এনপিএস রিপোর্ট : ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা পূর্বপাড়া মৌজার আর এস দাগ নং-১২১-এর অমিমাংসিত (শুত্রু) সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে উপেজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে মনগড়া কাগজ তৈরি করে নিজ দখলে নিয়েছে আগলা পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত কোরবান আলীর পুত্র ১. তাহের হোসেন, ২. মোঃ জাকির, ৩. মোঃ জহির, ৪. সোহেল রানা, ৫. আবু বক্কর।
উক্ত ১২১নং দাগের জমি জালদলিল, ভূয়া নামজারী করেই এ চক্র ক্ষ্যান্ত থাকেনি। মনগড়া নকশা অনূমোদন করে ৫তলা ফাউন্ডেশনের প্ল্যান এ দোতলা পর্যন্ত সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এই জমি সরকারের যে কোনো সময় কাজে লাগতে পারে সেই চিন্তাটুকুও এ জালিয়াতচক্র করেনি। এ চক্রের সাথে আগলা ইউপি চেয়ারম্যান আবেদ হাসান ও সাবেক মেম্বার নাদিম শেখ জড়িত রয়েছে বলে এলকাবাসী জানায়। এ ব্যাপারে সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত একটি গণমাধ্যম ও মানবধিকার সংস্থা এনপিএস এর ঢাকা বিভাগীয় কমিটির একটি প্রতিনিধিদল সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিনিধি দলের প্রধান মোঃ মাসুম পারভেজ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, দুদক চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রী পরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ভূমি সচিব, এটর্নী জেনারেল, দুদক সচিব, জেলা জজ ঢাকা, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেড ঢাকা, পুলিশের আইজি, অতিরক্ত আইজি ক্রাইম, বিভাগীয় কমিশনার, ডি আইজি ঢাকা রেঞ্জ, জেলা প্রশাসক ঢাকা, জেলা পুলিশ সুপার ঢাকা, অতিরক্ত জেলা পুলিশ সুপার ঢাকা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবাবগঞ্জ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নবাবগঞ্জ, উপজেলা, অফিসার ইনচার্জ নবাবগঞ্জ থানা, ইউপি চেয়ারম্যান আগলা ইউপিকে রেজিষ্ট্রি ডাক যোগে পিটিশন প্রেরণ করেছেন। যার প্রেক্ষিতে গত ১১-০২-২০২০ তারিখে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সাধারণ অধিশাখা থেকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র প্রেরণ করে মোঃ মাসুম পারভেজকে অবহিত করেছেন। যা এন পি এস অফিসে ডাক পিওনের মাধ্যমে আসে ২৫-০২-২০২০তারিখে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আগলা পূর্বপাড়া মৌজার তফসিল ১-এর আর এস ১২১নং দাগের ৬৯.৭৫ এবং ২নং তফসিলের এর এস ১২১নং দাগের ৩৬.২৫ একর একুনে ১০৬ শতাংশ জমির মালিক বিধু ভূষণ গোপ, হৃদয় চন্দ্র গোপ, গোবিন্দ চন্দ্র গোপ, পিতা- মোহন বাসী গোপ, হাল সাং ভারত পক্ষে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু কথা হলো, এই জমি কি করে তাহের হোসেন গংদের নামে এবং দখলে যায় এবং বহুতল ভবন নির্মাণ করে তার কোন সদুত্তর করো জানা আছে কি?
এই জমি সরকারের প্রয়োজন হবে না তার কোনো যুক্তি আছে কি? তাহের হোসেন এই বাড়ী নির্মাণ করার অর্থ পেলো কোথা থেকে? যদি বলেন নিকট জন বিদেশ থাকেন তারা অর্থ প্রদান করেছে। তবে ব্যাংকের প্রামানপত্র আছে কি? তাহের হোসেন বীরদর্পে বলেন, টাকার বিনিময়ে সব করতে পেরেছি। যত সমস্যা হউক না কেন তাও টাকার বিনিময়ে সমধান করবো। এমন দাম্ভিকতা তাহের হোসেন কি করে দেখায় তার অনুসন্ধান প্রশাসন বা গোয়েন্দা সংস্থা করবেন কি?
অপর তথ্যে জানা যায়, তাহের হোসেন চক্র একটি জাল দলিল করেছে, যার দলিল নং ৮৪৭৭, কিন্তু এর মূল মালিক হলো খৃষ্টান। মূল দলিলেও খৃষ্টানদের নাম রয়েছে। জালিয়াতচক্র যে দলিল করেছে তাতে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলো হিন্দু। এই দলিলে জমির পরিমান ৮৩ শতাংশ। এ সকল বিষয়ে আগলা ইউপি চেয়ারম্যান আবেদ হাসানের কার্যালয়ে গত ০৩-১১-২০১৯ তারিখে একটি মিমাংসা নামা তৈরি করা হয়েছে যা চেয়ারম্যানের এখতিয়ার বহির্ভূত। সুতরাং সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে এর আইনি ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে এলাকাবাসীর সাথে ন্যাসনাল প্রেস সোসাইটি (এন পি এস) এর কর্মকর্তা ও সদস্যগণ আশাবাদী।
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]