আজ কবি আল মাহমুদ এর ৮৪তম জন্মজয়ন্তী
কবিতা ‘অনিবার্য কিংবদন্তি’
| ১১ জুলাই ২০২০ | ১:২৭ অপরাহ্ণ
প্রবল এক বর্ষন মুখর বজ্র রাতে বিধাতাক্রান্ত অঙ্গে
কবিতার সোনার চামচ মুখে আবির্ভূত হলেন এ বঙ্গে।
আধুনিককালের ঈশপ জন্ম নিলেন মৌড়াইলে তিতাস নদীর পাড়,
প্রেরণামূলক গল্পের ঝুলি আব্দুস শুক্কুর আল মাহমুদ নাম তাঁর।
আঠার বসন্তের এক আত্ম প্রত্যয়ী যুবক
ঢাকার পথে দিলেন পাড়ি মুখে কবিতার স্তবক।
পরনে খদ্দরের পায়জামা,পিরহান গায়ে
রাবারের স্যান্ডেল ছিল দু’ পায়ে।
বগলের নিচে গোলাপফুল আঁকা ভাঙা সুটকেস
তাঁর কথার জাদুয় অবাক বিশ্ব বিমোহিত বাংলাদেশ।
পূর্ববঙ্গীয় লোকসত্ত্বাকে ধারণ করে মৌলিকত্বে রচিলেন নিজ ভাষায়
বাংলা কবিতার রাজধানী কবির সাধনায় চলে এলো ঢাকায়।
পিতা মীর আবদুর রবের জীবন হল ধন্য
মাতা রওশন আরা মীরের জীবন অনন্য
সোনালী কাবিনের কবিকে জন্ম দিবার জন্য।
দেশের আনন্দে তাঁর কবি হৃদয় নেচে উঠেছে সুখে
কখনো বেদনায় দুমড়ে মুষড়ে গেছে স্বদেশের দুখে।
কী প্রেম দ্রোহ,দেশ,সাম্য,একেশ্বরবাদী পাঠ
বাংলা কবিতার রাজ্যে তিনিই একক সম্রাট।
শক্তি সাহস যুগিয়েছেন কবিপত্নী সৈয়দা নাদিরা বেগম
হে মহীয়সী বঙ্গ ললনা তোমাকে অভিবাদন ও স্বাগতম।
কবি মনের সুপ্ত সাধ ঠিকই পূরণ করেছেন মহাজন
শুক্রবার দিন শেষে ফাল্গুনের রাতে ঘটালেন মিলন।
➤হাজী ভিলা
খিলবাড়ির টেক,বড়ইতলা বাজার।ঢাকা।
১০ জুলাই ২০২০ইং
➤ মানুষ
ও মানুষ তুই মানুষ হবি কবে
মৃত্যুর পরে নাকি তার আগে?
আমি পুরুষ,মানুষ হতে পারিনি
খুঁজে ফিরি লিঙ্গভেদ মানুষ খুঁজিনি!
‘মানুষ মানুষের জন্যে,জীবন জীবনের জন্যে’
এ কথা হৃদয়ে লালন করেনি গর্ব অহংকারে,
মানুষের তৈরী কিছুই নেই আজি প্রয়োজনে
মানুষ বন্দী ঘরে,খাঁচার পাখি আকাশে উড়ে।
১১ মে ২০২০ইং
রূপসা নদীর তীর, খালিশপুর, খুলনা।
➤“ঈদ শুভেচ্ছা “
আকাশের বিশালতা,অরণ্যের সজীবতা,
সাগরের গভীরতায় মনের গহীন থেকে
আপনাকে জানাচ্ছি ঈদ মোবারক।
সুখরাঙা প্রীতিময় হোক আপনার সারাটি ভুবন
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক দুনিয়াবি জীবন।
আমিন।
➤”ওপারে ভাল থাকুন ”
কেন চলতে চলতে চিরদিনের জন্য চলে যেতে হয়
জীবন নদীর মত নিরবধি কেন চিরকাল বহমান নয়?
যে মানুষটি ছিলেন স্বল্পভাষী,মুখে লেগে থাকত হাসি
কথা-কর্মে, হাটা চলায় বিনয় ঝরে পড়ত রাশি রাশি।
কাইতলা যঁজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী
কাজের ফাকে পাঠদানও করতেন,বেশ পরোপকারী।
হয়তো কোনো দিন স্কুলে ফিরবেন না আর
সকলের প্রিয় বাবু কৃষ্ণ চঁন্দ্র শিব ধিরু স্যার।
১ জুন ২০২০ইং
রূপসা নদীর তীর, খালিশপুর, খুলনা।
➤”করোনা এখন কসবা”
| ০৩ জুন ২০২০ | ৪:৫৮ অপরাহ্ণ
FacebookTwitterEmailShare28
করোনার হাত নেই,পাখা নেই হাটে ভর করে মানুষের পায়
ট্রেনে বাসে সিএনজি কিংবা ভ্যানে করোনা এখন কসবায়।
করোনা চারগাছ,মেহারী,দেলী,খেওড়া,খাড়েরার হাটে
কসবা,কুটি,চৌমুহনী অলিগলির চা দোকান রাস্তার বাটে।
নয়নপুর,গোপীনাথপুর ইমামবাড়ি কসবা মন্দবাগ রেলস্টেশনে
তিনলাখপীর,মূলগ্রাম, বল্লভপুর,শিমরাইল ঈদ ফ্যাশনে।
মূল্যবান জিনিসের দাম সততই হয় একটু বেশী
অদৃশ্য করোনা ফ্রি তাই ক্রেতাগণ ইদানিং খুশী।
মৌচাকের মধু খেতে লাগে অমৃত বেশ
তিক্ত জেনো মৌমাছির শূল ফুটানো রেশ।
করোনা মুক্ত আমাদের কসবা
গর্বের সে বুলি মুখে নেই কেনবা?
অবাধে ঘুরাফেরা-নিজের পায়ে কুড়াল মারা
এসব কথা কে শুনে গো লক্ষী পেঁচাটি ছাড়া!
রচনাকাল: ১৭ মে ২০২০ইং
রূপসা নদীর তীর।
➤ব্রাহ্মণবাড়িয়া আমার অহংকার
যত দূরে যাই মন পড়ে থাকে আঁকা বাঁকা তিতাসের তীরে
যত কাছে যাই নিজেকে খুঁজে পাই বুড়িনদীর পাড়ে।
এখানে কেটেছে আমার দূরন্ত মধুময় শৈশব
অদের খালে এক পায়ে বসে থাকে কানাবক।
মাছরাঙা ধরে মাছ,ঘোলাজলে ডুব দেয় পানকৌড়ি
এখানে জন্মেছি আমি,গড়েছি শান্তিনিবাস ঘর বাড়ি।
এখানে জন্মেছে ঈসাখান,আশোক শাহ,ওস্তাদ আলাউদ্দিন কত নাম;
মাহমুদ শাহ,গেছুদারাজ,শায়খুল বাঙাল,পীর খালেক ঘুমিয়ে অবিরাম।
সুপ্রাচীন কাল থেকে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির তীর্থ ভূমি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উপমহাদেশের এক অনন্য সাংস্কৃতিক রাজধানী।
সেদিনের শান্তির জনপদে কেন অগ্নুৎপাত ঘৃণার বৃষ্টি ঝরে,
তবে কি ক্ষুদিরাম,উল্লাস কর দত্তের চেতনা গিয়েছে মোদের মরে?
আমার জেলার গ্যাস বিদ্যুতে প্রগতির যান তুফান বেগে চলে
নৌ বন্দর,ব্যস্ততম স্থলবন্দরের বৈদেশিক অর্জন সেই কথাই বলে।
বাউনবাইরার মানুষের আতিথেয়তার নেই কোন জুড়ি
দেখতে হলে বন্ধু সময় করে একদিন এসো আমার বাড়ি।
তবে কখনো সংঘর্ষের জনপদ হিসাবে হচ্ছে শিরোনাম
পান থেকে চুনখসা নিয়ে ঘটে তর্কবিতর্ক-কুরুক্ষেত্র
লজ্জায় মুখ ঢাকি,ক্ষয়েক্ষয়ে যায় জ্ঞানী গুণীদের দাম।
স্বচ্ছ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে যখন নিজেকে বলি কী প্রয়োজন?
ভেতরের আমি বলে উঠে ঘটাতে মানসিক ও মানবিক উন্নয়ন।
বিশ্বসংগীতের পাদপীঠে কেন বাজেনা ভৈরবী মিলনের বাঁশি?
কেন ফোটেনা পদ্মবিলের মত শিষ্টাচার,সততার ফুল অহর্নিশি!
কারণ,বিপিন পালের পুতুল নাচ দেখেনা,আলাউদ্দিন রাগ,মলয়া শুনেনা
পড়েনা অদ্বৈত,আঃ কাদির,কবির চৌধুরী,আল মাহমুদ রচনাবলী
আবদুর রসুল,ধীরেন্দ্রনাথ,কুদ্দুস মাখন,সিরাজুল হকের রাজনৈতিক মতাদর্শ
জানতে চায়না তরুণ প্রজন্ম নিজের মাঝে খোঁজে না সেই আদর্শ।
আমার আছে হাজার বছরের শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি গৌরবের ইতিহাস
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন গালি হবে অতি উৎসাহী কেউ করছো পরিহাস?
চাঁদ সওদাগরের সপ্তডিঙা,কালিদহ সায়র থেকে;
অস্ট্রো-মঙ্গোলিয়ান,কোচ হাজং চাষাবাদে;
কৈলাগড়,শাহবাজ খানের নৌ বহর থেকে খুঁজে নিও আমার ইতিহাস এই উর্বর জনপদে।
(২০.০৪.২০২০ইং, খালিশপুর,, খুলনা ),
➤যাকাতে মোলাকাত
(দেশ দর্শন /৮ জুন ২০২০ইং)
আল্লাহর নেয়ামত প্রাপ্তদের সাথী হবেন যাকাত প্রদানকারী’
বৈধ উপার্জন এবং ভূমি থেকে উৎপন্ন ফসল অকৃপণ হাতে ব্যয় করা কল্যাণকর’।
ধনীরা না গড়লে সম্পদের পাহাড়,সমাজে কাঁদবেনা অনাহারী।
এই জীবন শেষে যেদিন আসবে আরেক জীবন হলে কিয়ামত
ধনীদের করুণা নয়,বুঝবে সবে যাকাত গরীবের অধিকার,
দেখবে হাশরবাসী এটি ধনিদের জন্য আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত।
‘নামায কায়েম করো এবং যাকাত আদায় করো’ আল্লাহর ফরমান,
অস্বীকারকারী কাফির,অনাদায়কারী ফাসিক,প্রজ্বলিত অগ্নি পরিণাম।
যাকাত ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের চতুর্থ একটি ফরয বিধান।
নামাজ ও যাকাতে পার্থক্য করলে বাধবে যুদ্ধ
ঘোষণা করলেন আবু বাকার
‘যাকাত নেয়া হবে ধনীদের কাছ থেকে এবং অভাবীদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হবে”
বললেন সিদ্দিকে আকবর,”যাকাত সম্পদের অধিকার”।
একজন স্বাধীন মুসলিম আকেল সাবালক এবং
নিসাব পরিমাণ সম্পদের পূর্ণাঙ্গ মালিকানা পূর্ণ এক বছরের মালিক যিনি
এই সপ্ত শর্তে ফরজ হবে যাকাত আমরা কী তা জানি?
যাকাত আদায়কারীগণ ফকির মিসকীন
ফিসাবিলিল্লাহ, মুসাফির, আছে যার ঋণ
এমন আটজনা পাবে যাকাত আল কুরআনের বাণী;
“যাকাতের সম্পদ কমে না” বলেছেন ইসলামের নবী।
গরীবের প্রয়োজনে,অভিশপ্ত পুঁজিতন্ত্রের মূলোৎপাটনে,দারিদ্র বিমোচনে,সম্পদ পবিত্র ও বরকতময় করে গরীব-ধনীর মাঝে সেতুবন্ধনে;
আল্লাহর দেয়া রিযক হতে যাকাত প্রদানকারীই মুত্তাকী।
স্বর্ণ ও রৌপ্য জাহান্নামের আগুনে করে উত্তপ্ত
ললাট, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দেয়া হবে দাগ
বলা হবে “এটা তা, যা তোমরা নিজেদের জন্য পুঞ্জিভূত
করেছিলে গরীবের ভাগ!
কিয়ামতের দিন পার্থিব সম্পদ হবে চোঁখের ওপর কালো দাগ আঁকা বিষধর সাপ
স্বীয় চোয়ালদ্বয় দ্বারা কামড়াবে কৃপণে, বলতে থাকবে, ‘আমি তোমার ধনভাণ্ডার। আমিই তোমার অনাদায়ী সম্পদের পাপ’।
নিসাব পরিমাণ সম্পদের এক চল্লিশাংশ দিলে যাকাত
সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণের বিক্রিত মৃল্য যদি হয় নিসাব
ওপারে বেহশতি হুর গেলমানের সাথে হবেই মোলাকাত।
💻এস এম শাহনূর (৮ মে ২০২০ইং)
রূপসা নদীর তীর,খালিশপুর, খুলনা।
যাকাতে মোলাকাত
আল্লাহর নেয়ামত প্রাপ্তদের সাথী হবেন যাকাত প্রদানকারী'[১]
বৈধ উপার্জন এবং ভূমি থেকে উৎপন্ন ফসল অকৃপণ হাতে ব্যয় করা কল্যাণকর’।[২]
ধনীরা না গড়লে সম্পদের পাহাড়,সমাজে কাঁদবেনা অনাহারী।
এই জীবন শেষে যেদিন আসবে আরেক জীবন হলে কিয়ামত
ধনীদের করুণা নয়,বুঝবে সবে যাকাত গরীবের অধিকার,
দেখবে হাশরবাসী এটি ধনিদের জন্য আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত।
‘নামায কায়েম করো এবং যাকাত আদায় করো’ আল্লাহর ফরমান,[৩]
অস্বীকারকারী কাফির,অনাদায়কারী ফাসিক,প্রজ্বলিত অগ্নি পরিণাম।[৪]
যাকাত ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের চতুর্থ একটি ফরয বিধান।
নামাজ ও যাকাতে পার্থক্য করলে বাধবে যুদ্ধ
ঘোষণা করলেন আবু বাকার
‘যাকাত নেয়া হবে ধনীদের কাছ থেকে এবং অভাবীদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হবে”[৫]
বললেন সিদ্দিকে আকবর,”যাকাত সম্পদের অধিকার”।[৬]
একজন স্বাধীন মুসলিম আকেল সাবালক এবং
নিসাব পরিমাণ সম্পদের পূর্ণাঙ্গ মালিকানা পূর্ণ এক বছরের মালিক যিনি
এই সপ্ত শর্তে ফরজ হবে যাকাত আমরা কী তা জানি?[৭]
যাকাত আদায়কারীগণ ফকির মিসকীন
ফিসাবিলিল্লাহ, মুসাফির, আছে যার ঋণ
এমন আটজনা পাবে যাকাত আল কুরআনের বাণী;[৮]
“যাকাতের সম্পদ কমে না” বলেছেন ইসলামের নবী।[৯]
গরীবের প্রয়োজনে,অভিশপ্ত পুঁজিতন্ত্রের মূলোৎপাটনে,দারিদ্র বিমোচনে,সম্পদ পবিত্র ও বরকতময় করে গরীব-ধনীর মাঝে সেতুবন্ধনে;[১০]
আল্লাহর দেয়া রিযক হতে যাকাত প্রদানকারীই মুত্তাকী।[১১]
স্বর্ণ ও রৌপ্য জাহান্নামের আগুনে করে উত্তপ্ত
ললাট, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দেয়া হবে দাগ
বলা হবে “এটা তা, যা তোমরা নিজেদের জন্য পুঞ্জিভূত
করেছিলে গরীবের ভাগ![১২]
কিয়ামতের দিন পার্থিব সম্পদ হবে চোঁখের ওপর কালো দাগ আঁকা বিষধর সাপ
স্বীয় চোয়ালদ্বয় দ্বারা কামড়াবে কৃপণে, বলতে থাকবে, ‘আমি তোমার ধনভাণ্ডার। আমিই তোমার অনাদায়ী সম্পদের পাপ’।[১৩]
নিসাব পরিমাণ সম্পদের এক চল্লিশাংশ দিলে যাকাত
সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণের বিক্রিত মৃল্য যদি হয় নিসাব
ওপারে বেহশতি হুর গেলমানের সাথে হবেই মোলাকাত।
💻এস এম শাহনূর (৮ মে ২০২০ইং)
রূপসা নদীর তীর,খালিশপুর, খুলনা।
➤কোরআন হাদীসের ঈঙ্গিতপূর্ণ তথ্যসূত্র:
[১] সূরা নিসা-৬৯
[২] সূরা বাক্বারা: (২৬৭),আলে-ইমরান: (১৮০)।
[৩] [দেখুন ২:৪৩, ২:৮৩, ২:১১০, ২৪:৫৬, ৫৮:১৩ ইত্যাদি আয়াতগুলো।]
[৪] সূরা হুমাযা-১০৪:১-৯
[৫] বোখারী
[৬] বোখারী
[৭] ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী,
[৮] আল কুরআন, ৯:৬০।
[৯] মুসলিম:৬৭৫৭, তিরমিযী:২০২৯।
[১০] আল কোরআন- ৯:১০৩।
[১১] সূরা বাক্বারা
[১২] সুরা তওবা ৩৪-৩৫।
[১৩] বুখারি
➤তিনি আমাদেরই লোক
সুশাসন,অনাবিল সুখ শান্তির নিশ্চয়তায় সমাজ সেবায় অভিষেক,
জ্ঞানের স্নিগ্ধ আলোয় অগণিত নবীন প্রাণে এক প্রেরণার নায়েক।
কতকাল ধরে এমন একজনার অপেক্ষায় জনগণ,
নাম তাঁর এডভোকেট রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবন।
পরোপকারে নিজেকে সপেছেন দিনে কিংবা রাত বিরাতে,
সুনিপুণ হাতে নানান মতবাদ বেধেঁছেন একই সাথে।
নিরলস,নিরহংকার, কঠোর সংগঠক, সাদামাটা জীবন;
কসবা-আখাউড়ার হিংসার রাজনীতিকে দিয়েছেন নির্বাসন।
হতদরিদ্রের কষ্টে কাঁদেন,উন্নয়নের স্বপ্নে বিভোর;
খলিফা ওমরের মতই কখনো হেটে যান বহুদূর।
বেকারত্বের অভিশাপ হ্রাস অার সামাজিক অবক্ষয়,
জনকল্যাণে মিলেছে তাঁর মহানুভবতার পরিচয়।
সোনাঝরা সকাল, তপ্ত দুপুর কিংবা মায়াময় উদাসীক্ষনে
তাঁর নামের সুরভী ছড়িয়ে বেড়ায় মাঠঘাট, চা-দোকানে।
সহধর্মীনি মিসেস জীবন সদা হাস্যউজ্জল এক সংসারী নারী
সুভাষিণী গুণে,অতিথি অাপ্যায়নে নেই তাঁর জুড়ি।
মমতাময়ী মাতা ওয়াহিদা শিরিন,পিতা অাব্দুর রশিদ মাষ্টার,
নয়নপুরের ভূঁইয়া বাড়ী ছিল তিন ভাই,এক বোনের এক সুখী সংসার।
ছোট্ট কালেই তিনি ছিলেন তুখোড় মেধাবী;
আজ তাঁরই মাঝে স্বদেশ দেখে এক মহান নেতার ছবি।
কর্মের গুনে হয়ে উঠেছেন সবার পরম আপনজন,
কৃতজ্ঞ চিত্তে করবে স্মরণ আগামীর জনগণ।
[কবিতা:তিনি আমাদেরই লোক/এস এম শাহনূর ]
➤ডাকাতিয়া নদী
নন্দিত গানের কবি মিলন খানের শৈশব ও কৈশোরের স্মৃতি বিজড়িত নদী
ডাকাতিয়া নাম তার,মোলহেড ঘূর্ণাবর্ত থেকে অহর্নিশি বয়ে চলে নিরবধি।
হুইসল বাজিয়ে ঢাকার পথে চলে যায় রাতের সিনবাদ
পূবের হাওয়ায় দুলি বসে আমি জাহাজের মাস্তুলে
আকাশে উঠেছে থালার মত গোলগাল পূর্ণিমার চাঁদ।
আমি পথিক কবি,জলের কবি চাদের সাথে কথা কই
তারার সনে হেসে খেলে ঝিকিঝিকি জলের সনে পাতি সই।
নদীর এই ঘোলা জলে হয়তো কবি করেছেন স্নান,
হয়তো কবি সাঁতরিয়ে গিয়েছেন এপার থেকে ওপার,
হয়তো কবি এই ঘোলা পানি করেছেন পান ।
হয়তো কবি কখনো এখানে ধরেছেন ভাসা মাছ
হয়তো কবি ডাকাতিয়া নদী তীরে দীর্ঘকাল করেছেন বসবাস।
পদ্মা মেঘনা ডাকাতিয়া তিন নদীর মিলন মোহনা
এখানে গড়ে উঠেছে চাঁদপুর শহর নেই অজানা।
মোলহেড রক্তধারা ইলিশ চত্বর
উত্তরে রেখে
কবির শৈশবের নদী কুলকুল করে বয়ে গেছে এঁকেবেঁকে ।
দক্ষিণে পুরান বাজার, পুরান বাজার শাহী জামে মসজিদ বহু প্রাচীন ঘরবাড়ি,
পূর্বে পুরাতন লঞ্চঘাট রেলস্টেশন,একটু সামনে গেলেই পুরান বাজার ব্রিজ বেঁধেছে দুই নগরী।
নদীর দুই তীরে কত স্থাপনা,গাছপালা,কত ঘর বাড়ি।
এখনো ঘোলা জলে ডুব দেয়, সাঁতার কাটে লেংটা ছেলের দল,ঢ়
রোদে পুড়া কুচকুচে কালো দেহখানি ব্রজেন দাসের মত সাঁতার কেটে পার হয় কাকচক্ষু জল।
চলন্ত বালি বোঝাই নৌকায় উঠে লাফ দেয় জাফ দেয় ডাকাতিয়ার জলে,
এক আকাশ আনন্দ বুকে নিয়ে ভাসে একদল বাঁধনহারা ছেলে।
তিনি এখন আর শব্দ দূষন মুক্ত চাঁদ সওদাগরের শহরে থাকেন না।
তিনি এখন আর বিশুদ্ধ অক্সিজেন যুক্ত জেলা শহরে থাকেন না।
তিনি এখন আর ডাকাতিয়া নদীর তীরে থাকেন না।
তিনি এখন আর ডাকাতিয়া নদীর তীর ধরে খালি পায়ে হাঁটেন না।
তিনি এখন আর খালি পায়ে ডাকাতিয়ার পানিতে নামেন না।
তিনি থাকেন হাজারো নিয়ন বাতির আলো ঝলমলে শহরে
তিনি থাকেন জ্যামে ঠাসা শব্দ দূষণের নগরে।
তিনি থাকেন বায়ু দূষণের ভাগাড়ে।
তিনি থাকেন অট্টালিকার রাজধানীতে
তিনি থাকেন আভিজাত্যে মোড়ানো সোসাইটিতে,
তিনি থাকেন ক্যাসিনো পাড়ায়,জুয়াড়ি, ঘুষখোর দালালদের বাড়ির পাশে
তিনি থাকেন বিবেকহীন মানুষরূপী বড় সাহেবদের আশেপাশে।
সময়ের প্রয়োজনে রুটি রুজির সন্ধানে উচ্চবিত্তদের মাঝে করেন বাস
তবে মধ্যবিত্তের অন্তর তাঁর ডাকাতিয়া নদীর জন্য পুড়ে বার মাস।
[৫ জুন ২০২০ইং, ডাকাতিয়া নদীর তীর, চাঁদপুর]
ব্যথার দান (কবিতা):
২০ জানুয়ারি ২০২০ | ৮:১০ পূর্বাহ্ন
কেমনে কিনিব তোমার যে অনেক দাম!
সকালের সূর্যের মতই জীবনের প্রথম প্রেম
তুমি হতে পারনি রাধে আমি হয়েছিনু শ্যাম।
জীবনের কিছু উপাখ্যান তুমি হীনা কেউ জানেনা
সারা দুনিয়ার সম্মান দিয়েও তার পূর্ণতা পায়না।
আমি চিরকাল এমনি এক আকুল প্রাণ
কখনো চাইবো না ভালবাসার প্রতিদান।
দূরন্ত সময়ের কাছে এক চৌকস জান্তার পরাজয়
প্রেমের ইতিহাসে একদিন লেখা হবে অমর অক্ষয়।
ভূ মধ্যসাগরের নীল জলরাশির মত
সত্য সুন্দর তুমি অথচ অপেয় সতত।
মায়া ভরা এই পৃথিবীর অপরূপ দেখে তৃষিত দু’চোখ
গোধূলীর পূবাকাশে দেখি চেয়ে তোমার চাঁদপানা মুখ।
দিনের আলোয় যাহারে পাইনিকো খোঁজে খোঁজে
দিনশেষে খুঁজি তারে লাখো কোটি নক্ষত্রের মাঝে।
শতজনমে তাহারেই চেয়েছি,করেছি অনুসন্ধান
তাহারি লাগিয়া দিবস রজনী কাঁদে ব্যথির প্রাণ।
শুন্যে ডানা মেলে নীলাকাশে উড়ে বেড়ায় গাঙচিল
তার কর্নিয়ায় দেখেছি তোমার কপোল কালো তিল।
জেলিফিশের মত তোমার নরম শরীরের মোহ
আমায় ইশারায় ডেকেছে কত তবু চাইনি দেহ।
আলোর ভেলায় ভোজাই হিরে মানিক্য যত
কোন সে ভুলের তরে সেই ভেলা হলো লুন্ঠিত?
আমিতো তাহারে উজাড় করে দিয়েছি মন প্রাণ
শুনিয়েছি তারে তিয়াসা পাড়ে জীবনের যত গান।
তারা ভরা মাধবী রাত,ছিল পূর্ণিমার চাঁদ
স্বর্ণলতার মত অধরে জড়িয়ে ছিল হাত।
দুটো অবুঝ হিয়ার কথামালা নদীর মত কল কল
জীবন নদীর মিলন মোহনায় গতিফের আঁখিজল।
সেই থেকে আজ কতকাল দেখিনি তোমায়
বড় ইচ্ছে করে একবার ছুঁয়ে দেখি তোমায়।
তোমার মনের বাতায়ন পাশে বেঁধেছি ইচ্ছে খেলাঘর
শোন,কেউ না জানুক আমায় তুমি করেছ কতটা পর।
প্রেমহীনের বন্ধু তুমি,পরম প্রিয়া ও সখী
নয়নের জলে তোমারে অমল করে রাখি।
কতজনারে কতকী কয়ে নিতাম তোমার সর্ব খোঁজ
তব মৌবনে গুন-গুন করত কত রসিক ভ্রমর রোজ।
তুমি নাকি এখন মাথায় হিজাব,চোঁখে মোটা চশমা পর
কোমল কচিকাঁচা শিশুদের ভবিষ্যৎ মানুষ হিসাবে গড়।
তবে কী তুমি খোলনা আর দক্ষিণা দ্বার
খোঁপার ভাঁজে গাঁথনা আর পাতাবাহার?
আলতা পায়ে নুপুর,মেহেদী রাঙা হাতে কাঁচের চুড়ি
লাল টিপ কপালে,হলুদ বরণ গায়ে জামদানী শাড়ি?
রিমঝিম বৃষ্টি এলে শ্রেণির পাঠাদান ফেলে
লজ্জার মাথা খেয়ে ভিজ কি স্ফটিক জলে?
বই কিংবা খাতার ভাজে খোঁজ নাকি প্রেমিকের চিঠি
চিঠি পড়ে পিছে কেউ না দেখে ছিড়ে করতে কুটিকুটি।
তোমার আমার প্রথম দেখা, প্রথম অবাক চাওয়া
মনে কী পড়ে কোথা সেথা বেণু বীনে গান গাওয়া?
পোস্ট অফিসের পিছনে একটি কদম গাছ
স্বাক্ষী আছে কদমের ফুল ছিল শ্রাবণমাস।
দুহাত দিয়ে বই খাতা বুকে জড়ানো কদম গাছের ছায়
এমনি করি অনুক্ষণ বুকে জড়াইয়া রাখিতে যদি আমায়!
তোমার তৃষিত দুচোঁখে ছিল চকিত চাহনি
মলয় হাওয়ায় দোলেছিল গো বেণুন বেণুনি।
নাকে ছিল শিশির বিন্দু,রূপার নূপুর পায়
চেয়েছিলে পথপানে সে কি আমারি আশায়?
তোমাদের বাড়ির পূর্বদিকের পুকুরের পশ্চিম পাড়ে
শানবাঁধানো ঘাটে এখনো ভোরের সূর্য খেলা করে।
মাঘের শীতে রোদ পোহাতে তখন ভাবিতাম
সলিল হলে স্নানে সোনার অঙ্গে জড়াইতাম।
মিঠা পুকুরের পর বাজারের পথ,তারপর উঠে রবি
এই পথ ধরে হাটিতে চলিতে হয়েছি পথিক কবি
আমার ভালবাসার টিয়ে পাখি এখন কাক
আমাতে তোমা ভালবাসার পাখি বেঁচে থাক।
তুমি থাক মহা সুখে শাহবাজ খানের ঐতিহাসিক শহরে
আমি শুধু মিছে খুঁজি তোমায় হাজার লোকের ভীড়ে।
তুমি আমি হাসি খেলি স্বপ্নের জগতে
বিষন্ন মন নিয়ে ঘুম ভাঙ্গে প্রতি প্রাতে।
তোমা হতে বিদায় যেন বিষাদে ভরা তীর ভাঙ্গা ঢেউ
বুঝিবে সে কিসে মাঝ দরিয়ায় তরী না ডুবিলে কেউ।
কথায় বলে,নারীর বুক ফাটে তো মুখ ফুটেনা
তবে কেন ভেবে দেখিনি তোমার যোগ্য কিনা!
তোমায় আপন করে না পাওয়া এ আমার চরম দীনতা
সুখ পাখিটার প্রস্থানে আজ অহর্নিশি হিয়ার কাতরতা।
চঞ্চলা ঝর্ণার ছুটে চলা,পাথরের নিরব কান্না
তুমি ছাড়া নেইকো যাযাবর জীবনে তামান্না।
অন্ত চাওয়াগুলো পেলে নাকি এক এক করে মরে যায়
তাই আমার পরম চাওয়া গুপ্ত রেখেছিলেম নাযেন হারায়।
অথচ তুমি কি যেন বলতে চাইতে আমায়
ভাবতাম “ভালবাস” তা কী মুখে বলা যায়!
তোমার পরশ পাথরসম ভালবাসা না পাওয়া এই আমি
কত যে তোমাকে ভালবেসেছি তা জানে শুধু অন্তর্যামী।
চারটি বর্ণে মোড়ানো একটি শব্দ ভালবাসা
সফেন সাগরেও নাবিক মনে জাগায় আশা।
যে কথাটি শুনিতে প্রিয়জনের মুখে চমকে উঠে হাসি
বলছি তোমায় ভালোবাসি,ভালোবাসি,ভালোবাসি।
ছুটির দিনে আসবে নাকি তিতাস নদীর তীরে
হেটে যাবো দূর অজানায় তোমার হাতটি ধরে।
তোমার আপারগতার কাছে আমি হার মেনেছি
রানী করে সাজাতে পারিনি বলে হৃদয়ে রেখেছি।
ভোরের বাড়তি ঘুমে আমি তোমার লেপ-কাঁথা
জৈষ্ঠ্যের কাঠফাটা রোদে বিবর্ণ নীলরঙা ছাতা।
তোমার ভালবাসারে ভালোবাসিবে সাধ্য আছে কার?
তোমার আমার মাঝে কেউ নেই সখি মরন ছাড়া আর!
এ অপূর্ণতাই আমাকে দিয়েছে পাখীর স্বভাব
কোনো কিছুতেই পূর্ণ হবার নয় তোমার অভাব!
➤রচনাকাল:৪ জানুয়ারী ২০২০ ইং
বঙ্গোপসাগর জলে ভাসমান।
“রাজার রাজা”
| ৩০ জুলাই ২০২০ | ১০:৫৪ অপরাহ্
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ইন্ডিপেনডেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র /ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে লেখা কবিতা
শিক্ষার জন্য এসো, সেবার জন্য বেড়িয়ে পড়;
ব্রাহ্মনবাড়ীয়া ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্কুল এন্ড কলেজে পড়ো।
আজকে তুমি কর যদি মনে প্রাণে পাঠ গ্রহণ
আগামীর পৃথিবী তোমায় ফুল দিয়ে করবে বরণ।
তোমাদের অআছেন জনাব,ইকবাল হোসেন চৌকশ অধ্যক্ষ;
দেশ বিদেশের অাহরিত জ্ঞানে তিনি বড্ড পরিপক্ব।
ছৈয়দ অাজাদ শিক্ষা বিস্তারে অকৃপণ অভিভাবক
যাঁর গলে শুভিছে অাজি বেগম রোকেয়া পদক।
বন্ধুতুল্য ডজন খানেক মানুষ গড়ার দক্ষ কারিগর,
ধন্য তুমি যদি মনে রাখ তাঁদের সারাটি জীবন ভর।
তোমাদের হাতে থাকবে নতুন ভোরের সূর্য,
শান্তির পথে হাটবে মানুষ,বাজবেনা রণতূর্য।
সমাজ হবে কলুষ মুক্ত, থাকবেনা শংকা,ডংকা,ভয়;
একদিন তোমরাই করবে নোবেল,অস্কার জয়।
তোমরা যাবে সাগর তলে,হিম চূঁড়ায় বার মাস,
পান্ডিত্যের গুনে মঙ্গল গ্রহে করবে বসবাস।
অধ্যবসায় দিবে তোমায় রঙিন একটি জীবন,
সফলতার আলোয় হাসবে তোমার ভুবন।
সততা,শিষ্টাচার, নিয়মানুবর্তিতার চাষাবাদ
পূর্ণ করে দিবে তব মনের যত সাধ।
জ্ঞানে-ধনে,বিবেক -মননে হও রাজার রাজা,
এই বিদ্যাতয়নের কেউ হবেনাকো কারো প্রজা।
৬ জুন ২০১৭ইং
বিজয়পথ,খিলবাড়ির টেক।ঢাকা।
কবি এস এম শাহনূর এর কবিতা “প্রিয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া”
| ১১ আগস্ট ২০২০ | ৫:৫০ অপরাহ্ণ |
জানতে কী ভাই মন চায় তোমার ব্রাহ্মণবাড়িয়া কী করে নাম হলো তার?
রাজা লক্ষণ সেন ধর্মজ্ঞান হীন হিন্দুদের পূজা আর্চনার প্রয়োজনে
মহিশূরের কন্যা কুব্জ থেকে ৫টি ব্রাহ্মণ পরিবার এখানে আনে।
কেউ কেউ বলেন,”ওরা থাকত গায়ে পৈতা জড়াইয়া”।
ব্রাহ্মণের আস্তানা থেকে হতে পারে নাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ষোড়শ শতকে কাজী মাহমুদ শাহ ইসলাম প্রচারে তিতাস পাড়ে এলেন,
ইসলামে আনুগত্য হীন ব্রাহ্মণদের বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন;
“বাউন বাইরা”
“ব্রাহ্মণ বের হয়ে যাও”
তল্পি তল্পাসহ তারা গেল চলিয়া
আল্লাহর ওলীর জবান সত্য,
সেই থেকে নাম হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
কৈলাগড় থেকে ফরাসি শব্দ কসবা কে বল তা জানে না?
রেল স্টেশনের পশ্চিম পাশে ১৩৩৮ খ্রিস্টাব্দে আলাউদ্দিন হোসেন শাহের কৈলাগড় দূর্গের ধ্বংসাবশেষ তার নিশানা।
সিলেট বিজেতা হযরত শাহ জালালের অন্যতম সঙ্গী সিপাহসালার,
হিন্দু অধ্যুষিত ইসলামের বাতিকে জ্বালিয়ে রেখেছিলেন সৈয়দ নাসির উদ্দীন নাম তাঁর।
এখানে দীনের চেরাগ জ্বলে নিশীদিন ভর
সেই থেকে জনপদের নাম হল নাসিরনগর।
বিশাল সরোবরের বুকে জেগে উঠা ছোট ছোট চর
দূর থেকে মনে হত কালিদহ সায়রে বেঁধেছে কেউ আইল,
কালের পরিক্রমায় একসময় নাম হল তার সরাইল।
একসময় মেঘনার পূর্ব পাড়ের ক্রেতা বিক্রেতা যেতেন ভৈরব বাবুর হাটে
অতিরিক্ত করভারে অতিষ্ঠ হয়ে বসালেন হাট সোনারাম পুরের চিকচিক বালুকাময় মাঠে;
সরাইল পরগনার জমিদার কাশিম বাজারের মহারাজা আশুতোষ নাথ রায় উদ্যোক্তাদের ডেকে পাঠান,শোনালেন আশাব্যঞ্জক বাণী;
সেই থেকে মহারাজা আশুতোষ নাথ রায়ের সম্মানে আশুগঞ্জ, কয়জনা তা জানি?
মহারাজা বীর বিক্রম রাধা কিশোর মানিক্য বাহাদুর
বেশ কিছু আখড়া গড়ে ছিলেন কিছু দূর,নাতি দূর;
রাধামাধব,দুর্গাদেবী,মনিয়ন্দ,হাওড়া নদী পাড়ের আখড়া,
এত এত আখড়ার আধিক্যে নাম হল তার আখাউড়া।
কালিদাস সাগরের বুকে পলি জমে জেগে উঠে নবীন চর,
মানুষের প্রয়োজনে চরে গড়ে উঠে নতুন নতুন ঘর,
সংখ্যাধিক্যের মতানুসারে নবীন চরের ঘর থেকেই আজকের নবীনগর।
প্রমত্তা মেঘনার তীরে বাস করতেন জমিদার রূপলাল বাবুর বিশ্বস্ত রায়ত বাঞ্ছারাম দাস,
তার মাঝে জমিদার পেতেন সততা আনুগত্য, বিশ্বস্ততার সুর,
সেই থেকে জনপদের নাম হলো বাঞ্ছারামপুর।
সশস্ত্র যুদ্ধে প্রথম মুক্ত হল মুকন্দপুর,
বিজয়ের পতাকা প্রথম আসে পাহাড়পুর,
যুদ্ধের নয়মাস এ এলাকায় হয় খবরের পর নতুন খবর;
তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা এর নাম দিলেন বিজয়নগর।
রচনাকাল: ২৮ জুন ২০২০ইং
খিলবাড়ির টেক, ভাটারা,ঢাকা।
➤কবিতা-“তিনি আমাদেরই লোক”
“সুশাসন,অনাবিল সুখ শান্তির নিশ্চয়তায় সমাজ সেবায় অভিষেক,
জ্ঞানের স্নিগ্ধ আলোয় অগণিত নবীন প্রাণে এক প্রেরণার নায়েক।
কতকাল ধরে এমন একজনার অপেক্ষায় জনগণ,
নাম তাঁর এডভোকেট রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবন।
পরোপকারে নিজেকে সপেছেন দিনে কিংবা রাত বিরাতে,
সুনিপুণ হাতে নানান মতবাদ বেধেঁছেন একই সাথে।
নিরলস,নিরহংকার, কঠোর সংগঠক, সাদামাটা জীবন;
কসবা-আখাউড়ার হিংসার রাজনীতিকে দিয়েছেন নির্বাসন।
হতদরিদ্রের কষ্টে কাঁদেন,উন্নয়নের স্বপ্নে বিভোর;
খলিফা ওমরের মতই কখনো হেটে যান বহুদূর।
বেকারত্বের অভিশাপ হ্রাস আর সামাজিক অবক্ষয়,
জনকল্যাণে মিলেছে তাঁর মহানুভবতার পরিচয়।
সোনাঝরা সকাল, তপ্ত দুপুর কিংবা মায়াময় উদাসীক্ষণে
তাঁর নামের সুরভী ছড়িয়ে বেড়ায় মাঠঘাট, চা-দোকানে।
সহধর্মীনি মিসেস জীবন সদা হাস্যউজ্জল এক সংসারী নারী
সুভাষিণী গুণে,অতিথি আপ্যায়নে নেই তাঁর জুড়ি।
মমতাময়ী মাতা ওয়াহিদা শিরিন,পিতা আব্দুর রশিদ মাষ্টার,
নয়নপুরের ভূঁইয়া বাড়ী ছিল তিন ভাই,এক বোনের এক সুখী সংসার।
ছোট্ট কালেই তিনি ছিলেন তুখোড় মেধাবী;
আজ তাঁরই মাঝে স্বদেশ দেখে এক মহান নেতার ছবি।
কর্মের গুণে হয়ে উঠেছেন সবার পরম আপনজন,
কৃতজ্ঞ চিত্তে তাঁকে করবে স্মরণ আগামীর জনগণ।
➤রচনাকাল:
জানুয়ারি ২০১৮ইং
বিজয় পথ।ঢাকা।
“পিতৃহন্তা বাঙালি”
| ১৫ আগস্ট ২০২০ | ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ
পট্টিকের থেকে যোজন অপেক্ষা
হাজার বছরের অন্তিম প্রতীক্ষা।
স্বাধীনতার নির্মোহ মন্ত্র পাঠে
পরাধীন পিঞ্জরের শিকল টুটে,
ধরে আনলো সোনার পাখি
পাখির চোঁখে আকাশ দেখি।
১৭৫৭ সালের পলাশীর পর
কেউ রাখেনি বাঙালির খবর।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ সন্ধ্যার পর
রবিবারে জন্ম নিলেন শেখ মুজিবুর।
শোষণ লাঞ্ছনা বঞ্চনার যত ব্যথা
ভুলিয়ে দিলো শেখ মুজিবের কথা।
শিমুল পলাশ রক্ত লাল
ভাঙ্গা তরীতে উঠিল পাল
মুজিব ধরল দেশের হাল।
রক্তে রাঙা খোকার গাল
হাসুর পিতার পাঞ্জাবি লাল
কাঁদে দেশ, হাসে দালাল।
ভোরের সূর্যে রক্ত লাল
প্রভাত রাঙায় রক্ত লাল
লাল লালিমায় রক্ত লাল।
গোলাপ জবা রক্ত লাল
পিতার বুকের রক্ত লাল
লাল গালিচা লালে লাল।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট
শুক্রবার দিন ফজরের পর
রক্ত বৃষ্টি নামে বত্রিশ নম্বর।
সোনার বাংলায় ধরে ঘুন
কুলাঙ্গার পুত্রের হাতে খুন।
পিতার রক্ত মাতার রক্ত
রক্তে ঢাকে মেহেদী লাল,
পোড়ল বাঙালির কপাল
বিশ্ববাসী ঘৃণায় দিল গাল।
সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁস
হত্যায় নেমে এলো সর্বনাশ।
সোনার ডিমের খোঁজে সবাই
আজ দিগ্বিদিক ছুটে বেড়াই!
স্বাধীনতা খুজি শান্তি খুজি
আপন ভালো বেশতো বুঝি!
মীর জাফরের উত্তরসূরী
বাঙালি সমাজে ভুড়িভুড়ি।
ঘসেটি বেগমের ছলচাতুরী
রূপ লভিছে আজ মহামারি।
কম্পিত বঙ্গ, রক্তের অভিশাপ
এ আমাদের পিতৃহত্যার পাপ।
রচনাকাল: ১৩ আগস্ট ২০২০ইং
খিলবাড়ির টেক, ঢাকা।
‘শুভ জন্মদিন হাসুপা’
| ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৫:৪৬ অপরাহ্ণ
বঙ্গবন্ধুর যোগ্যতম কন্যা,
অপ্রসূত বাঙালির প্রাণে
হাজার বছরের অনন্য।
জাতির পিতার মরণোত্তর
বাঙালি জতির ভরসা,
শতবর্ষে হারিয়ে গেলে
মিটিবেনা অন্তিম তিয়াসা।
মানবতার মাকে আমরা
সহজ্র হৃদয়ে ভালোবাসি,
সুখের আধার হাসু’পা কে
হারানোর ভয় দিবানিশি।
বেঁচে থাকলে রাসেল
নিয়ে ঘাতকের অনুকম্পা
আজিকার দিনে বলতেন,
‘শুভ জন্মদিন হাসুপা’।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ইংরেজী।
বরগুনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
ইফতি জাফরহাইটস
কর্ণফুলীর বাতাসে মন হয় গো উতলা
খোলা থাকে দক্ষিণের চাঁদের জানালা।
ঢাকার নেই ফাকা,খুলনাও নয় খোলা
বন্দর নগরীর স্মৃতি যায় কী গো ভুলা?
সুপরিচিত আজিজ মিয়ার গোডাউন
এখন সুরম্য হাইটস আপ এন্ড ডাউন।
বিনিসুতায় বাঁধা ওগো চব্বিশ পরিবার
সুখে দুখে বিপদে আপদে সবাই সবার।
চাটগাঁ থাকি যদি এটিই স্থায়ী ঠিকানা
এসো বন্ধু বর্ষা শীতে নেই কোনো মানা।
২৫ সেপ্টেম্বর২০২০
বিএনএস তিতুমীর,
সাধুরঙ
| ১৯ অক্টোবর ২০২০ | ৬:৪৭ অপরাহ্ণ
করোনা প্রবল বর্ষণ থামাতে পারেনি ধর্ষণ
তাই আজ লিখতে হয় ঘুম ভাঙ্গানোর গান,
পর্দার আড়ালে সাধুসঙ্গে কামদেবীর খেল
কবির কলম নিথর হলে মরবে কোটি প্রাণ।
ধর্ষক ভিন গ্রহের কেউ নয়,অতি পরিচিত
কারো আদরের ভাই,স্বামী কিংবা পিতা,
হালের কলুর বলদ ধর্ম বিবর্জিত পুরুষ
নারীকে দিয়েছে বিশেষণ বেশ্যা পতিতা।
ধর্ষক ভিনগ্রহের কেউ নয়,সভ্য
সমাজের
মুখোশপরা নারী মাংসাশী অসভ্য পতিত,
প্রয়োজন জাগরণ, একটি শুদ্ধি অভিযান
নতুন ভোরের প্রত্যাশায় কচুকাটা অতীত।
ধর্ষক কখনো মানুষ হয় না,হয় না জগতে
আদম হাওয়ার মোহ বাঁধনের পুরুষ নারী,
সহমতে শিষ্টার, বলাৎকার নয় অধিকার
এসোবন্ধু সমতা ঐক্যে সুন্দর পৃথিবী গড়ি।
১০ অক্টোবর ২০২০
টিটিসি,বরগুনা।
ইতিহাসের মহা শিশু
| ১৮ অক্টোবর ২০২০ | ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ
মাথাভরা ঘন কালোচুল।
তুলতুলে নরম গাল।
বেশ বড় সড় শিশু;
১৯৬৪ সালের ১৮ ই অক্টোবর
আলোকিত ধানমন্ডির বিখ্যাত ৩২ নম্বর
জন্মের পর প্রথম কোলে নিলেন হাসু।
বিশ্বমানবতার প্রতীক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে
রাখলেন ছেলের নাম মহৎ স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষাকে ঘিরে।
দুই বছরের বাচ্চা ছেলে
কারাগারে পিতাকে বলে
‘আব্বা বাড়ি চলো। ’ নত মাথা
‘কী উত্তর ওকে আমি দিব’।
শত কষ্টবুকে চেপে বলেন পিতা।
পিতার অভাব মিটাতে মাকেই ডাকতেন আব্বা।
ভীষণ দুরন্ত ছিল শৈশবোত্তীর্ণ শেখ রাসেল,
তাঁর দুরন্তপনার সঙ্গী ছিল বাই-সাইকেল।
কবুতরের পিছন পিছন ছুটেছেন শিশুকালে
কাজের লোকদের সঙ্গে রান্না ঘরে পিঁড়ি পেতে বসে
লালফুল আঁকা থালায় ভাত খেতেন একটু বড় হলে।
চতুর্থ শ্রেণির ১১ বছরের রাসেল ছিল অতি সাধারণ
ভাল লাগতো মাছ ধরতে উড়ে বেড়াতে ঘুরে বেড়াতে
আব্দুল মিয়া ভাই’য়ের কিসসা শুনে হাসতো অকারণ।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট প্রাতে
ছোট্র রাসেলকেও দিতে হলো প্রাণ
মানবরূপী বাঙালি দানবের হাতে।
পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডে আতঙ্কিত শিশু রাসেল
কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন, ‘আমি মায়ের কাছে যাব’।
নিথর দেহগুলো পড়ে থাকতে দেখে
ওর ছোট্ট বুকটা ব্যথায় কষ্টে বেদনায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।
মায়ের লাশ দেখার পর অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিনতি করেছিলেন ‘আমাকে হাসুপা’র কাছে পাঠিয়ে দিন’
আজ সেই রাসেলের ৫৭তম শুভ জন্মদিন।
১৭ অক্টোবর ২০২০ইং
টিটিসি,বরগুনা।
শুভ জন্মদিন
| ২৫ অক্টোবর ২০২০ | ২:২৩ অপরাহ্ণ
ঝর্ণার মত চল,কল্লোলিত নদীর মত কথা বল
চেয়ে দেখি ফুল হাসে চাঁদ হাসে তব ভালবেসে,
রঙধনুর সাত রঙে রাঙা তোমার সবুজাভ মন
স্বর্গীয় শিশুরাও হেসে খেলে তোমার চারপাশে।
দীনে হও তাপসী রাবেয়া ঐশ্বর্যে হও মা খাদিজা
চির মানবিক হও বিপদগ্রস্ত মানবতার কল্যাণে,
রাজ্যের যত সুখ তোমাতে বলবে তার শত দুখ
ছুটিওনা দুনিয়ার পিছুপিছু বড় হও মেধা মননে।
ঝড়ে পরা নাবিকের মত শক্ত হাতে ধরিও হাল
সাবধানী শিশুর মত পা ফেলিও পৃথিবীর পথে
স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে পৌঁছে যাবে এক সত্যলোকে
ফুল চন্দন ছিটাবে লোকে তোমার জীবন রথে।
হিংসুটের হিংসা থেকে জালেমের জুলুম থেকে
সকল ব্যভিচার থেকে,দৃষ্টি না পড়ুক বদ চোঁখে,
অনিষ্টকারীর অনিষ্টতা থেকে হিংস্র প্রাণী থেকে
শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে প্রভূ যেন ভাল রাখে।
এস. এম. শাহনূর
২৫ অক্টোবর ২০২০ই
টিটিসি,বরগুনা।
স্মরণ
১
আমার প্রাণোচ্ছল স্মরণ সভায়
সুন্দরের কল্পনায় মুখরিত জীবন
স্মৃতির সরণী বেয়ে হেঁটে এসো
থেমে গেলে হাসি খুশি আয়োজন।
২
অস্ফুট বেদনায় নীল
তোমার উৎপল চোঁখের জল
আর কম্পমান ঠোঁট
কী যেন কী বলছে অনর্গল।
৩
আমি শত বসন্তের এক ঝরাপাতা
সব কলি ফুটেনা সব পাতাই ঝরে
পদতলে মড়মড় শিশু গড়ে খেলাঘর
খেলা শেষে কেবা মনে রাখে তারে!
৪
ঘোর বৃষ্টিস্নাত দিনে
ভাললাগা ভালবাসার কোন গানে
ধূসর বিস্মৃতির স্মরণ
সহসা অশ্রু ঝরাবে আঁখি কোণে।
২৩ অক্টোবর ২০২০ইং
টিটিসি ডরমিটরি, বরগুনা।
#কবিতাটি বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি আসলাম সানি ভাইকে উৎসর্গীকৃত।
*মঙ্গল কাব্য*
নববর্ষ পদ্য লেখার এক সাদা খাতা
লেখা হবে আনন্দ বেদনার কবিতা।
নতুন বর্ষে স্বপ্ন দেখি বিদায় পুরাতন
কষ্ট দুর্দশা ভুলে আজ উদ্বেলিত মন।
হতাশা অশ্রুসিক্ত চোঁখ দেখেছে বিশ্ব
নববর্ষ পদ্য লেখার এক সাদা খাতা
লেখা হবে আনন্দ বেদনার কবিতা।
নতুন বর্ষে স্বপ্ন দেখি বিদায় পুরাতন
কষ্ট দুর্দশা ভুলে আজ উদ্বেলিত মন।
হতাশা অশ্রুসিক্ত চোঁখ দেখেছে বিশ্ব
গতবর্ষে করোনা রুক্ষতা করে নিঃস্ব।
নতুনের সাথে হোক সাহসী আলিঙ্গন
মঙ্গলময় ভালবাসায় হবে প্রেম চুম্বন।
১ লা জানুয়ারি ২০২১
শিপইয়ার্ড, খুলনা।
বিশ্বাসী চোঁখ | ১৪ মার্চ ২০২১ |
খুঁজিনি’ক প্রিয়ার চাঁদপানা মুখ
শিশিরস্নাত গোলাপ রাঙাধর,
আমার চাই দুটো বিশ্বাসী চোঁখ।
ঝর্ণার মত চঞ্চলা নদীর মত কথা বলা
নায়াগ্রা জলপ্রপাতের মত খোলা কেশ
জিরাফ সম গলা,হরিণীর মত হাটাচলা
হাসিতে মুক্তা ঝরে,ঝরে রূপের আবেশ।
এমন ষোড়শী হলে কে দিবে গো ঠেলে
ধরে রাখবে আষ্টেপৃষ্টে শত জনম ভর,
আমিতো নামিনি মোহের বারিধি কূলে
বাঁধিনি’ক দু’জনে মিছে বালুচরে ঘর।
এক সাগর ভালোবাসা চাইনি
খুঁজিনি’ক প্রিয়ার চাঁদপানা মুখ
শিশিরস্নাত গোলাপ রাঙাধর,
আমার চাই দুটো বিশ্বাসী চোঁখ।
সোলাম,
১২ মার্চ ২০২১ইং
➤বদলে গেছে তিতাসের জল!
প্রিয় শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফেলে দীর্ঘশ্বাস!
হাজার বছরের কতনা অজানা কথাবলা
মসজিদ মন্দির গ্রন্থাগার ঝলসানো লাশ,
বলেকীনা বাঁকা চোঁখে লেখা হবে ইতিহাস!
অথচ একদিন,পদ্মা মেঘনা যমুনার মত কতো নদী
চেয়ে দেখত অপলকে তিতাসের বয়ে চলা নিরবধি।
এখনো সময় আছে ওরে উদাসী
যদি কেউ তোলে পাল
যদি কেউ ধরে হাল
বাঁচবে তিতাস পাড়ের অধিবাসী।
এস. এম. শাহনূর
৮ এপ্রিল ২০২১।
সো লা ম।
➤আল আকসা কেবল মুসলিমদের
কাফের মুশরিকদের দোর্দন্ড প্রতাপে নীরবে কাঁদে
‘ইতিহাসের পাঠশালা’ শান্তির শহর জেরুজালেম
ফিলিস্তিনিরা বন্দি বিষফোঁড়া ইসরায়েলের ফাঁদে।
হে অভিশপ্ত ইসরায়েলি মাথামোটার দল
আজ বাকী শুধু মসজিদুল আক্বসা
সমগ্র ফিলিস্তিনই করেছ জবর দখল!
মাত্র ১৪ একর ভূখণ্ডের জন্য এত রক্তপাত?
মুসলমানদের সরলতায় উড়ে এসে জুড়ে বসা
একদা চরম অবহেলিত ইহুদি যাযাবর জাত?
এখানে ঘুমিয়ে হযরত ইব্রাহীম,মূসা অসংখ্য নবী
হযরত উমরের সেই বিখ্যাত উটের বিরল ঘটনা
চোঁখে ভাসে গ্রেট সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ূবী।
মিরাজের রজনীতে নবীজির ইমামতিতে একবার
ফেরেস্তাসহ ২৪ হাজার পয়গম্বর পড়লেন নামাজ
বিশ্বনবী বোরাকে চড়ে করলেন আল্লাহর দিদার।
সাগর বক্ষ থেকে পথরগুলো তুলেছিল জ্বীন
পাথরের গায়ে লেখা সম্পূর্ণ সূরা ইয়াসিন।
এখানে আদায়ে ২ রাকা’ত নামাজ,দিনে কিংবা রাত
আমল নামায় লেখা হবে পুণ্য ২৫ হাজার রাকাআ’ত।
ঈসা ইবনে মারিয়মের অপেক্ষায় সমগ্র মুসলিম
মুসলমানদের প্রথম কেবলা রক্ষা করবেন রব
পৃথিবী থেকে কাফের মুশরিক হবে কুপোকাত।
সিরিয়া-প্যালেস্টাইন একদিন স্বাধীন হবেই,
হযরত আদম,সুলাইমানের স্মৃতিবিজড়িত
আল-আকসাও আবার মুসলমানদের হবে।
২১ মে ২০২১
সো লা ম
Some text
ক্যাটাগরি: সাহিত্য
[sharethis-inline-buttons]