ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহানারা হকের জানাজায় বিশাল লোক সমাগমের যে তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে সেটার বিরুদ্ধে অজ্ঞাত মামলা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক রেজাউল করিম সানি।
বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানায় তিনি আইসিটি আইনে এ মামলা দায়ের করেন। জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক রেজাউল করিম সানি জানান, যেসব ফেসবুক আইডি এবং ইউটিউব চ্যানেল থেকে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানো হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা করেছি। করোনা সংকটে যারা গুজব ছড়ায় তারা কখনো দেশের মঙ্গল চায় না। এরা দুঃসময়কে পুঁজি করে ফায়দা হাসিল করতে চায়। আমি আশা করবো যারা গুজব ছড়িয়েছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল ভোর ৩টা ৪০ মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর প্রয়াত অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক এর সহধর্মিণী ও বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহানারা হক রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।ওই দিন বাদ জোহর বনানীতে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে লোক সমাগম পরিহার করতে পারিবারিকভাবে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে জানাজার আয়োজন করা হয়। ফলে মরহুমের নিকট আত্মীয়-স্বজন এবং আইনমন্ত্রীকে সমবেদনা জানাতে আসা অল্প কিছু ব্যক্তি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। সামাজিক দূরত্বকে নিশ্চিত করার জন্য নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর লাল বৃত্ত তৈরি করা হয় এবং জানাজায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিগণ ওই লাল বৃত্তে দাঁড়ান। মরহুমা বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় কিন্তু সেখানে কোন ছামিয়ানা ছিল না।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের দপ্তর থেকে পরে জানানো হয়, একটি কুচক্রী মহল সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের বা অন্য কোন জায়গার ব্যাপক জন সমাগমের জন্য আলোচিত একটি জানাজার ছবিকে আইনমন্ত্রীর মায়ের জানাজার ছবি হিসেবে ফেসবুকে প্রচার করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ফেইসবুকে প্রচার করা ছবিটি যে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তার অন্যতম প্রমাণ হলো সেখানে গার্ড অব অনার প্রদানের স্থানে ছামিয়ানা ছিল। জানাজার স্থানে কোন লালবৃত্ত ছিলো না এবং সেখানে আইনমন্ত্রীর মায়ের জানাজায় অংশ নেওয়া কাউকে দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া জানাজার স্থাপনের প্রাকৃতিক দৃশ্যের সঙ্গেও মিল নেই।
রিপোর্ট: সায়মন ওবায়েদ শাকিল
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]