রবিবার সকাল ৯:৪৬, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

ব্যাংক-এনজিও কর্মীদের কিস্তির চাপে দিশেহারা নবীনগরের মানুষ

৮১৬ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও বিভিন্ন দেশ থেকে ১৩৩৫ জন প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ৩৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা নিশ্চিত করা হয়েছে। বাকিদের সন্ধানে কাজ করছে প্রশাসন। সে ভয়ে নবীনগরের সাধারণ মানুষ যখন দিশে হারা সে দিশেহারা মানুদের আরো বেকায়দায় ফেলছেন বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও সংন্থা গুলি। তারা সাধারণ মানুষদের পাশে দাড়ানোর পরিবর্তে তাদের আরো চাপে ফেলছেন কিস্তির টাকার জন্য।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সকাল না হতেই বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও সংন্থার লোকজন মানুষের বাড়ি ও দোকানে প্রতিদিনের মত হানা দিচ্ছে কিস্তির টাকার জন্য। এই আতঙ্কের দিনেও তারা সাধাণ মানুষদের সহযোগিতা না করে উল্টো তাদের চাপে ফেলছেন। । টাকা না পাওয়া পর্যন্ত তারা সাধারণ মানুষের পিছু ছাড়ছে না।

নবীনগর পৌর এলাকার আলিয়াবাদ গ্রামের জয়নাল আবেদীন জানান, যে খানে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে আমাদের রুজি রুজগার বন্ধ হয়ে আছে এবং বৌ-বাচ্চা নিয়ে সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পরেছে সে খানে এই কিস্তির টাকার বাড়তি চাপে আমাদের অত্মহত্যা ছাড়া কোন উপায় নেই।

নবীনগর বাজার ব্যবসায়ী মনির মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি সচল করতে কিস্তিতে টাকা তুলেছিলাম।সেই টাকাই এখন গলার কাঁটা হয়ে পড়েছে। করোনা আতঙ্কে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। সেখানে এই ব্যাংকের লোনের কিস্তির জন্য তারা আমার দোকান ছাড়ছেনা।

নবীনগর ইসলামি ব্যাংকের ম্যানেজার জানান, ঋণ নিলে টাকা দিতেই হবে। ঋণ মওকুফের কোন সুযোগ নেই আমাদের কাছে। স্থানীয় এনজিও হোপের নির্বাহী পরিচালক আসাদুজ্জামান কল্লোল জানান, এ অবস্থায় সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করেই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে।

লিটন আহমেদ : নবীনগর প্রতিনিধি

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি