আল্লাহর নেয়ামত প্রাপ্তদের সাথী হবেন যাকাত প্রদানকারী’
বৈধ উপার্জন এবং ভূমি থেকে উৎপন্ন ফসল অকৃপণ হাতে ব্যয় করা কল্যাণকর’।
ধনীরা না গড়লে সম্পদের পাহাড়,সমাজে কাঁদবেনা অনাহারী।
এই জীবন শেষে যেদিন আসবে আরেক জীবন হলে কিয়ামত
ধনীদের করুণা নয়,বুঝবে সবে যাকাত গরীবের অধিকার,
দেখবে হাশরবাসী এটি ধনিদের জন্য আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত।
‘নামায কায়েম করো এবং যাকাত আদায় করো’ আল্লাহর ফরমান,
অস্বীকারকারী কাফির,অনাদায়কারী ফাসিক,প্রজ্বলিত অগ্নি পরিণাম।
যাকাত ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের চতুর্থ একটি ফরয বিধান।
নামাজ ও যাকাতে পার্থক্য করলে বাধবে যুদ্ধ
ঘোষণা করলেন আবু বাকার
‘যাকাত নেয়া হবে ধনীদের কাছ থেকে এবং অভাবীদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হবে”
বললেন সিদ্দিকে আকবর,”যাকাত সম্পদের অধিকার”।
একজন স্বাধীন মুসলিম আকেল সাবালক এবং
নিসাব পরিমাণ সম্পদের পূর্ণাঙ্গ মালিকানা পূর্ণ এক বছরের মালিক যিনি
এই সপ্ত শর্তে ফরজ হবে যাকাত আমরা কী তা জানি?
যাকাত আদায়কারীগণ ফকির মিসকীন
ফিসাবিলিল্লাহ, মুসাফির, আছে যার ঋণ
এমন আটজনা পাবে যাকাত আল কুরআনের বাণী;
“যাকাতের সম্পদ কমে না” বলেছেন ইসলামের নবী।
গরীবের প্রয়োজনে,অভিশপ্ত পুঁজিতন্ত্রের মূলোৎপাটনে,দারিদ্র বিমোচনে,
সম্পদ পবিত্র ও বরকতময় করে গরীব-ধনীর মাঝে সেতুবন্ধনে;
আল্লাহর দেয়া রিযক হতে যাকাত প্রদানকারীই মুত্তাকী।
স্বর্ণ ও রৌপ্য জাহান্নামের আগুনে করে উত্তপ্ত
ললাট, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দেয়া হবে দাগ
বলা হবে “এটা তা, যা তোমরা নিজেদের জন্য পুঞ্জিভূত
করেছিলে গরীবের ভাগ!
কিয়ামতের দিন পার্থিব সম্পদ হবে চোঁখের ওপর কালো দাগ আঁকা বিষধর সাপ
স্বীয় চোয়ালদ্বয় দ্বারা কামড়াবে কৃপণে, বলতে থাকবে, ‘আমি তোমার ধনভাণ্ডার।
আমিই তোমার অনাদায়ী সম্পদের পাপ’।
নিসাব পরিমাণ সম্পদের এক চল্লিশাংশ দিলে যাকাত
সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণের বিক্রিত মৃল্য যদি হয় নিসাব
ওপারে বেহশতি হুর গেলমানের সাথে হবেই মোলাকাত।
এস এম শাহনূর: ৮ মে ২০২০ইং
রূপসা নদীর তীর, খালিশপুর, খুলনা
Some text
ক্যাটাগরি: কবিতা
[sharethis-inline-buttons]