ঠাকুরগাঁও জেলার পশুর হাটগুলো এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে আর অন্যদিকে কোরবানীকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই পশুর হাট শুরু হয়েছে। হাটগুলোতে মাক্স, হেন্ডগ্লোগস ছাড়াই ও সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে পশু ক্রয়-বিক্রয়। এতে যেন পশুর হাটগুলো করোনা সংক্রমনের খনি ও মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
আবার ল্যাম্পি স্কিন নামক গবাদি পশুর নতুন একটি ভাইরাস দেশব্যাপীর মত এ জেলাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। এর পরেও পশুর হাট গুলোর কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই চলছে ক্রয়-বিক্রয়। বাজার গুলোতে নেই কোন পশু রোগ নির্ণয় করার ব্যবস্থা, নেই কোন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পশু ডাক্তার বা পর্যবেক্ষণ টিম।
এমন দৃশ্য দেখা গেছে সদর উপজেলার বড়খোচাবাড়ি, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহীড়ি হাটসহ জেলার বিভিন্ন পশুর হাটগুলোতে।
এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ, দিনাজপুর হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২২৭ জন, সুস্থ্য হয়েছে ১৬০ জন, ও করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
অন্যদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সূত্রে জানাযায়, ল্যাম্পি স্কিন রোগে আড়াই হাজার গবাদি পশু আক্রান্ত হয়েছে, এবং মৃত্যু হয়েছে ২০টি গরুর।
গরু ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, গরু গুলোকে কোন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বাজারে প্রবেশ করা হচ্ছে। মাক্স বা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা উচিত বলেও মনে করেন তারা কিন্তু নানা অযুহাত দেখিয়ে মানছেন না কেউ কোনো স্বাস্থ্যবিধি। করোনার কারণে ক্রেতা কম হওয়ায় ও গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগের কারণে গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম অনেক কম।
এবিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলতাফ হোসেন বলেন, কোরবানীর ১৫ দিন আগ থেকে গরুর হাটগুলোতে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, করোনার মতো ল্যাম্পি স্কিন রোগেরও সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। তার পরও জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ও এন্টি হিসটামিন জাতীয় ঔষধ প্রয়োগ করতে বলা হয়। এছাড়াও ইমিউইনিটি বাড়ানোর জন্য ভিটামিন সি ও ঘা শুকানোর জন্য জিংক জাতীয় খাবার প্রয়োগ করা যাবে।
মোঃজাহিরুল ইসলামঃ ঠাকুরগাঁও থেকে
Some text
ক্যাটাগরি: খবর
[sharethis-inline-buttons]