ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বিদেশ ফেরত ৫৫১ জনের মধ্যে ৩৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবেলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সরকারী ও বেসরকারি বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুরোধ করা হলেও তা মানছেন না অনেকেই। উপজেলার অরুয়াইল এবং পাকশিমুল ইউনিয়নের বিদেশ ফেরত ২ জন হোম কোয়ারেন্টাইন না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। হোম কোয়ারান্টাইন না মানায় উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের কাতার ফেরত সেলিম মিয়াকে (৩৫) ১০ হাজার টাকা এবং পাকশিমুল ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও এলাকার মোঃ জাহাঙ্গীরকে ১০ হাজার টাকা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াঙ্কা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে তাদের এ জরিমানা করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সরাইল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মোট বিদেশ ফেরত ৫৫১ জনের মধ্যে সরাইল সদর ইউনিয়নে ১৫১জন, কালিকচ্ছ ইউনিয়নে ৪৫জন, নোয়াগাঁও ইউনিয়নে ৬২জন, অরুয়াইল ইউনিয়নে ৪২জন, পাকশিমুল ইউনিয়নে ৬১জন, চুন্টা ইউনিয়নে ৭০জন, পানিশ্বর ইউনিয়নে ৬০জন, শাহবাজপুর ইউনিয়নে ২৫জন ও শাহজাদাপুর ইউনিয়নে ৩৫জন বিদেশ ফেরত এসেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসহ প্রতিবেশী ভারত ও বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে তারা দেশে এসেছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং, পোস্টারিং, লিফলেট বিতরণ করাসহ গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেনানা উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন সংগঠনসহ সচেতন মহলের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণসহ সচেতনতামূলক নানা প্রচারনা চালানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. নোমান মিয়ার জানান, এ পর্যন্ত সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে সরাইলে বিদেশ ফেরত ৩৯ জনকে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ১৪দিন হোম কোয়ারান্টাইনে রাখার পর করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের কোনো লক্ষন না পাওয়া গেলে যে কেউ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারেন। তবে এ পর্যন্ত সরাইলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি । তিনি আরও বলেন, সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শেখ মো. ইব্রাহীম, সহ-সম্পাদক
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]