যারা কথায় কথায় পাশ্চাত্য সভ্যতার বড়াই করে, তাদের জন্য আমেরিকান জনগণ বর্তমানে আন্দোলনের পাশাপাশি লুটতরাজের যে ‘মহান দৃষ্টান্ত’ স্থাপন করেছে- তা বোধকরি সবসময় মনে থাকবে। ব্রিটিশ আমেরিকান দের পূর্বপুরুষেরা কি করে বেড়াত তা এতো বছর পর বেড়িয়ে এলো। এরাই কিনা আমাদের সভ্যতা শিখাতে আসে, আর যারা তাদের কাছ থেকে আন্দোলন শিখতে বলেছেন তাদের বলি আপনারা শিখুন কারন ওটা হাইব্রিড জাতের দেশিও ব্যাক্তিদের শেখার বিষয় আমাদের নয়।
আমরা সেই জাতি, যারা আন্দোলন করে ২০০ বছরের গেঁথে বসে থাকা ব্রিটিশদের উপমহাদেশ ছাড়া করেছি। বাঙালিদের ভয়েই যে ব্রিটিশ ভারত উপমহাদেশ ছেড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরাই তাঁরা, যারা নিজেদের অধিকার আদায়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। হ্যাঁ ভাই, আমাদের দীর্ঘ আন্দোলনের ইতিহাস আছে, কিন্তু জনগণের বা রাষ্ট্রের সম্পদ লুট করার ইতিহাস নেই।
আমাদের স্বদেশী ভাইয়েরা আন্দোলনের সময় ব্রিটিশদের কাছ থেকে অস্ত্র লুট করেছে। ওদের কাছ থেকে চাল কেড়ে গরীব মানুষের পেটের খাবার যোগান দিয়েছে। কিন্তু নিজেদের জীবন করেছে দেশের জন্য উৎসর্গ। কখনো কোনো অসহায়ের কোনোকিছু তাঁরা কেড়ে নিয়েছে- এই ইতিহাস আমাদের নেই। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময়ও একই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে আমাদের স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধারা। তাই হয়তো কয়েকদিন আগেও ঘটে যাওয়া দুটি আন্দোলনে আমাদের তরুণ এবং কিশোর ছেলেমেয়েদের এতো সংযমী আচরণ আমরা দেখেছি।
কেউ বলতে পারবে, আমাদের সেই ভাই বোনেরা কোনো মার্কেট, দোকান লুটপাট করেছে? রাষ্ট্রের কোনো সেবাদানকারী কোনো কিছু নষ্ট করেছে? সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষতি করেছে? না করেনি। কারণ আমরা ন্যয়নীতি নিয়ে চলা প্রতিবাদের রক্তের উত্তরসূরী। তাই আমাদের আন্দোলন না শিখতে বলে বরং আমাদের আন্দোলনের ইতিহাস তাদের শিখে যেতে বলা উচিত।
ভিতর ফাঁপা রেখে উপরে পিচ দিয়ে তৈরি যে রাস্তার বড়াই এতদিন পশ্চিমারা করে এসেছে, তা যেন এক মুহূর্তেই খসে পড়লো। এরাই কিনা দিনশেষে আমাদের শেখাতে আসে সভ্যতা! অথচ যত প্রকারের অসভ্যতা এবং অন্ধকারের আঁতুড়ঘর হচ্ছে এই পশ্চিমারা।
Some text
[sharethis-inline-buttons]
কারো এ ব্যাপারে কোন মতামত থাকলে বলতে পারেন