পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলমানদের জন্য অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় এবাদত। সামর্থবান মুসলমানরা এইদিনে আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় পশু কোরবানি করে থাকেন। কোরবানি ইসলাম ধর্মের অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ এবাদত, যা মুসলমানদের জন্য ওয়াজিব করা হয়েছে। জিলহজ্জ মাসের ১০থেকে ১২তারিখের মধ্যে যে ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ সম্পদের অর্থাৎ সাড়ে সাত ভরি স্বর্ন অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার যে কোনো একটি সম পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তারজন্য গরু,মহিষ উট এগুলোর একটা অংশ অথবা ছাগল দুম্বা এসব পশুর একটি কোরবানি করা ওয়াজিব।
বিশ্বনবী মোহাম্মদ (সাঃ)কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে,কোরবানি কি? রাসুল (সাঃ) উত্তরে বলেন, কোরবানি হচ্ছে তোমাদের পিতা ইব্রাহিম (আঃ) এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। কোরবানিতে পশু জবাই করা অপরিহার্য বিধান। আমাদের ইমাম- ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর মতে তা ওয়াজিব। এবার বিশ্বপরিস্থিতি ভিন্ন। মহামারি করোনা ভাইরাসে গোটা বিশ্ব আতংকিত। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেও এর প্রাদুর্ভাব দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কোরবানি কিভাবে করবেন তা নিয়ে সকলেই চিন্তিত।
ইসলামী জ্ঞান না থাকায় কেউ কেউ করোনা পরিস্থিতির দোহায় দিয়ে এবার কোরবানি না করার পরামর্শ দিচ্ছেন। কোরবানি না করে তার অর্থ গরিব মানুষের মাঝে বিতরণ করার ও পরামর্শ দিচ্ছেন কেউ কেউ। যা সম্পূর্ণ ইসলামী আকিদাহ বিশ্বাস ও কোরআন হাদিসের পরিপন্থী। কোরবানি না করে তার অর্থ দান করলে কোরবানি আদায় হবে না। তবে যারা কোরবানি দিবেন তাদের উচিৎ করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুস্বরণ করে কোরবানি দেওয়া।
করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কোরবানি করা সম্ভব। যতই কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক না কেন, কোনো অজুহাতে কোরবানির মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি এবাদত পরিহার করা ইসলামে কোনো সুযোগ নেই। যারা কোরবানি না করে তার অর্থ দান করার কথা বলছেন, তারা মূলত অজ্ঞতাবশত ইসলামের অন্যতম এক ওয়াজিব বিধানের প্রতি মুসলমানদের নিরুৎসাহিত করছেন।
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
যুগ্ম সম্পাদক, ইসলামী ঐক্যজোট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]