রবিবার বিকাল ৫:৫০, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ ইং

ভারত চীন কেউ স্বার্থহীন নয়

৭০২ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

১০ লাখ এরও বেশি উইঘুরের মুসলিমদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে, হাজার হাজার উইঘুর মুসলিম হত্যা করে, উইঘুরের মুসলিম শিশুদের নির্মম ভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে অবশেষে মুসলিম উম্মাহর বন্ধু চীনের বাইয়াত গ্রহন করা কিছু বাংলাদেশিদের উল্লাস দেখে আমি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ছি। যারা বলছেন সীমান্তে বিএসএফের আচরনের ফল, আমি জিগ্যেস করি মায়ানমার সীমান্তে কোন প্রেমের উদ্যান সাজিয়ে বসে থাকে শুনি। মায়ানমার এর এই কলিজা কাহার দান তা কি কেউ জানে না? চীনের দেওয়া কলিজায় মায়ানমার দিনের পর দিন রোহিঙ্গা দিয়ে, কখনো বাংলাদেশের আর্মিদের উপর হামলা করে, সীমান্তে ইয়াবা পাচার করে, বাংলাদেশের মানুষের জীবন অতিষ্ঠ তাঁরাও কম করে না।

আমি অস্বীকার করিনা ভারত আমাদের সাথে কোন অন্যায় করে না। সীমান্তে তাদের আচরণ, দিনের পর দিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর তিস্তা চুক্তি ঝুলিয়ে রাখা, নদীতে বাঁধ নির্মান করে আমাদের পানির কষ্টের দিকে ঠেলে দেওয়া অবশ্যই অমানবিক।

নিজেদের দেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করে সেই দায় পুরোটা আমাদের দেশের ঘারে চাপানোর চেষ্টা করা। কিন্তু সেটার নেতৃত্বদেয় নির্দিষ্ট একটা দল, আর এই অন্যায় এর প্রতিবাদ আমরা না করলেও লাখ লাখ ভারতবাসী কিন্তু করেছে। এবার NRC, CAA এর বিরুদ্ধে কিন্তু আপনি আমি নই লক্ষ লক্ষ ভারতবাসী রাজপথ কাঁপিয়েছে সেখানে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান শিখ সবাই ছিল এক কাতারে, দিল্লীর দাঙ্গা কারো ফোন কলে নয় বরং দিল্লীর মানুষ এক হয়ে দাঙ্গাবাজ দের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্যেই বন্ধ হয়েছে, যখন দালিত, শিখ, হিন্দু মুসলিম এক সাথে নেমে দাঙ্গাবাজদের ধোলাই শুরু করে ছিল।

কিন্তু দিনের পর দিন উইঘুর মুসলিমদের উপর যখন অমানবিক অত্যাচার চলছিল তখন কতোজন চাইনিজ তাঁর প্রতিবাদ করেছে তাঁর কোন লিস্ট আপনাদের কাছে আছে কি? আপনাদের ভাষায় মুসলিমদের মহান নেতা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তো বলেই দিলেন উইঘুর মুসলিমদের ব্যাপারে তিনি জানেন না বরং চীন তাদের দুঃসময়ের বন্ধু। বন্ধুইতো বটে নয়তো ১৯৭১ সালে পাকিস্তান যখন নির্বিচারে এদেশের মানুষ কে হত্যা করছিল তখন বন্ধু চীন কার পাশে দাঁড়িয়েছিল? কাকে অস্ত্র দিয়েছিল নিরীহ বাঙালিদের হত্যা করতে? তখন কিন্তু রাশিয়া আর ভারতই পাশে দাঁড়িয়েছে। হ্যা বলবেন তাদের স্বার্থ ছিল, আচ্ছা মানলাম কিন্তু এখন চীন কোন বিনা স্বার্থে আমাদের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে শুনি? কেউই বাংলাদেশিদের কাছে স্বার্থছাড়া আসেনি।

জম্বু ও কাশ্মীর উপত্যকায় ৩৭০ ধারা তুলে ভারত যদি অত্যাচার চালিয়ে থাকে, তবে এতো বছরে আজাদ কাশ্মীরে এমন কোন মহান কার্য সম্পাদন করছিল না পাকিস্তান। অশিক্ষা, দারিদ্র্য সেখানকার নিত্যদিনের সঙ্গী, তাঁর উপরে বছরের পর বছর আইএসআই দিয়ে জঙ্গিবাদের জন্ম দেওয়া। সত্যি বলতে পুরো কাশ্মীর এখন ভারত পাকিস্তানের অহংবোধের লড়াই এ পরিনত হয়েছে, পুরো কাশ্মীরের সব মানুষেরই জীবনই এখন দুই দেশের জেদের খেলার মধ্যে পড়েছে।

ভারত চীন সীমান্তে লড়াই করে একে অন্যেকে মারুক এটা কখোনই কোন বিবেক সম্পন্ন মানুষের আশা হতে পারে না। আর ভারত চীনের যুদ্ধ হলে আমরা নিরাপদে বসে মজা নেব তা আশা করা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। আমাদের সীমান্তের হত্যার প্রতিবাদ যেমন করবো তেমনি তাদের সীমান্তে হত্যা কেউ সার্পোট করতে পারিনা। বিশ্ব রাজনীতিতে যা চলছে তা মুসলিম বা কোন গোষ্ঠী কে হত্যা বা ক্ষমতা দেওয়ার লড়াইনা বরং রাজনীতির নোংরা খেলায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার এর লড়াই, তাই নির্বোধের মতো না লাফায়ে বরং এই দোয়া করেন এদের যেন শুভ বুদ্ধির উদয় হয়।

Some text

ক্যাটাগরি: চিন্তা, নাগরিক সাংবাদিকতা, মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি