জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ঠাকুরগাঁওয়ে সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নে সরকারি অব্যবহৃত জমিতে বিশেষ করে তহসিলের অব্যবহৃত খাস জমিতে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় মালটা চাষ শুরু করেছেন জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিম।
জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি। এ মাটি মালটা চাষের জন্য খুবই উপযোগী।
তিনি আরো বলেন,মালটা পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিত হলেও সমতল ভূমিতেও রয়েছে এ ফলের ব্যাপক সম্ভাবনা। মাটির গুণাগুণ ঠিক থাকলে সমতল এলাকাতেও মালটা চাষ করে লাভবান হতে পারেন কৃষকরা।
কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরনে উত্তরের কৃষি প্রধান এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি নিজ উদ্যোগে মালটা চাষ শুরু করেন। এটি প্রচারনার জন্য ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তার স্ট্যাটাসে তিনি চান ঠাকুরগাঁওবাসী যেন মালটা চাষে উদ্বুদ্ধ হয় এবং নিজ আঙ্গিনা সহ তাদের অব্যবহৃত জমিতে মালটা চাষে উদ্যোগ নেয়। এতে তিনি তিনটি কারন উল্লেখ করেন ১. বিষমুক্ত ফল প্রাপ্তি ২. বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় রোধ ৩. নিজ আনন্দ প্রাপ্তি।
জেলা প্রশাসনের এধরনের উদ্যোগে সৃজিত মালটা বাগান ঠিকই পুষ্প-পল্লবে ভরে উঠেছে। এটাই সৃষ্টির আনন্দ। সেই আনন্দ পেতেই জেলা প্রশাসক আজ তার সহকর্মীদের নিয়ে গিয়েছিলেন মালটা বাগান পরিদর্শনে। মাত্র ৬ মাসের মধ্যে মালটা গাছের বর্ধন দেখে তিনি আনন্দিত। একইভাবে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও আনন্দিত।ইতিমধ্যেসকল উপজেলায় এ মালটা চাষ শুরু হয়েছে। তিনি আরও জানান,অন্যান্য ফল আবাদের তুলনায় মালটা চাষ লাভজনক এবং খরচও কম। চারা রোপনের দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যেই এ ফল পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ডঃ কেএম কামরুজ্জামান সেলিমবলেন‘ ভৌগোলিক কারণে এ মালটা চাষের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই অঞ্চলের মালটা হতে পরে অনেক জনপ্রিয়।’ মালটা চাষে আগ্রহী করে তুলতে জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগ।
তিনি আরো মনে করেন ঠাকুরগাঁওবাসীও আল্লাহ প্রদত্ত মাটির উর্বরতা কাজে লাগিয়ে মালটা চাষ শুরু করবে। তবেই জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগ সফল হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)নুর কুতুবুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
নুরে আলম শাহ::ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]