ঠাকুরগাঁওয়ে মার্কেট-শপিংমল খোলার এক সপ্তাহ যেতেই আবারও বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। মার্কেট-শপিংমলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মানায় আলোচনা সভায় করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রবিবার (১৭ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শপিং মলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মানায় মার্কেট বন্ধ সংক্রান্ত এক জরুরি সভা জেলা প্রশাসক ডঃ কেএম কামরুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা ব্যবসায়ী সংগঠন, চেম্বার এন্ড কমার্স,জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও প্রেসক্লাবের সভাপতি উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত সকলের মতামতের ভিত্তিতে সকল ধরণের কাপড়, তৈরী পোশাকের দোকান, কসমেটিকস ও জুতার দোকান ১৮ মে সোমবার সকাল ৬টা থেকে বন্ধ ঘোষণার এক গণবিজ্ঞপ্তি দেন জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ
নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে এ গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
তবে ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানপাট আগের মতোই খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য বাজার যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সরকারকর্তৃক প্রদত্ত শর্তসমূহ পালন সাপেক্ষে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিগত কয়েকদিন দোকানপাট বিশেষত কাপড়, তৈরী পোশাকের দোকান, কসমেটিক ও জুতার দোকানসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, এসব প্রতিষ্ঠানে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা সরকারকর্তৃক প্রদত্ত শর্তসমূহ মেনে চলার বিষয়ে অবহেলা প্রদর্শন করছেন বা নির্লিপ্ত থেকেছেন।
এছাড়া জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি ও বিস্তার প্রতিরোধ এবং ঠাকুরগাঁওবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ব্যাতীত ঠাকুরগাঁও জেলার সকল কাপড়, তৈরী পোশাকের দোকান, কসমেটিক ও জুতার দোকানসমূহ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নির্দেশনা অমান্য করলে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]