রবিবার রাত ১:৩৭, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ ইং

মহামারী ও মানুষের অসুস্থ মানসিকতা

৫৫৬ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

খোদাবিশ্বাসীরা বলছে গযব। বিজ্ঞানবিশ্বাসীরা বলছে সংক্রামক, নীরব ঘাতক। দুটোই হোক অথবা যাই হোক। বিশ্ব আক্রান্ত। জীবন বিপন্ন। ঘুরেও অচল পৃথিবী।

এটা অনস্বীকার্য যে, এটা আমাদের কর্মফল। আমাদের সংশোধনী সতর্কতা। আমরা ছাড়িয়ে গেছি মাত্রা। সবকিছুতেই। আমরা হিংস্র হয়ে গেছি। আমরা লোভী হয়ে গেছি।আমরা অন্যের সম্পদের প্রতি লালায়িত।

জোর করছি। জুলুম করছি। প্রতিবেশীর প্রতি অবিচার করছি। মদ-জুয়া, যিনা-গাঁজা আমরা অভ্যাস করে নিয়েছি। দুর্বল, সরলকে চেপে ধরতে আমরা আনন্দিত। মোটকথা, মানুষ উচ্ছৃঙ্খল এবং অস্থির জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে।

এতো বাড় বাড়াটা ভালো নয়। নতুন পানি পেয়ে পুঁটিমাছ যখন লাফালাফি শুরু করে, তখনই ধরা পড়ে আর কড়াইয়ে গিয়ে চিৎপটাং পড়ে থাকতে হয়। হয়তো আমাদেরকেও একটু স্থির, একটু সংশোধন করতে নেমে এসেছে গযব ও সংক্রামক ভাইরাস ‘নোবেল করোনা’ বা ‘কোভিট- ১৯’।

মৃত্যুর মিছিল ছাড়িয়ে গেছে লাখের সাড়ি।মশার মতো বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গোটা বিজ্ঞান জগত চিন্তিত এবং ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে।চিকিৎসকেরা দিশেহারা। ক্লান্ত হয়ে পড়েছে তারা চিকিৎসা সেবা দিতে দিতে। মৃত্যুর সংবাদ পাঠ করতে করতে ভুলে গেছে শোকের অনূভুতি সংবাদ পাঠকেরা।এমন পরিস্থিতিতেও শোধরাচ্ছে না মানুষ নিজের মানসিকতাকে।চলছে চাল-ডাল-তেল চুরির হিড়িক। অভুক্তের আহার আত্মসাৎ করার মহোৎসব।

হিংসা, বিদ্বেষ, শত্রুতা ভুলেনি মানুষ এতোটুকুও। সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘটে গেছে এক নির্মম বর্বরতা।দিবালোকে ‘ঐতিহ্যবাহী মারামারি’ করে এক পক্ষ কেটে নেয় অপর পক্ষের একজনের পা। এবং সেই পা নিয়ে ‘আনন্দ মিছিল’ করে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান মুখে তুলে। সেটা আবার ভিডিও করে আপলোড করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।

অতি সম্প্রতি ঘটে গেছে আরেক বর্বরতা।ময়মনসিংহ বিভাগের ফুলরাড়িয়া থানায় পুটিদানা গ্রামে গভীর নলকূপের অংশিদারিত্ব নিয়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। মাকে ঘরে তালাবন্দী করে ছেলেরা যায় ঝগড়া করতে। ছেলেদের বাঁচাতে মা লোক ডেকে তালা খুলে যান ঝগড়া স্থলে। সেখানে গিয়ে বুক-বাহুসহ তিনটি কোপ খান মা। মহিলার স্বামী প্রবাসে। ক্ষেপে গিয়ে ক্ষমতা ও শক্তিশালী মেম্বার শ্বশুর প্রতিপক্ষের চার পাঁচজনকে কুপিয়ে আহত করে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় একজন।আহত মহিলা চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় তিন দিন পর হাসপাতালে মারা যান।

গভীর নলকূপ নিজ জায়গায়ই পড়ে আছে। পলাতক উভয় দলের দাবীদাররা। চলছে মামলা-মোকদ্দমা ও আইনী আযাব।আমাদের মানসিকতা ঘুরাতে আর কতো বড়ো শক্তিশালী ভাইরাসের প্রয়োজন?

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি