অপরিচিত বা বহিরাগত কোনো ব্যক্তি আসলেই জিজ্ঞেস করা হচ্ছে বিস্তারিত এবং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে হাত ধোঁয়াকে। যে কোনো ব্যক্তি গ্রামে প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই তাকে আগে সাবান দিয়ে হাত ধুঁয়ে পরে ঢুকতে হচ্ছে, অন্যথায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করছে যুবকরা। সজল ও জুয়েল বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত এবং অবাধে চলাফেলা বন্ধ করে সরকারের নির্দেশনাকে বাস্তবায়ন করতেই আমাদের নিজেদের শ্রম, অর্থ আর গ্রামের মুরুব্বীদের পরামর্শে করেছি এই ব্যবস্থা।
এদিকে উপজেলা সদরের কাচারিপাড়া, সকাল বাজার, চানমনিপাড়া, বড্ডাপাড়া, কুট্টাপাড়া, কালীকচ্ছ, শাহাজাদাপুর, পানিশ্বরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার গ্রামের প্রবেশ পথে দেয়া হয়েছে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড। এতে রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, মটরসাইকেল ঢুকতে দেয়া হচ্ছেনা এলাকায়। কারো জরুরী প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে যাচ্ছে পকেট গেইট দিয়ে। এলাকাবাসীরা জানান, আমরা নিজেদের জীবন এবং এলাকার সকলকে নিরাপদ রাখতে নিজেরাই লকডাউন করে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ যেভাবে দিন দিন বেড়েই চলেছে তাকে ঠেকাতে বিভিন্ন এলাকায় যুবকরা বা এলাকাবাসী যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। তবে অবশ্যই সরকার নির্দেশিত যে সব জরুরী সার্ভিস রয়েছে সেগুলোকে যেন যাতায়াতের সুযোগ করে দেয়া হয়। যেমন কোনো অসুস্থ ব্যক্তির গাড়ি, ঔষধ বা খাবার সামগ্রীর পরিবহন, ডাক্তার ও সাংবাদপত্রের গাড়ি বা প্রশাসনিক যে কোনো গাড়ি। এগুলো বাদে বাকি যে কোন যানবাহন অবশ্যই বন্ধ করা যাবে। প্রয়োজনে পুলিশের যে কোনো সহযোগিতা লাগে আমরা ২৪ ঘন্টা প্রস্তুত রয়েছি।
শেখ মো. ইব্রাহীম,সহ-সম্পাদক
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]