٍ

তথা যেন তারা নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে।’ (সুরা হজ, আয়াত : ২৮)

রঈসুল মুফাসসিরীন ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, এখানে ‘নির্দিষ্ট দিন বলতে ‘আইয়ামে তাশরিক’ ও ‘আল্লাহর স্মরণ’ বলতে তাকবিরে তাশরিক বোঝানো হয়েছে।

(সহীহ বুখারি, অধ্যায় বাবুল ঈয়াদাইন)

২. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন,

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏”‏ مَا الْعَمَلُ فِي أَيَّامِ الْعَشْرِ أَفْضَلَ مِنَ الْعَمَلِ فِي هَذِهِ ‏”‏‏.‏ قَالُوا وَلاَ الْجِهَادُ قَالَ ‏”‏ وَلاَ الْجِهَادُ، إِلاَّ رَجُلٌ خَرَجَ يُخَاطِرُ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ فَلَمْ يَرْجِعْ بِشَىْءٍ ‏”‏‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যিলহাজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনের আমল, অনান্য দিনের আমলের তুলনায় উত্তম। তারা জিজ্ঞাসা করলেন, জিহাদও কি (উত্তম) নয়? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেলেনঃ জিহাদও নয়। তবে সে ব্যাক্তির কথা স্বতন্ত্র, যে নিজের জান ও মালের ঝুঁকি নিয়েও জিহাদ করে এবং কিছু্ই নিয়ে আসে না।

সহীহ বুখারী ইফা. হাদিস নং ৯১৮

 

বিধান

* তাকবীরে তাশরীক পুরুষের জন্য উচ্চ স্বরে বলা ওয়াজিব। আর মহিলারা নিম্ন স্বরে বলবে।

ফাতাওয়া হিন্দিয়াহ ১.১৫২

* যদি কেউ ফরয নামাযের পর সাথে সাথে তাকবীরে তাশরীক বলতে ভুলে যায় এবং নামায ভঙ্গ হয় এমন কোনো কাজে লিপ্ত হয়, যেমন মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া অথবা ইচ্ছাকৃত বা ভুলে কোন কথা বলে ফেলে ইত্যাদি, তাহলে তার উক্ত ওয়াজিব ছুটে গেল।তার তাওবা ইস্তেগফার করতে হবে।আর যদি মসজিদ থেকে বের না হয় বা কোন কথা-বার্তা না বলে তাহলে স্মরণ আসার সাথে সাথে তাকবীরে তাশরীক বললে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।

এমনকি কেবলা থেকে সিনা ঘুরে গেলে অথবা অনিচ্ছাকৃত অযু ভেঙে গেলেও তাকবীর বলে নেওয়া উচিত।

ফাতাওয়া হিন্দিয়াহ ১.১৫২.

* আইয়ামে তাশরীক তথা নয় তারিখ থেকে নিয়ে তের তারিখের ভিতরে কোন নামাজ কাযা হয়ে গেলে ঐ দিনগুলোতেই যদি তার কাযা আদায় করা হয়,তাহলে ঐ কাযা নামাযের পরও তাকবীর বলতে হবে নচেৎ বলতে হবেনা।

ফাতাওয়া হিন্দিয়াহ ১.১৫২

লেখক: আব্দুল্লাহ ইদরীস

সহকারী শিক্ষা সচিব,

জামিয়া দারুল উলুম মুহিউস সুন্নাহ, আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি